একশনএইডের ১৩তম সাধারণ সভা, দুই নির্বাহী সদস্য, ৯ জন সদস্য নির্বাচিত
Published: 15th, May 2025 GMT
একশনএইড ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ সোসাইটির (এএআইবিএস) ১৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে দুইজনকে নির্বাহী বোর্ডের সদস্য ও নয়জনকে সাধারণ পরিষদের সদস্য নির্বাচিত করা হয়। সভায় নির্বাহী ও সাধারণ পরিষদের সদস্যরা দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে যোগ দেন।
সভা চলাকালীন দু’জনকে নতুন নির্বাহী বোর্ডের সদস্য ও নয়জনকে সাধারণ পরিষদের সদস্য হিসেবে নির্বাচন করা হয়। ফরহাদুর রেজা ও রাইসা গিয়াসকে নির্বাহী বোর্ডের সদস্য এবং নুরুন নাহার মজুমদার, সুরাইয়া আক্তার, রেক্সোনা খাতুন, নিপা আক্তার, আনোয়ারা বেগম, রামভোজন কৈরী, জান্নাতুল মাওয়া, নুরুল আলম মাসুদ ও ফারিহা সুলতানা অমিকে সাধারণ পরিষদ সদস্য হিসেবে নির্বাচন করা হয়।
সাধারণ পরিষদের সদস্যরা বার্ষিক সাধারণ সভা চলাকালীন সময়ে বার্ষিক অডিট রিপোর্ট-২০২৪ অনুমোদন করেন। এ সময় গত বছরের প্রধান কার্যক্রম ও অর্জন নিয়েও সভায় আলোচনা হয়। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের কর্মসূচি ও কার্যক্রমবিষয়ক বিভিন্ন তথ্য এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা করা হয়।
নতুন সদস্যদের শুভেচ্ছা জানিয়ে একশনএইড ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ সোসাইটির চেয়ারপারসন ইব্রাহিম খলিল আল-জায়াদ বলেন, নবনির্বাচিত সব সদস্যই এই প্রতিষ্ঠানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, নবনির্বাচিত বোর্ড সদস্যরা একশনএইডের লক্ষ্য, দৃষ্টিভঙ্গি এবং মূল্যবোধকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং তাদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা দিয়ে সোসাইটির পরিচালনাকে শক্তিশালী করে তুলবে।
সভায় একশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর এবং একশনএইড ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ সোসাইটির এক্স-অফিসিও সেক্রেটারি ফারাহ্ কবির প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শক্তিশালী পরিচালনা ব্যবস্থা ও জবাবদিহি বৃদ্ধিতে নির্বাহী পরিষদ এবং সাধারণ পরিষদের সদস্যদের অবদানের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, একশনএইড ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ সোসাইটি তৃণমূল থেকে শুরু করে নতুন প্রজন্ম ও অভিজ্ঞদের নির্বাহী বোর্ড ও সাধারণ পরিষদে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে একটি অন্তর্ভুক্তমূলক গণতান্ত্রিক মডেল তৈরি করতে পেরেছে, যা সবার জন্য অনুকরণীয়।
সভায় অন্যদের মধ্যে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এএআইবিএস’র এক্সিকিউটিভ বোর্ড মেম্বার এবং একশনএইড অস্ট্রেলিয়ার বোর্ড চেয়ার বেলিন্ডা মরিসে ও বোর্ড ডিরেক্টর ক্রিস্টিনা স্টেফানোভা প্রমুখ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ল দ শ স স ইট স স ইট র
এছাড়াও পড়ুন:
রায় ঘোষণার পর পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত সরকার: রিজওয়ানা হাসান
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রায় ঘিরে দেশে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় অন্তর্বর্তী সরকার প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। আজ সোমবার সকালে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজে ‘দ্য সোল অব জুট’ নামে এক প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন উপদেষ্টা।
দেশের নাশকতার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘বিদেশ থেকে কারা ইনফ্লুয়েন্স করেছে, দেশ থেকে কারা ওই বাসটাকে আগুন দেওয়ার জন্য ইনফ্লুয়েন্স করেছে, নামগুলো আপনারা জানেন। তদন্ত করে সরকার যে নামগুলো পাচ্ছে, সে নামগুলোই দিচ্ছে বলে আমার বিশ্বাস। এরপর কারও যদি মনে হয় তাঁর কাছে আরও তথ্য আছে, তাহলে সরকারকে জানান।’
সহিংসতা নিয়ে গণমাধ্যমের ভূমিকার বিষয়ে উপদেষ্টা রিজওয়ানা বলেন, সহিংসতা, ককটেল মারা এসব ক্ষেত্রে গণমাধ্যমেরও আরও একটু দায়িত্বশীল হওয়ার সুযোগ আছে। গণমাধ্যম চাইলে আতঙ্কটা ছড়াতে পারে; আবার যারা এই সহিংসতার সঙ্গে জড়িত, তাদের নিন্দা করে সহিংসতার বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে পারে।
গতকাল রোববার রাতে রিজওয়ানা হাসানের বাসায় ককটেল বিস্ফোরণের প্রসঙ্গে তিনি বলেন ‘আপনার বাসায় ককটেল মারবে আর আপনি নিশ্চিন্ত থাকবেন, তা তো হতে পারে না। তবে আতঙ্কিত হওয়া এক জিনিস, আর নিশ্চিন্ত না থাকা আরেক জিনিস। এবং সতর্ক হওয়া আরেক ব্যাপার। কথা হচ্ছে যে এ রকম একটা শান্ত পরিবেশে যে এ রকম অস্থিতিশীলতা গড়ে তোলা হচ্ছে, এটার ব্যাপারে জনমত গড়ে তুলতে হবে। আপনারা এগিয়ে আসুন। সরকারের যা করার সরকার তা করবে।’
রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, ‘যাতে সহিংসতা বৃদ্ধি না পায়, সে জন্য গণমাধ্যম এগিয়ে আসুক। যাতে সহিংসতা বৃদ্ধি না পায় সে বার্তাটা যেন গণমাধ্যম প্রচার করে।’
গতকাল রাত ৯টার দিকে রাজধানীর সেন্ট্রাল রোড এলাকায় সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের বাসার সামনে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।