সরাসরি: মার্কিন বিমানঘাঁটিতে হামলা: ইরানের রাষ্ট্রদূতকে তলব করল কাতার
Published: 24th, June 2025 GMT
কাতারে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার ঘটনায় ইরানের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে দোহা। মঙ্গলবার (২৪ জুুন) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় আল উদেইদ বিমানঘাঁটিতে ইরানের হামলার প্রতিবাদ জানাতে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইরানের রাষ্ট্রদূত আলী সালেহ আবাদিকে তলব করেছে। কাতার এই হামলাকে ‘তার সার্বভৌমত্ব ও আকাশসীমার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে নিন্দা জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এই ধরনের গুরুতর লঙ্ঘনের জবাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার কাতারের আছে।
আরো পড়ুন:
কাতারের রাজধানীতে বিকট বিস্ফোরণ, আকাশে জলন্ত কুণ্ডলী
২৪ ঘণ্টায় ২৮টি ‘শত্রু বিমান’ ভূপাতিত করার দাবি ইরানের
ইরানের রাষ্ট্রদূতকে কাতার জোর দিয়ে বলেছে, “এই লঙ্ঘন সুপ্রতিবেশীসুলভ নীতি এবং কাতার ও ইরানের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের সঙ্গে সম্পূর্ণ অসঙ্গতিপূর্ণ। বিশেষ করে যেহেতু দোহা সবসময় ইরানের সঙ্গে সংলাপের পক্ষে এবং এই বিষয়ে অক্লান্ত কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে।”
একটি পৃথক বিবৃতিতে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং নিরাপত্তা পরিষদকে একটি চিঠি পাঠিয়ে ইরানের ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উত্তেজনা বৃদ্ধির’ নিন্দা জানিয়েছে এবং বলেছে, এই আক্রমণ ‘আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি’।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
লালমনিরহাটে ‘মব সন্ত্রাস’ করে বাবা-ছেলেকে হেনস্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ
লালমনিরহাটে হিন্দু সম্প্রদায়ভুক্ত বাবা ও ছেলেকে ‘মব’ সন্ত্রাসের মাধ্যমে হেনস্তা ও পুলিশের কাছে সোপর্দ করার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) ও নারীপক্ষ। একই সঙ্গে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার দাবি করেছে সংগঠনগুলো।
মঙ্গলবার পৃথক বিবৃতিতে সংগঠনগুলো এ দাবি জানায়।
গত শুক্রবার ধর্ম নিয়ে ‘অবমাননাকর’ মন্তব্যের অভিযোগ তুলে রোববার একদল লোক লালমনিরহাট শহরের একটি সেলুন থেকে বাবা-ছেলেকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
বিবৃতিতে মহিলা পরিষদ বলেছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে মব ভায়োলেন্স, সাম্প্রদায়িক উসকানির মতো ঘটনাগুলো ঘটছে এবং এই ঘটনাগুলোর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আইনের আওতায় আনার ব্যাপারে সে রকম জরুরি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যাচ্ছে না। বিবৃতিতে ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে দোষী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছে মহিলা পরিষদ। একই সঙ্গে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সরকার, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ মনোযোগ আকর্ষণ করেছে তারা।
‘মব’-এ জড়িতদের বিচার দাবি আসকের
ধর্মীয় অনুভূতি বা অবমাননার অভিযোগকে অত্যন্ত স্পর্শকাতর উল্লেখ করে এ ধরনের অভিযোগের তদন্তের স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা এবং প্রমাণভিত্তিক বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। আসক জানায়, অপরাধের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার আগে কাউকে সামাজিকভাবে হেয় করা, নিপীড়নের মুখে ঠেলে দেওয়া বা সহিংসতার দিকে ঠেলে দেওয়া নিন্দনীয়। ‘মব’ এ জড়িত ব্যক্তিদের বিচার দাবি করে বিবৃতিতে আসক বলেছে, এ বিচারহীনতার সংস্কৃতি সামাজিক সম্প্রীতি ও আইনের শাসনের জন্য গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ক্ষুব্ধ ও হতাশ নারীপক্ষ
ধর্ম অবমাননাসহ নানা অজুহাতে দেশব্যাপী ক্রমাগতভাবে ‘মব’ সন্ত্রাস করে অত্যাচার-নির্যাতনের ঘটনায় নারীপক্ষ ভীষণভাবে ক্ষুব্ধ, হতাশ ও উদ্বিগ্ন। এসব ঘটনা বন্ধে সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর উদ্যোগ নেই উল্লেখ করে বিবৃতিতে নারীপক্ষ বলেছে, এ ধরনের প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং যাতে এ ধরনের আর একটি ঘটনাও না ঘটে, তার জন্য এখনই কঠোর ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।