‘উৎসব’-এর স্লোগানে বলা হল- পরিবার ছাড়া দেখা নিষেধ
Published: 14th, May 2025 GMT
পরিবার ছাড়া দেখা নিষেধ-এমন ব্যতিক্রমী স্লোগান নিয়ে ঈদুল আজহায় মুক্তি পেতে যাচ্ছে নতুন সিনেমা ‘উৎসব’। তানিম নূরের পরিচালনায় এই সিনেমায় কাজ করেছেন বাংলাদেশের খ্যাতনামা একঝাঁক অভিনয়শিল্পী।
১৩ মে রাজধানীর গুলশান শুটিং ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উৎসব-এর নাম ঘোষণা ও শিল্পীদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। জানানো হয়, ছবিটি ঈদের আমেজে দেশ ও বিদেশে একযোগে মুক্তি পাবে।
সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন জাহিদ হাসান, জয়া আহসান, অপি করিম, চঞ্চল চৌধুরী, আফসানা মিমি, তারিক আনাম খান, আজাদ আবুল কালাম, ইন্তেখাব দিনার, সুনেরাহ বিনতে কামাল, সৌম্য জ্যোতি, সাদিয়া আয়মানসহ আরও অনেকে। এত তারকা একসঙ্গে একটি সিনেমায় কাজ করা বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে একেবারেই বিরল ঘটনা।
ঘোষণা অনুষ্ঠানে শিল্পীরা মুখোশ পরে উপস্থিত হন, পরে একসঙ্গে মুখোশ খুলে দর্শকদের সামনে আসেন তাঁরা।
পরিচালক তানিম নূর জানান, পরিবার নিয়ে দেখা যায় এমন একটি সিনেমা বানানোর ইচ্ছা থেকেই উৎসব-এর জন্ম। ঈদে পরিবারের সবাইকে নিয়ে আনন্দে দেখার মতো সিনেমা খুব কম বানানো হয়। এই অভাববোধ থেকেই এই চলচ্চিত্রের চিন্তা।
অভিনেতা জাহিদ হাসান বলেন, অনেকদিন পর এত শিল্পী একসঙ্গে কাজ করেছি। আমাদের আনন্দ দর্শকরাও অনুভব করবেন।
অপি করিম মনে করেন, এই প্রজন্ম তাঁদের একসঙ্গে দেখেনি, তাই সুযোগটা হাতছাড়া করতে চাননি। ভাবলাম, দর্শক দেখে ফেলুক আমরা এখনও আছি।
আফসানা মিমির মতে, পরিবার ছাড়া দেখা নিষেধ-এই বাক্যটাই তাঁকে নাড়া দিয়েছে। অনেকদিন ধরে তিনি পরিবার নিয়ে বসে দেখা যায় এমন কাজের অপেক্ষায় ছিলেন।
সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে ডোপ প্রোডাকশনস। সহ-প্রযোজক চরকি ও লাফিং এলিফ্যান্ট। গল্প লিখেছেন তানিম নূর, আয়মান আসিব স্বাধীন, সুস্ময় সরকার ও শিমুল হক। সিনেমাটির চিত্রগ্রহণে ছিলেন রাশেদ জামান।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জয় আহস ন একসঙ গ পর ব র
এছাড়াও পড়ুন:
এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ: ‘সীমান্তে লড়াই চলে আর আমরা ক্রিকেট খেলতে নেমে পড়ি, এটা হতে পারে না’
‘ঘাম ও রক্ত একসঙ্গে বইতে পারে না। আমরা ওদের এত গুরুত্ব দিই কেন?’
এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি ভারতের বর্জন করা উচিত কি—ভারতের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার করা প্রশ্নের উত্তরে এ মন্তব্য করেন হরভজন সিং।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর শুরু হবে এশিয়া কাপ। টি-টোয়েন্টি সংস্করণের এ টুর্নামেন্টে ‘এ’ গ্রুপে আরব আমিরাত ও ওমানের সঙ্গে রয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। সূচি অনুযায়ী, ১৪ সেপ্টেম্বর এশিয়া কাপে নিজেদের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে মুখোমুখি হবে ভারত ও পাকিস্তান।
আরও পড়ুন৩৪ বছর পর পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের১ ঘণ্টা আগেএবারের এশিয়া কাপ নিয়ে জটিলতা বাড়ে গত মে মাসে ভারত ও পাকিস্তান সামরিক সংঘাতে জড়ালে। এসিসির এই দুই প্রভাবশালী দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে ক্রিকেট খেলবে না—এমন আলোচনাও ওঠে তখন। ২৪ জুলাই ঢাকায় এসিসি এজিএম হওয়া নিয়েও মুখোমুখি দাঁড়ায় দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ড। শেষ পর্যন্ত অনলাইনে এজিএমে যোগ দেয় বিসিসিআই। এজিএমের পর এক্সে করা পোস্টে এশিয়া কাপের দিন-তারিখ ও সূচি প্রকাশ করেন এসিসি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি।
তবে এর মধ্যে অন্য ঘটনাও ঘটেছে। সম্প্রতি শেষ হওয়া ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লিজেন্ডস (ডব্লিউসিএল) টুর্নামেন্টে ইন্ডিয়া চ্যাম্পিয়নস দলে খেলেছেন হরভজন। গ্রুপ পর্ব ও সেমিফাইনালে ইন্ডিয়া চ্যাম্পিয়নস পাকিস্তান চ্যাম্পিয়নসের সঙ্গে খেলতে অস্বীকৃতি জানায়। গত এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহে ভারতশাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার প্রতিবাদে এ টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ বর্জন করেন ভারতের সাবেকেরা।
হরভজনের মতে, ‘জাতি সবার আগে’ এবং তিনি মনে করেন প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে এশিয়া কাপে খেলতে অস্বীকৃতি জানানো উচিত হবে ভারতের, ‘তাদের বুঝতে হবে, কোনটা গুরুত্বপূর্ণ ও কোনটা অগুরুত্বপূর্ণ। আমার কাছে ব্যাপারটা এমনই। যেসব সৈন্য সীমান্তে আছেন, পরিবারের সঙ্গে দেখা হয় না সেভাবে, কখনো কখনো নিজেদের জীবন উৎসর্গ করছেন এবং আর কখনোই বাড়ি ফেরেন না, তাঁদের ত্যাগ আমাদের সবার জন্যই অনেক বড় ব্যাপার। সে তুলনায় একটি ক্রিকেট ম্যাচ ছাড়াটা খুবই সামান্য বিষয়।’
আরও পড়ুনআন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে চমকের নাম ফয়সাল২ ঘণ্টা আগেভারতের হয়ে ১০৩ টেস্টে ৪১৭ উইকেট নেওয়া ৪৫ বছর বয়সী সাবেক এই ক্রিকেটার আরও বলেন, ‘আমাদের সরকারেরও একই অবস্থান। রক্ত ও ঘাম একসঙ্গে বইতে পারে না। সীমান্তে লড়াই চলছে আর আমরা ক্রিকেট খেলতে নেমে পড়ছি, এটা হতে পারে না। এ বড় ইস্যুগুলো সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ক্রিকেট খুবই ছোট বিষয়। জাতি সবার আগে।’
হরভজন ব্যাখ্যা করেন, ‘আমাদের যা কিছু পরিচয়, সবই এই দেশের জন্য। সেটা আপনি খেলোয়াড়, অভিনেতা কিংবা যাই হোন—কেউ জাতির চেয়ে বড় নয়। সবার আগে দেশ এবং যে দায়িত্ব আসে, সেটা পালন করতেই হবে। দেশের বিষয়ে ক্রিকেট ম্যাচ না খেলাটা খুবই সামান্য ব্যাপার।’
২০০৭ সালে বেঙ্গালুরু টেস্টে ভারতের হরভজন সিং (বাঁয়ে) ও পাকিস্তানের শোয়েব আখতার। ওই ম্যাচের পর দুই দল আর কখনো টেস্টে মুখোমুখি হয়নি