একশনএইড ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ সোসাইটির (এএআইবিএস) ১৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে দুইজনকে নির্বাহী বোর্ডের সদস্য ও নয়জনকে সাধারণ পরিষদের সদস্য নির্বাচিত করা হয়। সভায় নির্বাহী ও সাধারণ পরিষদের সদস্যরা দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে যোগ দেন। 

সভা চলাকালীন দু’জনকে নতুন নির্বাহী বোর্ডের সদস্য ও নয়জনকে সাধারণ পরিষদের সদস্য হিসেবে নির্বাচন করা হয়। ফরহাদুর রেজা ও রাইসা গিয়াসকে নির্বাহী বোর্ডের সদস্য এবং নুরুন নাহার মজুমদার, সুরাইয়া আক্তার, রেক্সোনা খাতুন, নিপা আক্তার, আনোয়ারা বেগম, রামভোজন কৈরী, জান্নাতুল মাওয়া, নুরুল আলম মাসুদ ও ফারিহা সুলতানা অমিকে সাধারণ পরিষদ সদস্য হিসেবে নির্বাচন করা হয়। 

সাধারণ পরিষদের সদস্যরা বার্ষিক সাধারণ সভা চলাকালীন সময়ে বার্ষিক অডিট রিপোর্ট-২০২৪ অনুমোদন করেন। এ সময় গত বছরের প্রধান কার্যক্রম ও অর্জন নিয়েও সভায় আলোচনা হয়। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের কর্মসূচি ও কার্যক্রমবিষয়ক বিভিন্ন তথ্য এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা করা হয়। 

নতুন সদস্যদের শুভেচ্ছা জানিয়ে একশনএইড ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ সোসাইটির চেয়ারপারসন ইব্রাহিম খলিল আল-জায়াদ বলেন, নবনির্বাচিত সব সদস্যই এই প্রতিষ্ঠানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, নবনির্বাচিত বোর্ড সদস্যরা একশনএইডের লক্ষ্য, দৃষ্টিভঙ্গি এবং মূল্যবোধকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং তাদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা দিয়ে সোসাইটির পরিচালনাকে শক্তিশালী করে তুলবে।

সভায় একশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর এবং একশনএইড ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ সোসাইটির এক্স-অফিসিও সেক্রেটারি ফারাহ্ কবির প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শক্তিশালী পরিচালনা ব্যবস্থা ও জবাবদিহি বৃদ্ধিতে নির্বাহী পরিষদ এবং সাধারণ পরিষদের সদস্যদের অবদানের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। 

তিনি বলেন, একশনএইড ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ সোসাইটি তৃণমূল থেকে শুরু করে নতুন প্রজন্ম ও অভিজ্ঞদের নির্বাহী বোর্ড ও সাধারণ পরিষদে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে একটি অন্তর্ভুক্তমূলক গণতান্ত্রিক মডেল তৈরি করতে পেরেছে, যা সবার জন্য অনুকরণীয়।

সভায় অন্যদের মধ্যে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এএআইবিএস’র এক্সিকিউটিভ বোর্ড মেম্বার এবং একশনএইড অস্ট্রেলিয়ার বোর্ড চেয়ার বেলিন্ডা মরিসে ও বোর্ড ডিরেক্টর ক্রিস্টিনা স্টেফানোভা প্রমুখ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ল দ শ স স ইট স স ইট র

এছাড়াও পড়ুন:

আত্মহত্যায় সহায়তার কথা বলে তরুণীসহ নয়জনকে খুন করেছিলেন ‘টুইটার কিলার’, অবশেষে ফাঁসি

জাপানে ৯ জনকে হত্যার দায়ে এক ব্যক্তিকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার তাকাহিরো শিরাইশি নামের ওই ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। তিনি ‘টুইটার কিলার’ নামেও পরিচিত। এর মধ্য দিয়ে ২০২২ সালের পর এই প্রথম জাপানে কারও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলো।

‘টুইটার কিলার’ নামের কারণ—তাকাহিরো যাঁদের হত্যা করেছিলেন, তাঁদের সঙ্গে টুইটারে (বর্তমান এক্স) তাঁর পরিচয় হয়েছিল। ২০১৭ সালে ওই হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছিল। তখন তাকাহিরোর বয়স ছিল ৩০ বছর। হত্যাকাণ্ডের শিকার বেশির ভাগই ছিলেন ১৫ থেকে ২৬ বছর বয়সী তরুণী। নিজের বাসায় ডেকে নিয়ে তাঁদের হত্যা করেছিলেন তাকাহিরো।

এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি প্রথম সামনে আসে ২০১৭ সালের অক্টোবরে। সে সময় তাকাহিরোর হত্যার শিকার এক নারীর সন্ধান করতে গিয়ে টোকিওর কাছে জামা শহরের একটি বাসায় মানুষের শরীরের কিছু অংশ খুঁজে পায় পুলিশ। এরপর তাকাহিরোকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৯ জনকে হত্যার কথাও স্বীকার করেন তিনি।

তাকাহিরোর জবানবন্দি অনুযায়ী, ওই ৯ জনের আত্মহত্যার প্রবণতা ছিল। টুইটারের মাধ্যমে তাঁদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়। তাঁদের তাকাহিরো বলেন, তিনি আত্মহত্যা করতে সহায়তা করতে পারবেন। এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে হত্যার শিকার ব্যক্তিদের তিনি বলেছিলেন, তাঁদের সঙ্গে তিনিও নিজেকে হত্যা করবেন।

তাকাহিরোর বিচারের সময় তাঁর আইনজীবীরা আদালতকে বলেছিলেন, ভুক্তভোগীদের সম্মতি নিয়েই তাঁদের হত্যা করেছিলেন তাঁদের মক্কেল। তাকাহিরোর মানসিক অবস্থা পর্যালোচনার আহ্বানও জানিয়েছিলেন তাঁরা। পরে আইনজীবীদের বক্তব্যের বিপরীতে গিয়ে তিনি বলেন, হত্যা করার সময় ভুক্তভোগীদের সম্মতি নেননি তিনি। এরপর ২০২০ সালের ডিসেম্বরে তাকাহিরোর মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়া হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আত্মহত্যায় সহায়তার কথা বলে তরুণীসহ নয়জনকে খুন করেছিলেন ‘টুইটার কিলার’, অবশেষে ফাঁসি