তানোরে ট্রাক-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১
Published: 23rd, June 2025 GMT
রাজশাহীর তানোর উপজেলায় ট্রাক ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন তানোর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাসমত আলী।
রোববার রাত আটটার দিকে উপজেলার তানোর-চৌবাড়িয়া সড়কের বারোঘরিয়া মোড় সংলগ্ন এলাকার সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার এক যাত্রী নিহত হন।
মৃত ওই যাত্রী হলেন- তানোর পৌর শহরের জিওল দক্ষিণপাড়া এলাকার আইয়ুব আলীর ছেলে আলফাজ হোসেন (৪২)।
এ বিষয়ে তানোর থানার এসআই হাসমত জানান, চৌবাড়িয়া বাজার থেকে তানোর আসার সময় হাতিশাইল বারোঘরিয়া মোড় সংলগ্ন সড়কে অটোরিকশার সঙ্গে বিপরীতমুখী দ্রুতগতির একটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশার এক যাত্রী ছিটকে সড়কে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। আর অটোর চালক আহত হলে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে ওই চালকের পরিচয় জানা যায়নি।
এ নিয়ে তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন জানান, খবর পেয়ে মৃত ব্যাক্তির মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। ঘটনার পরপরই নওগাঁ সদরের চকজাফরাবাদ এলাকার আলাউদ্দিন মণ্ডল নামে ওই ট্রাক ড্রাইভারসহ ট্রাকটিও আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে ওসি জানান।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন ন হত
এছাড়াও পড়ুন:
পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু: সলিমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ গ্রেপ্তার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার সলিমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে মো. আবদুল্লাহ (২৮) নামে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মহিম উদ্দিনকে সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সাময়িক বরখাস্ত ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওবায়দুর রহমান এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরো পড়ুন:
খাগড়াছড়ি ও গুইমারার পরিস্থিতি থমথমে, নিহতদের মরদেহ হস্তান্তর
ঠাকুরগাঁওয়ে মা-মেয়ের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে মারা যান আব্দুল্লাহ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ফাঁড়িতে জিজ্ঞাসাবাদের সময় নির্যাতন করা হয় আবদুল্লাহকে।
মারা যাওয়া আবদুল্লাহ বাঞ্ছারামপুর উপজেলার তেজখালী ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের আবুল মিয়ার ছেলে।
সূত্র জানায়, সলিমগঞ্জ ইউনিয়নের বাড়াইল গ্রামে একটি চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ২৩ সেপ্টেম্বর সন্দেহভাজন হিসেবে স্থানীয়রা আব্দুল্লাহকে আটক করে মারধর করে। পরে তাকে আহত অবস্থায় সলিমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে সোপর্দ করা হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ফাঁড়িতে সোপর্দ করার পর পুলিশ তার ওপর আরো নির্যাতন চালায়। এতে সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, সলিমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে আবদুল্লাকে চারদিন আটকে রাখা হয়। ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মহিম উদ্দিন এ ঘটনা নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কিংবা থানার ওসিকে অবগত করেনি।
আব্দুল্লাহর মৃত্যুর ঘটনায় তার ছোট ভাই সাকিল মিয়া বাদী হয়ে সোমবার নবীনগর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় সলিমগঞ্জ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মহিম উদ্দিন, স্থানীয় বাসিন্দা তবি মিয়া, আলামিন, আয়নাল হককে আসামি করা হয়। ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
এ বিষয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘মামলা নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত এসআই মহিম উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত ও গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/মনিরুজ্জামান/মাসুদ