দেশে চালু হয়েছে আর্থিক লেনদেনের নতুন মাধ্যম ‘গুগল পে’। গুগলের রয়েছে একটি ডিজিটাল মানিব্যাগ যা গুগল ওয়ালেট নামে পরিচিত। এই ওয়ালেটে কার্ড সংযুক্ত করে সহজে লেনদেন করা যায়। একটি স্মার্টফোন আর নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই গুগল পে ব্যবহার করতে পারবেন।

গুগল পে-এর ব্যবহার পদ্ধতি

প্রথম ধাপ: একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোনে গুগল প্লে থেকে গুগল পে অ্যাপটি ইন্স্টল করে নিন।

আরো পড়ুন:

ব্যাংকিং খাত সংস্কারে এডিবির ৬১৫০ কোটি টাকা ঋণ অনুমোদন 

খেলাপি ঋণ ৪ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে

দ্বিতীয় ধাপ:  অ্যাপ ওপেন করে গুগল অ্যাকাউন্টে লগ-ইন করুন।

তৃতীয় ধাপ: এ পর্যায়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ডেবিট কিংবা ক্রেডিট কার্ডের তথ্যাদি নির্ভুলভাবে সংযুক্ত করুন।

চতুর্থ ধাপ: একটি গোপন পিন এবং বায়োমেট্রিক সুরক্ষা সেট করুন।

পঞ্চম ধাপ: সেটাপ সংক্রান্ত ধাপগুলো সম্পন্ন হলে সিস্টেমটি লেনদেনের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে।

উল্লেখ্য, কম সময়ে লেনদেনের জন্য কিউআর কোড সেট করে নিতে পারেন। এছাড়া এর জন্য ফোন নাম্বারও ব্যবহার করা যায়।


গুগল পে- এর সুবিধাসমূহ

১.

এই মাধ্যমে পেমেন্ট সিস্টেমে রয়েছে উন্নত এনক্রিপশন প্রযুক্তি। গুগল পে গ্রাহকের তথ্যের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। এ মাধ্যমে কোনও রকম ডাটা হ্যাক বা তথ্য চুরির আশঙ্কা নেই।

২. গুগল পে ব্যবহার করলে কাগুজে টাকা বা প্লাস্টিক কার্ড বহনের প্রয়োজন নেই।

৩. দেশে ও বিদেশে পস বা পিওএস (পয়েন্ট অব সেল) টার্মিনালে অর্থ পরিশোধ করার জন্য শুধুমাত্র অ্যান্ড্রয়েড ফোন স্পর্শ করলেই হবে। তবে পস টার্মিনালটি অবশ্যই এনএফসি (নিয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশন) সমর্থিত হতে হবে। এই সেবা গ্রহণের জন্য গুগলকে কোনও ফি দিতে হবে না।

৪. এই মাধ্যমটি ডিজিটাল, তাই এর জন্য ব্যাংকে যাওয়ার দরকার নেই।

৫. চিরাচরিত ব্যাংকিং ট্রান্সফার সিস্টেমগুলোর তুলনায় গুগল পে-তে ফান্ড ট্রান্সফার অধিক দ্রুত গতির।

৬. গ্যাস, বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেটের মত যাবতীয় ইউটিলিটি বিল এবং মোবাইল রিচার্জ গুগল পে’র মাধ্যমে করা যাবে।

৭. ক্যাশব্যাক এবং ব্যবহারের উপর রিওয়ার্ড পয়েন্টের সুবিধা রয়েছে। 

৮. গুগল পে’র কিউআর কোড ফিচারটি ছোট-বড় সব ধরনের ব্যবসায়ীদের লেনদেনকে আরও সুবিধাজনক করে তুলবে।এই মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছ থেকে সহজে ও দ্রুত পেমেন্ট নেওয়া যাবে, অন্যদিকে হিসাবে অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল হওয়ার আশঙ্কা কমবে।

সূত্র: ইউএনবি

ঢাকা/লিপি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবহ র গ গল প র জন য ল নদ ন

এছাড়াও পড়ুন:

পূর্ণ ২৪ পয়েন্ট ও কোনো গোল হজম না করেই বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড

রবিবার রাতে আলবেনিয়ায় বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচে একদম নিখুঁত অভিযানের পূর্ণচ্ছেদ টানল ইংল্যান্ড। হ্যারি কেনের করা জোড়া গোল থমাস টুখলের দলকে এনে দিল টুর্নামেন্টজুড়ে অষ্টম জয়। তার ওপর একটিও গোল না খেয়ে!

২০২৬ বিশ্বকাপ নিশ্চিত করে ফেলার পর বাকি দুই ম্যাচ ছিল কেবল আনুষ্ঠানিকতা। তবুও ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের পরপর দুই আসরের রানার্স-আপরা জার্মান কোচ টুখলের অধীনে তাদের বছরটা শেষ করল ঠিক যেমন শুরু হয়েছিল।

আরো পড়ুন:

অদম্য স্পেন বিশ্বকাপের দোরগোড়ায়

এমবাপ্পের জোড়া গোলে বিশ্বকাপে ফ্রান্স

টুখলের ইংল্যান্ড অধ্যায় শুরু হয়েছিল আলবেনিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলের জয় দিয়ে। ঠিক ২৪০ দিন পর তিরানায় আবার সেই একই ব্যবধানের জয় পেল তার দল। যদিও কিছুক্ষণ শঙ্কায়ও ছিল তারা।

‘গ্রুপ-কে’তে আট ম্যাচে আট জয় এবং আটটিতেই ক্লিন শিট! অন্তত ছয়টি বিশ্বকাপ বাছাই ম্যাচ খেলা ইউরোপের মধ্যে প্রথম দল হিসেবে কোনো গোল না খেয়ে সবগুলো ম্যাচ জয়ে শেষ করার কীর্তি ঘরে তুলল ইংল্যান্ড।

স্বাগতিক আলবেনিয়ার সবচেয়ে বড় ভরসা ছিলেন আরবের হোজা। তার দুটি শট দারুণ দক্ষতায় ঠেকান ডিন হেন্ডারসন। এরপরই টুখল বদলি হিসেবে মাঠে নামান ফিল ফোডেন ও বুকায়ো সাকাকে। যা বদলে দেয় ম্যাচের গতি।

৭৪ মিনিটে সাকার কর্নার থেকে দিক পরিবর্তিত হওয়া বল ঠেলে জাল খুঁজে নেন হ্যারি কেন। জাতীয় দলের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকার শীর্ষে থাকা এই তারকা এরপর ৮২ মিনিটে মাথা ছুঁইয়ে গোল করেন মার্কাস র‍্যাশফোর্ডের অসাধারণ ক্রস থেকে।

সেটাই ছিল ম্যাচের শেষ কথা। তিরানার রাতে উল্লাসে ভাসল ইংল্যান্ড; অপরাজিত, অক্ষত, নিখুঁত এক বাছাইপর্বের গল্প নিয়ে।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ