দক্ষিণ ব্রাজিলে হট এয়ার বেলুন দুর্ঘটনায় নিহত ৮
Published: 21st, June 2025 GMT
ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় জনপদ সান্তা ক্যাটারিনায় একটি হট এয়ার বেলুন দুর্ঘটনায় কমপক্ষে আটজন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শনিবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ওই বেলুনে ২১ জন আরোহী ছিলেন। বাকি ১৩ জন বেঁচে গেছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, আকাশে থাকা অবস্থায় বেলুনটিতে আগুন ধরে যায়। একপর্যায়ে বিস্ফোরিত হয়ে মাটিতে পড়ে যায়।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জার্নাল রাজাওকে একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিনি ওপর থেকে দুজনকে পড়ে যেতে দেখেছেন। ঝুড়িটি ভেঙে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই বেলুনটি আছড়ে পড়ে।
তিনি আরও বলেন, বেলুনটি কোথায় পড়েছিল তা দেখার জন্য আমি দৌড়ে গিয়েছিলাম। সেখানে দুটি মরদেহ ও বেঁচে যাওয়া দু’জন ব্যক্তিকে দেখতে পেয়েছি। কাদায় ঢাকা এবং ভীতসন্ত্রস্ত অবস্থায় একজন নারী ও তার সঙ্গে থাকা একজন পুরুষকে দেখেছি।
স্থানীয় গভর্নর জর্গিনহো মেলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেছেন, শনিবার সকালে প্রাইয়া গ্রান্ডেতে একটি বেলুন দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে আমরা সবাই হতবাক। আমাদের উদ্ধারকারী দল ইতোমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
যে রানিকে ‘জীবন্ত দেবী’ হিসেবে গণ্য করা হতো
প্রাচীন মিশরের ১৮তম রাজবংশের একজন শক্তিশালী রানী এবং ফারাও আখেনাতেনের প্রধান রাজমহিষী ছিলেন রানি নেফারতিতি ছিলেন। এই নারী তার সৌন্দর্যের কারণে অধিক পরিচিত। এ ছাড়া ইতিহাসে তার অবস্থান শক্তিশালী হওয়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে, তিনি মিশরে একেশ্বরবাদী ধর্মীয় বিপ্লবে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন।
নেফারতিতি নামের অর্থ ‘‘একজন সুন্দরী নারী এসেছেন’’। নেফারতিতির জন্ম আনুমানিক খ্রিষ্টপূর্ব ১৩৭০ অব্দে।
আরো পড়ুন:
সঞ্চয় করার কিছু কার্যকর উপায়
আজ পুরুষদের রান্না করার দিন
জানা যায়, নেফারতিতির বাবা ছিলেন ফারাও আখেনাতেনের উপদেষ্টা এবং তিনিই কিশোর রাজকুমার আখেনাতেনের দেখাশোনা করতেন। বাবার সুবাদে শৈশবেই রাজকুমারের সঙ্গে পরিচয় হয় নেফারতিতির এবং অল্প বয়সেই তিনি আখেনাতেনের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্কে গড়ে তোলেন। ১৫ বছর বয়সে রাজকুমারের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। ক্রমে ফারাও আখেনাতেনের জীবনে অত্যন্ত গভীর প্রভাব বিস্তার করেন এই রানি।
আখেনাতেন মিশরের ঐতিহ্যবাহী বহু-ঈশ্বরবাদী ধর্ম পরিবর্তন করে ‘আতেন’ বা সূর্য দেবতার একেশ্বরবাদী পূজার প্রচলন করেছিলেন। এই ধর্মীয় পরিবর্তনে নেফারতিতি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন এবং তাকে জীবন্ত দেবী হিসেবে গণ্য করা হতো।
আখেনাতেনের রাজত্বকালে নেফারতিতি একজন ফারাওয়ের মতোই ক্ষমতা এবং মর্যাদা ভোগ করতেন। অনেক ভাস্কর্য ও চিত্রে তাকে ফারাওদের মতো ক্ষমতা প্রদর্শন করতে দেখা যায়। বার্লিনের একটি জাদুঘরে সংরক্ষিত নেফারতিতির একটি মার্জিত এবং রঙিন আবক্ষ মূর্তি প্রাচীন মিশরীয় শিল্পের অন্যতম পরিচিত নিদর্শন।
আখেনাতেনের রাজত্বের প্রায় ১২ বছর পর হঠাৎ করেই নেফারতিতি ইতিহাস থেকে অদৃশ্য হয়ে যান। তার মৃত্যু সম্পর্কে খুব কম তথ্য জানা যায় এবং তার সমাধি আজও আবিষ্কৃত হয়নি, যা প্রত্নতাত্ত্বিকদের কাছে একটি অনেক বড় রহস্য।
সূত্র: ব্রিটানিকা কিডস অবলম্বনে
ঢাকা/লিপি