পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন রিয়াল মাদ্রিদের ফরাসি তারকা। সেখানে অসুস্থ হলে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

বুধবার এমবাপ্পেকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। স্প্যানিশ ক্লাবটি জানিয়েছে, ‘আমাদের খেলোয়াড় কিলিয়ান এমবাপ্পে মারাত্মক গ্যাস্ট্রোএনটেরিটাইসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। সেখানে তাঁকে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’

গ্যাস্ট্রোএনটেরিটিসে অন্ত্রে সংক্রমণ হয়, যার কারণে বমি ও ডায়রিয়া হতে পারে।
অসুস্থতার কারণেই বুধবার মায়ামিতে আল হিলালের বিপক্ষে রিয়ালের প্রথম ম্যাচে খেলতে পারেননি এমবাপ্পে। ম্যাচের আগের দিন রিয়াল কোচ জাবি আলোনসো জানিয়েছিলেন, ‘এমবাপ্পে আগের চেয়ে ভালো বোধ করছে। তবে অতিরিক্ত গরমে ওর অবস্থা খুব ভালো নয়। আমরা ওর জন্য শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করব।’

১৫ জুন ফ্লোরিডার পাম বিচে রিয়ালের অনুশীলনে সতীর্থদের সঙ্গে কিলিয়ান এমবাপ্পে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এমব প প

এছাড়াও পড়ুন:

রাজউক সার্ভারে ঢুকে নকশা অনুমোদন, গ্রেপ্তার ৩

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ইসিপিএস সার্ভার হ্যাক করে অনুপ্রবেশের মাধ্যমে জালিয়াতি করে নকশা অনুমোদনের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মতিঝিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজউকের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মারুফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ১৯ মে নকশা অনুমোদন-সক্রান্ত ইসিপিএস সার্ভারে অনুপ্রবেশ করে মাত্র ১৭ মিনিটে একটি ভবনের অনুমোদন পাশের ঘটনাটি নজরে আসে রাজউক কর্তৃপক্ষের। 
জলাভূমি ও হাইট রেস্ট্রিকশন থাকা ভূমিতে ১৫ তলাবিশিষ্ট ১৮৫ ইউনিটের এই সুউচ্চ ভবনটির নকশা সব বিধিকে পাশ কাটিয়ে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে পাস করিয়ে নেয় অনুপ্রবেশকারীরা। পরে রাজউক কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি জানতে পেরে প্রাথমিক তদন্তে একই উপায়ে আরও তিনটি ভবনের নকশা অনুমোদন শেষ পর্যায়ে প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় পায়। তৎক্ষণাৎ সার্ভারটি বন্ধ করে মতিঝিল থানায় সেদিনই একটি জিডি করা হয়।

পাস করা নকশার সূত্র ধরে রাবেয়া বারী নামক এক প্রকৌশলীর সন্ধান পায় রাজউক, যার স্বাক্ষর নকশাগুলোতে পাওয়া যায়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে মতিঝিলের নীলনকশা নামের একটি কম্পিউটারের দোকান ও সেখানকার এক কর্মচারী স্বপনের নাম। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনির হোসেন হাওলাদারের নেতৃত্বে গত ২২ মে একটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয় মতিঝিলের নীলনকশা নামক দোকানটিতে। দোকানটির সঙ্গে অননুমোদিত নকশা অনুমোদনের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। একই সঙ্গে দোকানটির মালিক এনামুলের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে রাজউকের নির্ধারিত ফি পরিশোধের প্রমাণ পাওয়া যায়।

এ ছাড়াও দোকানের কয়েকটি কম্পিউটারে ওই অবৈধ ভবনগুলোর নকশা পাওয়া যায়। এতে দোকানের মালিক এনামুল ও কর্মচারী স্বপনের সম্পৃক্ততা প্রতীয়মান হয়। মোবাইল কোর্ট চলাকালে তাদের কাউকেই না পাওয়া যাওয়ায় সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মচারীদের পুলিশের আওতায় নেওয়া হয়।

রাজউকের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মারুফ বলেন, এমন সংবেদনশীল বিষয়ে রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেন এবং তাঁর নির্দেশনায় ৬ জুন রাজউক বাদী হয়ে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ধারাসহ দণ্ডবিধির ধারায় উত্তরা পূর্ব থানায় মামলা করেন। 

তিনি বলেন, মামলার এজাহারনামীয় ২১ নম্বর আসামি জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠান ‘নীলাভ নকশাঘর’ এর মালিক মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ এজাহারনামীয় ২২ ও ২৩ নম্বর আসামি সজীব ও মুকুলকে পুলিশ মতিঝিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ