অবশেষে চালু হলো চক্ষুবিজ্ঞান হাসপাতালের সব সেবা
Published: 14th, June 2025 GMT
অবশেষে চালু হলো রাজধানীর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সব সেবা। টানা ১৭ দিন পর এ অচলাবস্থার অবসান হলো।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে হাসপাতালটির বহির্বিভাগে চিকিৎসাসেবার টিকিট দেওয়া শুরু হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টায় খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের বহির্বিভাগের দুটি কাউন্টার থেকে রোগীদের ৯ শতাধিক টিকিট দেওয়া হয়েছে। বেলা ১টা পর্যন্ত চিকিৎসাসেবার এ টিকিট দেওয়া হবে।
আজ সকালে হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, বহির্বিভাগ, জরুরি বিভাগসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে এক হাজারের বেশি রোগী চিকিৎসা নিতে এসেছেন।
এর আগে গত ২৮ মে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের সঙ্গে হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্স-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংঘর্ষ ও মারামারি হয়। এর জেরে দেশের সবচেয়ে বড় বিশেষায়িত চক্ষু হাসপাতালের সব ধরনের চিকিৎসাসেবা বন্ধ হয়ে যায়। ভর্তি রোগীদের বেশির ভাগ হাসপাতাল ছেড়ে চলে যান।
পরে ৪ জুন হাসপাতালটির জরুরি বিভাগে সীমিত পরিসরে চিকিৎসাসেবা (জরুরি সেবা) চালু হয়। আর গত বৃহস্পতিবার সীমিত পরিসরে বহির্বিভাগের চিকিৎসাসেবা চালু হয়।
হাসপাতালের ভেতরে কর্মরত চিকিৎসক ও নার্সদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রোগীদের প্রয়োজন অনুযায়ী সেবা দেওয়া হচ্ছে। যাঁদের পরীক্ষার প্রয়োজন তাঁদের পরীক্ষা করানো হচ্ছে।
হাসপাতালটির বহির্বিভাগে চিকিৎসাসেবার টিকিট দেওয়া শুরু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা ট্রাম্পের, শুল্ক কমে ১৫ শতাংশ
দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামীকাল ১ আগস্ট কয়েক ডজন দেশের ওপর ট্রাম্পের আরোপ করা বাড়তি শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগেই দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে এ চুক্তির বিষয়টি জানানো হলো।
নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট দিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, একটি ‘সম্পূর্ণ ও পূর্ণাঙ্গ’ বাণিজ্য চুক্তির আওতায় দক্ষিণ কোরিয়ার পণ্যের ওপর ১৫ শতাংশ শুল্ক বলবৎ থাকবে। তবে মার্কিন রপ্তানি পণ্যে কোনো শুল্ক থাকবে না।
ট্রাম্প আরও জানান, দক্ষিণ কোরিয়া ৩৫ হাজার কোটি বা ৩৫০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। এসব বিনিয়োগে যুক্তরাষ্ট্রের ‘মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ’ থাকবে। সেই সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়া ১০ হাজার কোটি বা ১০০ বিলিয়ন ডলারের তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) ও অন্যান্য জ্বালানি পণ্য কিনবে।
এ ছাড়া পূর্ব এশিয়ার দেশটি যুক্তরাষ্ট্রে নিজস্ব বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে ‘বড় অঙ্কের’ অর্থ লগ্নি করতে রাজি হয়েছে বলে জানান ট্রাম্প। অর্থাৎ দক্ষিণ কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রে কোনো প্রকল্প বা খাতে সরাসরি বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে, যার মূল লক্ষ্য হবে তাদের নিজেদের অর্থনৈতিক লাভ ও স্বার্থ নিশ্চিত করা। যদিও এ বিনিয়োগের পরিমাণ জানানো হয়নি। আগামী ‘দুই সপ্তাহের মধ্যে’ হোয়াইট হাউসে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে-মিয়ংয়ের সফর করার কথা রয়েছে। তখন এ বিষয়ে ঘোষণা আসবে।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের হঠাৎ সামরিক আইন জারির জেরে দক্ষিণ কোরিয়ায় কয়েক মাস রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা যায়। অস্থিরতা কাটিয়ে গত জুনে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন লি জে-মিয়ং। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য শুল্ক নিয়ে আরেকটি অনিশ্চয়তায় পড়তে হয় দেশটিকে।
আরও পড়ুনদক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানসহ বেশ কিছু দেশের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপ করলেন ট্রাম্প০৭ জুলাই ২০২৫এখন বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে-মিয়ং বলেছেন, এটা সব ধরনের ‘অনিশ্চয়তা দূর করবে’ এবং এটা নিশ্চিত করবে যে দক্ষিণ কোরিয়া প্রতিযোগীদের তুলনায় সমান অথবা কম পরিমাণে শুল্ক দেবে।
১ আগস্টের আগে বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছানো না গেলে দক্ষিণ কোরিয়ার পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়ে রেখেছিলেন ট্রাম্প। এ ছাড়া দেশটির ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম, যানবাহন ও পরিবহন যন্ত্রাংশের ওপর বাড়তি শুল্ক আরোপের কথা ছিল।
আরও পড়ুনট্রাম্পের শুল্কের লক্ষ্য এশীয় দেশগুলো, কে জিতছে১৪ জুলাই ২০২৫আরও পড়ুনট্রাম্পের নতুন পাল্টা শুল্ক, নড়েচড়ে বসেছে সব দেশ০৯ জুলাই ২০২৫