আরামবাগে ধারালো অস্ত্র দিয়ে যুবককে হত্যা
Published: 13th, May 2025 GMT
রাজধানীর মতিঝিলের আরামবাগে মো. মোমিন (২০) নামের এক যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে দুর্বৃত্তরা হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে আরামবাগ টিঅ্যান্ডটি কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
মতিঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জুলহাস উদ্দিন বলেন, মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি কলেজের সামনে মোমিন নামের ওই যুবকের গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে দুর্বৃত্তরা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে বেলা পৌনে ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান পথচারীরা। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এসআই জুলহাস বলেন, নিহত যুবকের বিস্তারিত পরিচয় এখনো জানা যায়নি। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
এস আই সুকান্ত দাশ গ্রেপ্তার
পুলিশের এসআই সুকান্ত দাশকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) এবং চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের একটি যৌথ দল চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। কেএমপি কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর ইস্টার্ন গেট এলাকা থেকে এসআই সুকান্ত দাসকে মারধর করে খানজাহান আলী থানা পুলিশের কাছে তুলে দেয় স্থানীয়রা। পরে রাতেই তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
সুশান্ত দাশকে ছেড়ে দেওয়ার প্রতিবাদে বুধবার দুপুর থেকে কেএমপি সদর দপ্তর ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এক পর্যায়ে তারা দপ্তরের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। রাত সাড়ে ৯টায় ছাত্ররা চলে গেলে তালা ভেঙে কার্যালয় থেকে বের হন পুলিশ কর্মকর্তারা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা থেকে ফের কেএমপি সদর দপ্তর ঘেরাওয়ের ঘোষণা দিয়েছিল ছাত্ররা।
খুলনা সদর থানায় কর্মরত থাকা অবস্থায় এসআই সুকান্তের বিরুদ্ধে জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার ওপর নিপীড়ন ও গণগ্রেপ্তার চালানোর অভিযোগ ছিল। অভ্যুত্থানের পর তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়। অভ্যুত্থানের পর সুকান্তকে প্রথমে ঢাকায়, পরে চুয়াডাঙ্গায় বদলী করা হয়।
কেএমপি কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার বলেন, সদর থানায় দায়ের হওয়া একটি বাড়ি ভাঙচুর মামলায় সুকান্তকে গ্ৰেপ্তার করা হয়েছে। একজন সরকারি কর্মচারী গ্রেপ্তার সংক্রান্ত বিধি-বিধান অনুসরণ করতে সময় লেগেছে। তাকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খুলনা মহানগর সভাপতি আল শাহরিয়ার জানান, আমাদের প্রধান দাবি মানা হয়েছে। আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।