সারাদেশে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৫১ ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়াল ৭ হাজার ৭৭। তাদের মধ্যে ৩ হাজার ২৮০ জনই বরিশাল বিভাগের; মোট রোগীর হিসাবে এখানে আক্রান্তের হার ৪৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ। শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৮৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৫, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৭, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১৮ ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১০, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) তিন এবং রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) দু’জন রয়েছেন। 

গত দুই দশকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, জুলাইয়ের শেষে কিংবা আগস্টের শুরু থেকে ডেঙ্গুর সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। তবে এ বছর জুনের শুরুতেই পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে।

রাজধানীর বেশ কয়েকটি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, প্রতিদিনই ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে। বাইরে থেকে বেশি আসছে সংকটাপন্ন রোগী। বরিশাল ও বরগুনায় রোগীর বিপরীতে পর্যাপ্ত শয্যা সংকটের কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। রোগীদের অভিযোগ, স্যালাইন ও ওষুধের সংকট রয়েছে। প্লাটিলেট সংগ্রহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

এ ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা.

সায়েদুর রহমান বলেন, মশক নিধন কার্যক্রম প্রত্যাশিত মাত্রায় হয়নি। এ জন্য ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে। একা কোনো সংস্থার পক্ষে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। ভাইরাসটি প্রতিরোধে জাতীয়ভাবে কর্মসূচি নেওয়া দরকার। তবে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য বিভাগের বিশেষ টিম কাজ করছে বলে জানান তিনি।

কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার বলেন, ডেঙ্গু রোগীকে কেন্দ্র করে হটস্পট নির্ধারণ করা প্রয়োজন। যেসব এলাকায় বা বাড়িতে ডেঙ্গু রোগী আছে, সেই বাড়ির চারদিকে ২০০ মিটার পর্যন্ত ফগিং মেশিন দিয়ে ক্রাশ করে এডিস মশা মেরে ফেলতে হবে। একই সঙ্গে হটস্পট ম্যানেজমেন্টের পাশাপাশি ব্রিডিং সোর্স ম্যানেজমেন্টও করতে হবে। তিনি আরও বলেন, নগরবাসীকে নিশ্চিত করতে হবে নিজের বাড়ি এবং বাড়ির আঙিনায় যেন মশার কোনো প্রকার প্রজননস্থল না থাকে। যদি প্রজননস্থলগুলো এমন হয় যে, এটিকে ফেলে দেওয়া যাচ্ছে না; তাহলে সেখানে করপোরেশনের মাধ্যমে কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে।

২০২৪ সালে মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন এবং মৃত্যু হয় ৫৭৫ জনের। এর আগে ২০২৩ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন; আর ১ হাজার ৭০৫ জন মারা যান।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বর শ ল বর শ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ডেঙ্গু আক্রান্তের ৪৬ শতাংশ বরিশালের

সারাদেশে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৫১ ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়াল ৭ হাজার ৭৭। তাদের মধ্যে ৩ হাজার ২৮০ জনই বরিশাল বিভাগের; মোট রোগীর হিসাবে এখানে আক্রান্তের হার ৪৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ। শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৮৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৫, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৭, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১৮ ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১০, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) তিন এবং রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) দু’জন রয়েছেন। 

গত দুই দশকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, জুলাইয়ের শেষে কিংবা আগস্টের শুরু থেকে ডেঙ্গুর সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। তবে এ বছর জুনের শুরুতেই পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে।

রাজধানীর বেশ কয়েকটি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, প্রতিদিনই ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে। বাইরে থেকে বেশি আসছে সংকটাপন্ন রোগী। বরিশাল ও বরগুনায় রোগীর বিপরীতে পর্যাপ্ত শয্যা সংকটের কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। রোগীদের অভিযোগ, স্যালাইন ও ওষুধের সংকট রয়েছে। প্লাটিলেট সংগ্রহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

এ ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, মশক নিধন কার্যক্রম প্রত্যাশিত মাত্রায় হয়নি। এ জন্য ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে। একা কোনো সংস্থার পক্ষে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। ভাইরাসটি প্রতিরোধে জাতীয়ভাবে কর্মসূচি নেওয়া দরকার। তবে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য বিভাগের বিশেষ টিম কাজ করছে বলে জানান তিনি।

কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার বলেন, ডেঙ্গু রোগীকে কেন্দ্র করে হটস্পট নির্ধারণ করা প্রয়োজন। যেসব এলাকায় বা বাড়িতে ডেঙ্গু রোগী আছে, সেই বাড়ির চারদিকে ২০০ মিটার পর্যন্ত ফগিং মেশিন দিয়ে ক্রাশ করে এডিস মশা মেরে ফেলতে হবে। একই সঙ্গে হটস্পট ম্যানেজমেন্টের পাশাপাশি ব্রিডিং সোর্স ম্যানেজমেন্টও করতে হবে। তিনি আরও বলেন, নগরবাসীকে নিশ্চিত করতে হবে নিজের বাড়ি এবং বাড়ির আঙিনায় যেন মশার কোনো প্রকার প্রজননস্থল না থাকে। যদি প্রজননস্থলগুলো এমন হয় যে, এটিকে ফেলে দেওয়া যাচ্ছে না; তাহলে সেখানে করপোরেশনের মাধ্যমে কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে।

২০২৪ সালে মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন এবং মৃত্যু হয় ৫৭৫ জনের। এর আগে ২০২৩ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন; আর ১ হাজার ৭০৫ জন মারা যান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ