বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম বলেছেন, বিএনপি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে। বিএনপি জনগণের ওপর নির্ভরশীল একটি দল। বিএনপির এতো নেতাকর্মীকে জেলে নিয়েছে, হত্যা করেছে, গুম করেছে, পঙ্গু করেছে তারপরও বিএনপি গণতান্ত্রিক পথে থাকার চেষ্টা করেছে।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজশাহী নগরীর চন্দ্রিমা থানা বিএনপির কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আব্দুস সালাম বলেন, শেখ হাসিনার বাবা এক সময় বাংলাদেশের রাজনীতিকে মাটির নিচে পাঠিয়ে দিয়েছিলো আন্ডারগ্রাউন্ড পলিটিক্সে। এক দল বাকশাল করেছিলো, শেখ হাসিনা অঘোষিত বাকশাল করেছিলেন যেনো এ দেশে কোন গণতন্ত্র না থাকে। কেউ কথা বলতে পারবে না, কেউ নির্বাচন করতে পারবে না। উনি যাই বলবে; তাই হবে। উনি বুক ফুলিয়ে বলেছেন, এ দেশে একটা বিরোধী দল পাইলাম না। অর্থাৎ বিরোধী দলটা উনি বানাতে চায়। সরকার উনি নিজেই, আর বিরোধী দল তার মন মতো হবে। আমরা ওই গণতন্ত্র বিশ্বাস করি না। এ কারণে এখনও আমরা বলি, সব রাজনীতি সবাই করুক আর মানুষ ঠিক করবে কে ক্ষমতায় যাবে আর কে যাবে না। 

তিনি আরও বলেন, অনেকেই বলে হাসিনার মতো, বিএনপি খালি ভোট ভোট করে। খালি নির্বাচনের কথা বলে। আমরাতো নির্বাচনের কথাই বলবো। আমরাতো ভোটের কথাই বলবো। কারণ, পাঁচ বছরে একবার মানুষ ভোট দেওয়ার সুযোগ পায়। এই ভোটের অধিকারটাও কেড়ে নিয়েছিলো। এই ভোট দরকার ছিলো না শেখ হাসিনার। শেখ হাসিনার দরকার ছিলো ভারতের। ভারত তাকে রক্ষা করবে, ভারত তাকে ক্ষমতায় আনবে এবং আজীবন তাকে পুষে বড় করবে। দেশ আমার আপনার, আর ভারত ঠিক করতে এইটা আমরা আগেও মানিনি এখনও মানি না।

সম্মেলনে চন্দ্রিমা থানা বিএনপির আহ্বায়ক ফাইজুল হক ফাহির সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী এশা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ গণতন ত র ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপি উড়ে এসে জুড়ে বসেনি: মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এ দেশে যা কিছু ভালো, সবকিছু দিয়েছে বিএনপি। তাই নানা নির্যাতন-নিপীড়ন করেও দলটিকে কেউ বিলীন করতে পারেনি। এই দল ফিনিক্স পাখির মতো। একে ভেঙে ফেলার ষড়যন্ত্র হয়েছে, কিন্তু সফল হয়নি। বরং ষড়যন্ত্রকারীরাই পালিয়ে গেছে। বিএনপি সেই দল, যারা উড়ে এসে জুড়ে বসেনি।

আজ শনিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের পুরোনো স্টেডিয়ামে জেলা বিএনপির ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে জানিয়ে এই নেতা বলেন, বর্তমানে দেশে অনেক ষড়যন্ত্র চলছে এবং মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে বিএনপিকে। যাদের কাল জন্ম হয়েছে এবং যারা একাত্তর সালে ভিন্ন অবস্থানে কিংবা ভিন্ন জায়গায় ছিল—তারাও বিএনপিকে নিয়ে নানা কথা বলে। যা কিছু ভালো, তার সবকিছু বাংলাদেশে দিয়েছে এই বিএনপি। দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বিএনপি এই পর্যায়ে এসেছে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে যে সুযোগ এসেছে এবং নির্বাচনের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার যে সুযোগ তৈরি হয়েছে—তা কাজে লাগাতে হবে। বিএনপি এ জন্য প্রস্তুত।

দেশ গঠনে বিএনপির অবদান তুলে ধরে দলটির মহাসচিব বলেন, শহীদ জিয়া ছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছিলেন। এর আগে শেখ মুজিবুর রহমান মাত্র চারটি পত্রিকা চালু রেখে সব পত্রপত্রিকা বন্ধ করে দেন। তরুণদের এ কথাটা জানা দরকার। শহীদ জিয়ার স্বপ্ন ছিল একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নির্মাণের, আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার। সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য তিনি বিএনপিকে প্রতিষ্ঠা করেন। বাকশাল থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র নিয়ে আসেন।

কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলমের সভাপতিত্বে ও মাজহারুল ইসলামের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম। বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ, কোষাধ্যক্ষ এম রাশিদুজ্জামান মিল্লাত, সহসাংগঠনিক সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ ওয়ারেছ আলী ও আরেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পিআর পদ্ধতি আনতে চাইলে জনগণের কাছে যান: ফারুক
  • সাম্প্রদায়িকতা, গণতান্ত্রিক অধিকার সংকোচন ও জাতীয় স্বার্থ ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা গুরুতর হুমকি
  • যারা জুলাই আন্দোলনের বিরুদ্ধে তারা আর কখনো ফিরে আসবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • বিএনপি উড়ে এসে জুড়ে বসেনি: মির্জা ফখরুল
  • আ.লীগ ১৫ বছরে অর্থনীতিকে সম্পূর্ণ ফোকলা বানিয়েছে: মঈন খান
  • যারা নির্বাচন ভণ্ডুল করতে চাচ্ছে, তারা অশুভ শক্তি: আযম খান
  • সন্তানকে গলা কেটে হত্যার পর অন্তঃসত্ত্বা মায়ের আত্মহত্যার অভিযোগ