অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৩ জনের কারাদণ্ড
Published: 21st, June 2025 GMT
মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও স্তূপ করে রাখার দায়ে একজনের এক বছর ও দুজনের তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শনিবার (২১ জুন) বেলা ১১টার উপজেলার কামালপুর ইউনিয়নের আজমনি হাই স্কুলের সামনে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন মৌলভীবাজার সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আব্দুল আহাদ। সুনামগঞ্জের আলী হোসেন (৪০) ও সোহাগ (১৯)। এর মধ্যে, আব্দুল আহাদকে এক বছর, আলী হোসেন ও সোহাগকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন:
মাকে নির্যাতনের দায়ে ছেলের ২ বছরের কারাদণ্ড
কুষ্টিয়ায় অর্ধশতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করলো প্রশাসন
ইউএনও তাজউদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘‘অবৈধভাবে উত্তোলন করে স্তূপ করে রাখা বালু জব্দ করা হয়েছে।’’
ঢাকা/আজিজ/রাজীব
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মাটিরাঙ্গা সীমান্তসংলগ্ন ভারতের ত্রিপুরায় বাংলাদেশি গ্রাম পুলিশের মৃত্যুর অভিযোগ
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার সীমান্তসংলগ্ন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে মো. হানিফ মিয়া (৪৫) নামের এক বাংলাদেশি গ্রাম পুলিশের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। তিনি মাটিরাঙ্গা উপজেলার তবলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনজুর আলম। তবে কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, সে বিষয়ে তিনি নিশ্চিত নন। ইউএনও বলেন, ঘটনার বিষয়টি জানার পর বিজিবি ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে দুজন ব্যক্তি হানিফ মিয়াকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর তিনি নিখোঁজ ছিলেন। শুক্রবার বিকেলে ভারতের ত্রিপুরা সীমান্তে এক ব্যক্তির মরদেহের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নিহত ব্যক্তির স্ত্রী পারভিন আক্তার ভিডিওটি দেখে মরদেহটি তাঁর স্বামীর বলে শনাক্ত করেন। বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন তবলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোহাম্মদ ওসমান আলী। তিনি জানান, যাঁরা হানিফ মিয়াকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে একজনের নাম বেলাল। তাঁকে খুঁজছে পুলিশ।
ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, হানিফ মিয়ার দুই হাত পেছন থেকে বাঁধা এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, হানিফ মিয়াসহ পাঁচ ব্যক্তি অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের ত্রিপুরায় প্রবেশ করলে বিএসএফ তাঁদের ধাওয়া দেয়। এতে অন্য চারজন ফিরে আসেন, কিন্তু হানিফ মিয়া আটক হন। পরে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও দেখে নিহত ব্যক্তির ছেলে ও শ্যালক পুলিশকে জানান, ভিডিওতে দেখা ব্যক্তিটি নিখোঁজ হানিফ মিয়া। মরদেহটি বর্তমানে ভারতের কোথায় আছে, তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল প্রথম আলোকে বলেন, ‘হানিফ মিয়া তবলছড়ি ইউনিয়নের একজন গ্রাম পুলিশ সদস্য ছিলেন। ভিডিও দেখে মনে হচ্ছে, তাঁকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। তাঁর মরদেহ এখনো ভারতের ভেতরে রয়েছে।’