উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত দাসকে পুলিশি হেফাজত থেকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) সদর দপ্তর ঘেরাও করে বিক্ষোভ করছেন এলাকাবাসী। তারা কেএমপির প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। সদর দপ্তরের সামনের প্রধান সড়ক অবরোধ থাকায় রূপসা থেকে শহরে প্রবেশ পথে বন্ধ রয়েছে যান চলাচল।

বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে এলাকাবাসী কেএমপি ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করেন। সন্ধ্যায় শেখ খবর পাওয়া পর্যন্ত সড়কে বিক্ষোভ করছিলেন আন্দোলনকারীরা। পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া না পাওয়ায় কেএমপি কমিশনারের পদত্যাগের এক দফা দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

আরো পড়ুন: খুলনায় এসআইকে মারধরের পর পুলিশে সোপর্দ 

আরো পড়ুন:

সড়ক অবরোধ করে বিএম কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

বকেয়া বেতনের দাবিতে নারায়ণগঞ্জের সড়কে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

কেএমপি সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকেলে খানজাহান আলী থানা এলাকা থেকে স্থানীয়রা মারধর করে এসআই সুকান্তকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। তিনি বর্তমানে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থানায় কর্মরত আছেন। আদালতে একটি মামলায় সাক্ষী দিতে খুলনায় এসেছিলেন তিনি। তার নামে খুলনা সদর থানায় ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় গত ১২ ডিসেম্বর মামলা হয়। মামলাটি বর্তমানে ডিবিতে তদন্তাধীন। এছাড়াও বিএনপির নগর সভাপতি শফিকুল আলম মনার বাড়ি ভাঙচুরসহ দুইটি মামলা চলমান।

খানজাহান আলী থানার ওসি কবীর হোসেন বলেন, “গতকাল মঙ্গলবার এসআই সুকান্ত আদালতে সাক্ষী দিয়ে বাইকযোগে কর্মস্থলে ফিরছিলেন। শিরোমণি এলাকায় পৌঁছালে একদল লোক তাকে মারধর করেন। পরে পুলিশ ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে তিনি চলে যান। তার বিরুদ্ধে খানজাহান আলী থানায় কোনো অভিযোগ নেই।”

ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক এমপ

এছাড়াও পড়ুন:

গোপালগঞ্জে আরো দুই মামলায় আসামি ৫৫২

আওয়ামী লীগের ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচির ঘটনায় গোপালগঞ্জ সদর ও কাশিয়ানী থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে আরো পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এ দুটি মামলায় ১৫২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় জেলায় মোট চারটি মামলা দায়ের হলো।

শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাতে গোপালগঞ্জ সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শফিক ও কাশিয়ানী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় এ দুটি মামলা দায়ের করেন।

গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ আলম জানিয়েছেন, গত ১৩ নভেম্বর আওয়ামী লীগের ঢাকা লকডাউন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জের কয়েকটি স্থানে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। ৬৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ২০০ জনসহ ২৬৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।

অপরদিকে, কাশিয়ানী থানার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল হোসেন জানিয়েছেন, কাশিয়ানী থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় ৮৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ২০০ জনসহ মোট ২৮৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এর আগে আওয়ামী লীগের ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচির ঘটনায় গোপালগঞ্জ সদর ও কোটালীপাড়া থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে আরো পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এ দুটি মামলায় ৮২ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত নামা ২৮৫ জনসহ মোট ৩৬৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ দুই মামলায় পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগের ঢাকা লকডাউন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জ শহরের গণপূর্ত অফিসের গাড়িতে ও সদর উপজেলার উলপুরে গ্রামীণ ব্যাংক অফিসে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এছাড়া জেলার কয়েকটি স্থানে সড়কে গাছ ফেলে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়।

ঢাকা/বাদল/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গোপালগঞ্জে ট্রাক চাপায় ইজিবাইক চালক নিহত
  • গোপালগঞ্জে আরো দুই মামলায় আসামি ৫৫২
  • ‘লকডাউন’ ঘিরে গোপালগঞ্জে পৃথক মামলায় আসামি ৩৬৭
  • পুলিশের হাতে কামড় দিয়ে পালালেন ছাত্রদল নেতা