পাবনার চাটমোহরে পণ্যবাহী ট্রাকের চাপায় নিহার বেগম (৪৫) নামের এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন। 

বুধবার (২৫ জুন) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার রেলবাজার এলাকার পূর্বটিয়ারতলা মসজিদের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত নিহার বেগম চাটমোহর উপজেলার পাঁচুড়িয়া ইউনিয়নের বন্যাগাড়ি গ্রামের সাইদুল ইসলামের স্ত্রী।

চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাবনাগামী একটি পণ্যবোঝাই ট্রাক ওই নারীকে চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। স্থানীয় জনতা ধাওয়া দিয়ে সিএনজি অটোরিকশার সাহায্যে ট্রাকটি আটকে করলেও চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, নিহার বেগম মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। ঘটনার ঘণ্টাখানেক আগে সকাল ৬টার দিকে তিনি শিমুলতলা বাজারে একটি দুধবাহী গাড়ির সামনে মাথা ঢুকিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন বলেও জানান স্থানীয়রা।

প্রত্যক্ষদর্শী ফুরকান আলী বলেন, “ট্রাকটি তাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিল, আমরা সিএনজি দিয়ে পথ আটকে দিয়ে ট্রাকটি ধরেছি। তবে চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে।”

অপর প্রত্যক্ষদর্শী কদরুল ইসলাম বলেন, “ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মহিলা নিচে পড়ে যান এবং ঘটনাস্থলেই মারা যান। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। শুনেছি সকালেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন।”

নিহতের স্বামী সাইদুল ইসলাম বলেন, “রাতে সে বাসায় ছিল। কখন বের হয়েছে কেউ জানে না।”

চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মনজুরুল আলম বলেন, “পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। নিহতের পরিবার পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ করবে না বলে জানিয়েছে।”

ঢাকা/শাহীন/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

রায় ঘোষণার পর জুলাই যোদ্ধাদের উচ্ছ্বাস

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

সেই সঙ্গে দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়ে ট্রাইব্যুনালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ রায় দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন—বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

রায় ঘোষণার পরপরই হাইকোর্টের সামনে অপেক্ষারত জুলাই যোদ্ধা, বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। বিভিন্ন স্লোগানে তারা রায়কে স্বাগত জানান।

এদিকে, রায় ঘোষণার পরে উল্লাস প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা মিষ্টি বিতরণ করেন।

ঢাকা/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ