কোন দেরাজে রাখি
তোমাকে তিন মাস লুকিয়ে রেখেছি নিভৃতে
বিদ্যুৎ বিলের ড্রয়ারে।
তখন তুমি ছিলে না কাছেপিঠে।
—হয়্যার হ্যাড ইউ বিন?
গেছিলে তুমি রানির চেয়ারের নিচে বসে
ভয় দেখাতে জবর:
চিৎকারে যেন ফেটে পড়ে বাকিংহাম পর্বতমালা!
এখন তুমি বিলাতফেরত—অতএব
সনদের ড্রয়ারে লুকিয়ে রাখাই শ্রেয়,
সঠিক মূল্য দিতে যদি চাই।
কিন্তু আমার ড্রয়ার সকলে
চাবিই তো ছিল না কোনো কালে।
চাবির রিং জমানোই সার
বিভিন্ন পর্যটন নগরের।
বিনা বেতনের ড্রয়ারের প্রহরী, ধর্মঘটি—
নাম লিখিয়েছে গ্রুপ সিক্স সিকিউরিটি গার্ডের দলে ইদানীং:
ওর কিছু ডলার জমানো দরকার,
হুমায়ূনের ‘কাদের’ চরিত্রের মতো
কিছু আহ্লাদ–আস্বাদ মেটাতে চায় এইবার
সমুদ্র এবং শৈলশহরে,
শুল্কবহরবিহীন বিমানবিপণীতে।
চিঠির ড্রয়ার আছে আরেকটা, সে তো অন্য একজনের লেখা
নীল পত্রে ঠাসা—
শুকনো, মথিত গোলাপের ঘ্রাণহীনতা ছাপিয়ে
গোল গোল ন্যাপথলিনের উগ্রতায়
মোটেও বাসযোগ্য নয় আর সে দেরাজ।
তোমার চিঠিও তো নয় সেসব পদ্যাক্রান্ত মন্ত্রাবলি।
চিঠিই তো লেখোনি মোটে আমাকে,
ডিজিটাল ক্লাউডের মেঘদূতম
কিছু মুছে ফেলা খুদে বার্তা ছিল তোমার
বড্ড স্ট্রেটকাট, নিরামিষ বয়ান।
আরেকটা ড্রয়ারে থাকে বাকির খাতা,
ভয়ে ভয়ে কখনো এক্সেলে টানা হয়নি যোগফল—
কোন দেউলিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে চুকাব হিসাব!
বিকেলের একফালি রোদ নহে,
ব্যাংকের আধা ট্রান্সপারেন্ট খাম
জমতে থাকে চৌকাঠের নিচে।
তাহলে কি তোমাকে চেনাব
সেই পিপাসার্ত, নিঃস্ব কাঠের নিবাস?
দেরাজ মাথায় তোমার বাড়ি চলে আসি বরং—
‘লিখিয়ো, উহা ফেরত চাহো কি না!’
ছাতাটা ফেলে এসেছি উনিশতলায়
এ মহা বাদরে
বেচারা থেরিয়াম
টংদোকানের ছাউনিতে মাথা বাঁচাই
জামাটা চুপসানো প্যারাসুট
জুতো জোড়া ‘ভেসে যায়
অলকানন্দায়’
ছাতাটা ফেলে এসেছি
আরেক দিন
বাসের অপেক্ষা কিংবা রুবী রায়
কখন নামবে বৃষ্টির বেশে
মানে অবতরণ করবে
আমাদের তুচ্ছ ফুটপাতে
শিরোপরি ঝাঁজালো
প্রখর তপন
একা একা হাঁটা
জীবনানন্দ
বন্ধুকে দেখে
ছাতার আড়াল নেন
কেন
অথবা কী কারণ
বদল করেন ফুটপাত,
আজ সন্ধ্যায়
জানা হলো
ঊর্ধশ্বাসে
এক বন্ধু
হেঁটে যাচ্ছে দেখে
স্বাস্থ্য শিকারে।
আমি তো শিকার করি শব্দ
রূপক আর উপমা
আর সখা হে—
‘সহস্র বছরের সাধনার ধন’;
ঈশ্বরের পরমায়ু
শিকার করে
আমার দেহমন।
আয়নায় তাকিয়ে দেখি
কিছু ছাই উড়ছে ফিরছে
শরীরে ওদের আস্তর
সাবানের ফেনার মতো
সামনে পাথুরে দেয়াল
আমার তো দেয়ালে পিঠ
ডানে–বামে আধখোলা
দরোজা–জানালা
আয়নায় তাকিয়ে দেখি
আমার যে চোখ নাই, কান নাই
মুখ নাই দেখাবার, বলবার
তোমাদের পানে চাহি
নেই কোনো উৎপাত
পারদের পিঠে লেপা
বেলজিকা কাচ বলে
পুড়ে গেছো তুমি আজ
জানালা-পথে যাচ্ছে
তোমার ভবিষ্যৎ উড়ে
আমি কি ভস্মীভূত
মায়াবী মাটিজুড়ে
মিশে যাব দুমুঠো
ঋতুছুট ধানের বিছন
তেড়েমেরে ডান্ডা
করিল কে ঠান্ডা
আয়নায় তাকিয়ে দেখি
আয়নাটা নাই: অদৃশ্য
ছাই থেকে উড়ে যাচ্ছে
সোনালি অগ্নিপাখি
ভালোবাসার সোনার টাকা কয়েকখানা জমিয়েছিলাম
তোমার জন্য
একটা নিয়েই চলে গেলে অস্তাচলে
আর তো খরচ করিনি তার মনের ভুলেও
সহজ–সুলভ প্রাত্যহিকী
কিনে নেবার প্রলোভনে
পণ করিনি
খুচরো করে তামার কয়েন জুটিয়ে নেব
নদী শুকায় পলি পড়ে
গলির মোড়ে প্রাসাদ উঠে
টাকশালে আজ নতুন খাজাঞ্চি
এলান আসে পুরান মুদ্রা বাজেয়াপ্তের
ভালোবাসার সোনার টাকা
জাদুঘরে কাচের বাক্সে
নিত্যনতুন চোখের আলোয়
বেঁচে থাকে
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে জেলা বিএনপির বর্ণাঢ্য র্যালি
ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির উদ্যোগে এক বর্ণাঢ্য রেলি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা বিএনপির আহবায়ক ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক মামুন মাহমুদ এর নেতৃত্বে শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের সাইনবোর্ড থেকে ভুইগর ভুইগর বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত এই রেলি অনুষ্ঠিত হয়। এতে কয়েক হাজার নেতা-কর্মী অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, শরিফুল ইসলাম টুটুল, ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল বারী ভূঁইয়া, জেলা বিএনপির সদস্য নাদিম হাসান মিঠু অকিল উদ্দিন ভূঁইয়া একরামুল কোভিদ মামুন, জেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবুল, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মন্টু মেম্বার, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনিসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।