সংস্কার, বিচার ও নির্বাচনের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দৃঢ় সমর্থন থাকবে: চরমোনাই পীর
Published: 25th, May 2025 GMT
সংস্কার, বিচার ও নির্বাচনের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দৃঢ় সমর্থন থাকবে:
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, নির্বাচন আয়োজন করা অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব। তবে তারও আগে প্রয়োজনীয় ও মৌলিক সংস্কার, ফ্যাসিবাদের বিচার নিশ্চিত করা এই সরকারের দায়িত্ব। এ দায়িত্ব থেকে পিছিয়ে আসার কোনো সুযোগ নেই।
রোববার রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। তিনি বলেন, ‘এখানে আমরা জিতলে একসঙ্গে জিতব। ঠকলে একসঙ্গে ঠকব। কিন্তু মাঝপথে আপনি রণেভঙ্গ দেবেন, মাঝসমুদ্রে আমাদের ফেলে চলে যাবেন, এটা হতে পারে না।’
সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, মুহাম্মাদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারকে মৌলিক সংস্কার শেষ করতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে। নির্বাচনের সময় নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া সময়সীমার ওপর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আস্থা রাখে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সরকারপ্রধানকে কয়েকটি বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন। বিষয়গুলো হলো প্রয়োজনীয় ও মৌলিক সংস্কার শেষ করেই নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। ফ্যাসিবাদী শক্তি, যারা ইতিহাসের নির্মম হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে, দ্রুততার সঙ্গে তাদের বিচার দৃশ্যমান করতে হবে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের আগে করতে হবে। বিতর্ক তৈরি করে এবং স্পর্শকাতর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা ও আলাপ–আলোচনা করে নিলে অহেতুক ভুল–বোঝাবুঝি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী। তিনি জানান, প্রধান উপদেষ্টা তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন, তাঁর মাধ্যমে বাংলাদেশের কোনো অনিষ্ট হবে না।
মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেন, প্রধান উপদেষ্টাকে তাঁরা বলেছেন, ধৈর্য, সাহসিকতা ও প্রজ্ঞার সঙ্গে দেশবিরোধী সব চক্রান্ত রুখে দিয়ে মৌলিক সংস্কারগুলো শেষ করবেন এবং জাতিকে কাঙ্ক্ষিত নির্বাচনের নির্দিষ্ট সময়সীমা দেবেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকায় আরেক ফিলিপস: স্বপ্ন গ্লেনের সঙ্গে বিশ্বকাপ খেলা
পুরস্কার বিতরণী মঞ্চ তৈরির কাজ চলছে তখন। অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে সবাই। সবার মধ্যেও আলাদা একজন। এদিক–ওদিক ছুটে বেড়াচ্ছেন, একটু পর শুয়ে পড়লেন ঘাসেই। কিছুক্ষণ পর উঠে মাঠে থাকা একটা বোতল নিয়ে ফেললেন ডাস্টবিনে। লোকটার নাম ডেল ফিলিপস।
বাংলাদেশ সফরে আসা নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের এই ক্রিকেটারের নামটা শুনে আপনার নিশ্চয়ই অন্য এক ফিলিপসের কথা মনে হচ্ছে? হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন। দুজনের একটা সম্পর্ক তো আছেই। নিউজিল্যান্ড জাতীয় দলের তারকা গ্লেন ফিলিপসের ভাই ডেল ফিলিপস।
গ্লেন দুই বছরের বড়। তবে ছোটবেলা থেকে দুজনই একসঙ্গে ক্রিকেট খেলে বেড়ে উঠেছেন। একসঙ্গে খেলেছেন অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপেও, এই বাংলাদেশেই। দুবার আসার এই অভিজ্ঞতাটুকু কেমন জানতে চাইলে বেশ উচ্ছ্বাস নিয়েই ডেল বললেন, ‘বাংলাদেশে এলে খুব ভালো লাগে। এখানকার আতিথেয়তা দারুণ।’
২০১৬ সালের সেই অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দুই ভাই একসঙ্গে এলেও এবার শুধু ডেল। কারণ, বড় ভাই এরই মধ্যে ‘এ’ দলের গণ্ডি পেরিয়ে জাতীয় দলের বড় তারকা হয়ে গেছেন।
গ্লেন ফিলিপস