সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ৪৫ হাজার ৮৯৬ জন হজযাত্রী
Published: 15th, May 2025 GMT
হজ পালনের উদ্দেশ্যে এখন পর্যন্ত ১১৫টি ফ্লাইটে সর্বমোট ৪৫ হাজার ৮৯৬ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে আশকোনা হজ অফিস থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত তিনটি এয়ারলাইন্সের ১১৫টি ফ্লাইটে এসব হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছান। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পরিচালিত ফ্লাইট ৫৭টি, সৌদি এয়ারলাইন্স ৩৯টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স ১৯টি।
চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে আগামী ৫ জুন হজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার ফ্লাইট শুরু হয়েছে ২৯ এপ্রিল এবং তা চলবে ৩১ মে পর্যন্ত।
এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৭ হাজার ১০০ জন হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব যাচ্ছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫ হাজার ২০০ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮১ হাজার ৯০০ জন রয়েছেন।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত মোট ৮৬ হাজার ৭০১ জন হজযাত্রীর ভিসা ইস্যু করা হয়েছে। বাকি রয়েছেন মাত্র ৩৯৯ জন হজযাত্রী।
এদিকে, হজ পালন করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ছয়জন বাংলাদেশি হজযাত্রী সৌদি আরবে মৃত্যুবরণ করেছেন বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
হজ শেষে ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ১০ জুন থেকে এবং তা শেষ হবে ১০ জুলাই।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: হজয ত র হজয ত র ফ ল ইট ল ইন স
এছাড়াও পড়ুন:
রায় ঘোষণার পর পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত সরকার: রিজওয়ানা হাসান
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রায় ঘিরে দেশে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় অন্তর্বর্তী সরকার প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। আজ সোমবার সকালে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজে ‘দ্য সোল অব জুট’ নামে এক প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন উপদেষ্টা।
দেশের নাশকতার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘বিদেশ থেকে কারা ইনফ্লুয়েন্স করেছে, দেশ থেকে কারা ওই বাসটাকে আগুন দেওয়ার জন্য ইনফ্লুয়েন্স করেছে, নামগুলো আপনারা জানেন। তদন্ত করে সরকার যে নামগুলো পাচ্ছে, সে নামগুলোই দিচ্ছে বলে আমার বিশ্বাস। এরপর কারও যদি মনে হয় তাঁর কাছে আরও তথ্য আছে, তাহলে সরকারকে জানান।’
সহিংসতা নিয়ে গণমাধ্যমের ভূমিকার বিষয়ে উপদেষ্টা রিজওয়ানা বলেন, সহিংসতা, ককটেল মারা এসব ক্ষেত্রে গণমাধ্যমেরও আরও একটু দায়িত্বশীল হওয়ার সুযোগ আছে। গণমাধ্যম চাইলে আতঙ্কটা ছড়াতে পারে; আবার যারা এই সহিংসতার সঙ্গে জড়িত, তাদের নিন্দা করে সহিংসতার বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে পারে।
গতকাল রোববার রাতে রিজওয়ানা হাসানের বাসায় ককটেল বিস্ফোরণের প্রসঙ্গে তিনি বলেন ‘আপনার বাসায় ককটেল মারবে আর আপনি নিশ্চিন্ত থাকবেন, তা তো হতে পারে না। তবে আতঙ্কিত হওয়া এক জিনিস, আর নিশ্চিন্ত না থাকা আরেক জিনিস। এবং সতর্ক হওয়া আরেক ব্যাপার। কথা হচ্ছে যে এ রকম একটা শান্ত পরিবেশে যে এ রকম অস্থিতিশীলতা গড়ে তোলা হচ্ছে, এটার ব্যাপারে জনমত গড়ে তুলতে হবে। আপনারা এগিয়ে আসুন। সরকারের যা করার সরকার তা করবে।’
রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, ‘যাতে সহিংসতা বৃদ্ধি না পায়, সে জন্য গণমাধ্যম এগিয়ে আসুক। যাতে সহিংসতা বৃদ্ধি না পায় সে বার্তাটা যেন গণমাধ্যম প্রচার করে।’
গতকাল রাত ৯টার দিকে রাজধানীর সেন্ট্রাল রোড এলাকায় সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের বাসার সামনে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।