একটি দলের দায়িত্বশীল ব্যক্তি কীভাবে বলেন ‘নো হাঙ্কি পাঙ্কি’, প্রশ
Published: 7th, November 2025 GMT
একটি রাজনৈতিক দলের দায়িত্বশীল ব্যক্তি কীভাবে ‘নো হাঙ্কি পাঙ্কি’ বলেন, এমন প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি।
তিনি বলেন, ‘‘দেশে নির্বাচন হবে এটা স্বাভাবিক। সেখানে পক্ষে-বিপক্ষে মত থাকবেই। সেটাই তো রাজনৈতিক আদর্শের মূল ভিত্তি। কিন্তু আমি মনে করি, কোনো রাজনৈতিক আদর্শে ‘নো হাঙ্কি পাঙ্কি’ থাকতে পারে না। আমরা যে ভাষায় চলি, যে ভাষায় কথা বলি, সেই ভাষাতেই আমাদের নিজেদের আদর্শ প্রকাশ করা উচিত।’’
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) লক্ষ্মীপুর জেলা শ্রমিকদলের নবগঠিত কমিটির পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শহরের গোডাউন রোড এলাকার বশীর ভিলা হলরুমে এ সভার আয়োজন করা হয়।
শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, ‘‘একটি ইসলামী দলের নেতা গতকাল যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা জনগণ ভালোভাবে গ্রহণ করেননি। একটি দলের দায়িত্বশীল ব্যক্তি কীভাবে বলতে পারেন ‘নো হাঙ্কি পাঙ্কি’? এটা কি রাজনৈতিক ভাষা হতে পারে? জনগণ কি এটা গ্রহণ করবে? রাজনৈতিক নেতৃত্ব যদি এমন ভাষা ব্যবহার করেন, তাহলে সাধারণ মানুষের কাছে তা উপহাস ও অবজ্ঞা ছাড়া কিছু নয়। রাজনীতি অভিজ্ঞতার বিষয়। আমি ভেবেছিলাম—তিনি যেহেতু দায়িত্বে আছেন, ছাত্ররাজনীতি করেছেন; আবার ডাক্তারও। তাই ভেবেছিলাম তিনি পরিমিত ও দায়িত্বশীলভাবে কথা বলবেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তা দেখতে পাইনি।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘আমরা সাধারণ মানুষের মন বুঝি। আমরা গ্রামে যাই, ঘরে ঘরে যাই। বিএনপি হলো সাধারণ মানুষের দল, গণমানুষের দল; প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের গড়া দল। সহজ-সরল রাজনীতি, কোনো জটিলতা নেই। আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আমরা ছাত্ররাজনীতি করেছি, আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। রাজনীতি শিখেছি, শিখিয়েছি। গ্রামীণ মানুষের সঙ্গে রাজনীতি কীভাবে করতে হয়, তা আমাদের জানা আছে। কিন্তু, গতকাল জামায়াতে ইসলামীর ওই বক্তব্য আমাদের ভালো লাগেনি, একদমই পছন্দ হয়নি।’’
জেলা শ্রমিকদলের নবগঠিত কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম শাহীনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান সোহেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হাসিবুর রহমান প্রমুখ।
ঢাকা/লিটন/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘জাতীয় ইস্যুতে সর্বদলীয় ঐকমত্য জরুরি’
ভাষাবিদ ও সাহিত্যিক মাহমুদুল হাসান নিজামী বলছেন, “দেশের গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় ইস্যুতে সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে ঐকমত্য গঠন করা অতীব জরুরি।”
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ইসলামী সমন্বয় পরিষদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে তিনি প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা জানান।
নিজামী তার বক্তব্যে বলেন, “জাতীয় নিরাপত্তা ও নির্বাচন দুইটিই দেশের ভবিষ্যতের দিক নির্ধারণ করে। দেশের কল্যাণে জনগণের দাবি পূরণে সর্বস্তরের মানুষের মানবিক আচরণ প্রয়োজন। সরকারের কাজ হলো জাতিকে সঠিক পথ দেখানো, আর জনগণের কর্তব্য সেই পথ অনুসরণ করা। কিন্তু বর্তমানে সরকার ও জনগণের মধ্যে দূরত্ব বেড়ে গেছে- এটি কারো কাম্য নয়।”
তিনি বলেন, “এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে জাতীয় ইস্যুতে সর্বদলীয় ঐকমত্য প্রয়োজন। জাতীয় সংলাপই তার অন্যতম প্রেক্ষাপট।”
অনুষ্ঠানে সংগঠনের মহাসচিব বি এম এরশাদ বলেন, “নাগরিক নিরাপত্তা ও আসন্ন নির্বাচন দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এখন নির্বাচনকে গণদাবি হিসেবে দেখা হলেও নাগরিকের জীবন ও সম্পত্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বর্তমান অস্থায়ী সরকারের প্রধান দায়িত্ব হওয়া উচিত। তিনি যোগ করেছেন যে বৈষম্যরোধ, বাকস্বাধীনতা এবং স্বাধীন মত প্রকাশের নিশ্চয়তা প্রদান করাই সুষ্ঠু প্রক্রিয়ার ভিত্তি।”
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এস এম সরওয়ার বলেন, “দেশের সংকটময় সময়ে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস ছাড়া উন্নয়ন ও কল্যাণমুখী ভবিষ্যত নির্মাণ সম্ভব নয়। তাই জাতীয় নিরাপত্তা ও আগামী নির্বাচনকে সফল করতে সংগঠনটি কাজ করে যাচ্ছে।”
ঢাকা/এএএম/এস