দিনাজপুরের হিলিতে কাঁচা মরিচের দাম এক লাফে ১৩০ টাকা বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে কৃষকের মরিচ ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাওয়ায় দাম বেড়েছে। এদিকে, হঠাৎ দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে হিলি সবজি বাজার ঘুরে জানা যায়, এক সপ্তাহ আগে যে কাঁচা মরিচ ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল, আজ তা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজি দরে।

হিলি বাজারে সবজি কিনতে আসা আব্দুল খালেক বলেন, ‘‘গত সপ্তাহেও ৩০ টাকা করে কাঁচা মরিচ কিনেছি। আজ ১৬০ টাকা কেজি দরে কিনলাম।’’

আরো পড়ুন:

হাওরে কাঁচা মরিচ চাষে লোকসানের মুখে চাষিরা

কমেছে সবজির দাম, ক্রেতাদের স্বস্তি

রফিকুল ইসলাম নামের একজন বলেন, ‘‘বাজারে কাঁচা মরিচের ঝাঁজ অনেক বেশি। দুই কেজি প্রয়োজন হলেও হাফ কেজি নিয়েছি।’’

হিলি বাজারের কাঁচা মরিচ ব্যবসায়ী বিপ্লব শেখ বলেন, ‘‘গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে কৃষকের জমিতে মরিচসহ ফুল নষ্ট হয়ে গেছে। যে কারণে বাজারে কাঁচা মরিচের আমদানি কমে গেছে। বেশি দামে কেনায় বিক্রিও করতে হচ্ছে বাড়তি দামে। আবহাওয়ার পরিস্থিতির উন্নতি হলে দাম কমবে আশা করছি।’’

ঢাকা/মোসলেম/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক চ মর চ

এছাড়াও পড়ুন:

শিক্ষকের ওপর হামলা, জবি ছাত্রদল নেতা মাহমুদুলের পদ স্থগিত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দুই শিক্ষক ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের (বাগছাস) তিন নেতার ওপর হামলার ঘটনায় জবি শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসানের সাংগঠনিক পদ এক মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক (সহসভাপতি মর্যাদার) মো. জাহাঙ্গীর আলমের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসানের সাংগঠনিক পদ আগামী ১ মাসের জন্য স্থগিত করা হলো।

ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সাজিদ ভবনের নিচে বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রফিক বিন সাদেক রেসাদের ছাত্রলীগ সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলে মারধর শুরু করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এ সময় বিভাগের শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা ড. এ কে এম রিফাত হাসান এবং সহকারী প্রক্টর শফিকুল ইসলাম রক্ষা করতে গেলে তাদের গালিগালাজ ও হামলা করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। একই সঙ্গে শাখা বাগছাস সভাপতি, মুখ্য সংগঠক ও যুগ্ম আহ্বায়ক যথাক্রমে মো. ফয়সাল মুরাদ, ফেরদৌস হাসান এবং ফারুককে ‘ছাত্রলীগ’ ট্যাগ দিয়ে তাদের ওপরও হামলা ও মারধর করেন তারা। বর্তমানে তারা ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি আছেন। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ