ভর্তি রোগীর ৩৬% ব্যাটারি ও অটোরিকশা দুর্ঘটনায় আহত
Published: 26th, June 2025 GMT
ঈদুল আজহার ছুটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে যারা রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) চিকিৎসা নিয়েছেন বা নিচ্ছেন, তাদের ৩৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশায় আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় কারও হাত ভেঙেছে, কারও কোমরের আঘাত গুরুতর। অনেকের স্থায়ী পঙ্গুত্বের আশঙ্কা রয়েছে। পঙ্গু হাসপাতালের রোগী নিবন্ধন খাতার তথ্য বিশ্লেষণ করে এ পরিসংখ্যান পাওয়া গেছে।
গত ঈদুল ফিতরে দেশের ১০ বড় হাসপাতাল থেকে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত রোগীর তথ্য সংগ্রহ করেছিল সমকাল। সেখানেও দেখা যায়, ৩২ দশমিক ১০ শতাংশ ব্যক্তি ব্যাটারিচালিত রিকশা দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ও কার্যকর নজরদারি না থাকায় এ পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে। সড়ক নিরাপত্তা আইন থাকলেও তার যথাযথ প্রয়োগ নেই। ক্ষেত্রবিশেষে আইন প্রয়োগ করলেও পরিস্থিতির দৃশ্যমান কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না।
তথ্য বলছে, ঈদুল আজহার ১০ দিনের ছুটিতে পঙ্গু হাসপাতালে ২ হাজার ৫৬ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে ৬৪৬ জনকে। তাদের মধ্যে ২৩৮ জন (৩৬ দশমিক ৮৪) ব্যাটারিচালিত রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন। বাস, মাইক্রোবাস, ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানের মতো চার চাকার যানবাহন দুর্ঘটনায় আহত হন ১৫৭ (২৪ দশমিক ৩০ শতাংশ) জন। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১২৭ (১৯ দশমিক ৬৫) জন। এর বাইরে ১২৪ জনের আহত হওয়ার কারণ লেখেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
গত ঈদুল ফিতরে ছুটির চার দিনে (৩০ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল) রাজধানীর দুটি ও ঢাকার বাইরে আট বিভাগীয় শহরের আটটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া রোগীর তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছিল, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন ৩২ দশমিক ২৭ শতাংশ, অটোরিকশায় ৩২ দশমিক ১০ শতাংশ, চার চাকার যানে ১০ দশমিক ১১ শতাংশ। হাসপাতালে আসা ২৫ দশমিক ৫০ শতাংশ আহত রোগীর দুর্ঘটনার কারণ নিবন্ধন খাতায় উল্লেখ করা হয়নি।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্য
ঈদুল আজহার পর গত ১৬ জুন যাত্রী কল্যাণ সমিতি সড়কে দুর্ঘটনা ও নিহতের তথ্য প্রকাশ করে। সেখানে দেখা যায়, এবারের ঈদে দুর্ঘটনার শীর্ষে রয়েছে মোটরসাইকেল। ১৩৪ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৪৭ জন নিহত হয়েছেন। ঈদযাত্রায় ৩৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। ঈদযাত্রায় নিহতের ৬১ জন চালক, ৫০ পরিবহন শ্রমিক, ৫৮ পথচারী, ৪০ নারী ও ৩০ শিশু। তবে এই সংগঠন আলাদা করে ব্যাটারিচালিত রিকশা দুর্ঘটনার কোনো তথ্য দেয়নি।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো.
হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন আহতরা
গত মঙ্গলবার পঙ্গু হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় জরুরি বিভাগে রোগী ও স্বজনের ভিড়। হাসপাতালের সিঁড়ি থেকে বারান্দা, ওয়ার্ডের কোণে হুইলচেয়ারে বসে, বিছানায় শুয়ে কিংবা গামছা দিয়ে হাত-পা ঝুলিয়ে রাখতে দেখা যায় দুর্ঘটনায় আহতদের। কারও পা নেই, কারও হাত কেটে গেছে।
হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি-১ বিভাগে ঢুকতেই চোখে পড়ে ডান পায়ে মোটা ব্যান্ডেজে মোড়ানো এক তরুণকে। পাশে দাঁড়িয়ে কাঁদছেন তাঁর মা। ২২ বছর বয়সী রুবেল মিয়া ঈদের দিন বিকেলে বোনের বাড়িতে যাওয়ার পথে রাজশাহী মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা থেকে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। রুবেল জানান, এলাকাবাসী উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। ১৫ দিন পর ঢাকায় পাঠানো হয়। পঙ্গু হাসপাতালের চিকিৎসকরা পায়ে অস্ত্রোপচার করেছেন। ক্ষত শুকানোর জন্য এখন তাঁর অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
তাঁর পাশের শয্যায় শুয়ে থাকা মুন্সীগঞ্জের অটোরিকশাচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘১০ জুন সকালে তিন যাত্রীসহ অটোরিকশা নিয়ে মহাসড়ক দিয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ একটি ট্রাক ধাক্কা দেয়। এতে দুই যাত্রীর দুই পা ভাঙে, অন্যজনের মাথায় জখম হয়েছে। আমার ডান পা থেঁতলে গেছে। পা বাঁচাতে চিকিৎসকরা অনেক চেষ্টা করছেন।’
পঙ্গু হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. আবুল কেনান বলেন, ‘আহতদের সেবা নিশ্চিত করতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে। ১৫ চিকিৎসক দিয়ে জরুরি ও বহির্বিভাগ পরিচালনা করা হচ্ছে।’ অস্ত্রোপচারের জন্য কোনো কোনো সময় দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয়– এর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রোগীর চাপ বেশি থাকার কারণে অনেক সময় অপেক্ষা করতে হয়। কিছু ক্ষেত্রে আহত ব্যক্তিও অস্ত্রোপচারের জন্য উপযুক্ত থাকে না।’
পঙ্গু হাসপাতাল সূত্র জানায়, প্রতিদিন গড়ে ৩৫০ থেকে ৪০০ রোগী আসে জরুরি বিভাগে, যার মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশই সড়ক দুর্ঘটনায় আহত। সবচেয়ে বেশি আসে অটোরিকশায় দুর্ঘটনার রোগী। এ ছাড়া ভবন থেকে পড়ে যাওয়া, দগ্ধ হয়ে হাড়ের ক্ষয় এবং শিল্প দুর্ঘটনায় আহতের সংখ্যাও কম নয়।
অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কেনান বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশা দুর্ঘটনায় আহতের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। অনেকে পঙ্গু হয়ে যাচ্ছেন, অনেকের আবার দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার প্রয়োজন হচ্ছে। এবারের ঈদের ছুটিতে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৬৪৬ জনের মধ্যে ৫০৮ জনের একাধিকবার অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়েছে। এখনও ১৫১ জন ভর্তি রয়েছেন। অনেকের হাত-পা হারাতে হয়েছে।
তিনি মনে করেন, ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ন্ত্রণের জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকা প্রয়োজন। শুধু আইন করে বা কিছুদিন অভিযান চালিয়ে সমাধান হবে না। টেকসই সমাধানের জন্য সিটি করপোরেশন, বিআরটিএ ও ট্রাফিক বিভাগের সমন্বিত উদ্যোগ দরকার।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, এখন মূল সড়কগুলোতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির একমাত্র বাহন ব্যাটারিচালিত রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা। এসব বাহন নিয়ন্ত্রণে না আনলে দুর্ঘটনার হার আরও বাড়বে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: য় আহত হয় ছ দ র ঘটন র র জন য ত হয় ছ আহত র সড়ক দ দশম ক
এছাড়াও পড়ুন:
খেলাপি কারখানা কিনে চালুর উদ্যোগ আকিজ বশির গ্রুপের
চার প্রকৌশলী মিলে ২০১৬ সালে গাজীপুরের শ্রীপুরে গড়ে তোলেন বিদ্যুতের তার ও কেবলস উৎপাদন কারখানা। নাম দেওয়া হয় এমিনেন্স ইলেকট্রিক ওয়্যার অ্যান্ড কেব্লস লিমিটেড। তখন প্রকল্পটির উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ বিবেচনা করে ন্যাশনাল ব্যাংকের নেতৃত্বে চার ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান মিলে প্রতিষ্ঠানটিকে অর্থায়ন করে।
তবে ডলারের দামের ঊর্ধ্বগতি ও সময়মতো চলতি মূলধন না পাওয়ায় প্রকল্পটি ব্যবসায়িক উৎপাদনই শুরু করতে পারেনি। উৎপাদন শুরুর আগেই শতকোটি টাকা ঋণখেলাপি হয়ে পড়ে। আর তাতে বিপাকে পড়ে প্রকল্পটিতে অর্থায়ন করা ন্যাশনাল ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান লংকাবাংলা ফাইন্যান্স।
এখন পুরো ঋণ ও দায়দেনা পরিশোধ করে প্রকল্পটি কিনে নিচ্ছে আকিজ বশির গ্রুপ। এ জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে চার অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠান, আকিজ বশির গ্রুপ ও এমিনেন্স ইলেকট্রিক ওয়্যার অ্যান্ড কেব্লস। কারখানাটি কিনে নিতে আকিজ বশির গ্রুপ প্রায় ১১০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে। ইতিমধ্যে এমিনেন্সকে অর্থায়নকারী চার প্রতিষ্ঠানকে ঋণের একটা অংশ পরিশোধ করে দিয়েছে আকিজ বশির গ্রুপ। আগামী অক্টোবরের মধ্যে পুরো ঋণ শোধ করে কারখানাটির মালিকানা বুঝে নেবে তারা। এর মাধ্যমে আকিজ বশির গ্রুপ দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের পণ্য উৎপাদনে বড় পরিসরে যাত্রা শুরুর পরিকল্পনা করছে।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, এই প্রকল্প কিনে আকিজ বশির গ্রুপ নিজেরা লাভবান হয়েছে। পাশাপাশি তারল্যসংকটে পড়া ব্যাংকগুলোও তাতে উপকৃত হয়েছে। ন্যাশনাল ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংক এই প্রকল্পে দেওয়া পুরো অর্থ ফেরত পেতে যাচ্ছে। ব্যাংক দুটির কর্মকর্তারা বলছেন, এতে আমানতকারীদের উপকার হবে। ব্যাংক–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আরও বলেন, দেশে একটা নতুন প্রকল্প প্রস্তুত করতেই কয়েক বছর সময় লেগে যায়। কিন্তু এমিনেন্স কিনে নেওয়ার ফলে আকিজ বশির গ্রুপ এখন চাইলেই কয়েক মাসের মধ্যে উৎপাদন শুরু করতে পারবে।
এ বিষয়ে লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়রা আজম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে ঋণের একটা অংশ পেয়ে গেছি। পুরো টাকা কয়েক দিনের মধ্যে পেয়ে যাব। এটা খুবই ভালো হয়েছে। এভাবে বড় শিল্প গ্রুপগুলো এগিয়ে এলে কোনো কারখানা বন্ধ হয়ে পড়ে থাকবে না।’
প্রকল্পের অবস্থা
অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সূত্রে জানা যায়, গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গোদারচালা এলাকায় এমিনেন্স ইলেকট্রিক ওয়্যারস অ্যান্ড কেবলস লিমিটেড বৈদ্যুতিক তার ও কেবল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে ওঠে। উচ্চমানের অ্যালুমিনিয়াম ও কপার বৈদ্যুতিক কেবল, উচ্চ ভোল্টেজ বৈদ্যুতিক কেবল এবং খোলা কপার কেবল উৎপাদনের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলা হয়, যার বার্ষিক উৎপাদনক্ষমতা ৬৭ হাজার ১৫০ কিলোমিটার। প্রাথমিকভাবে প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয় ১১২ কোটি টাকা। এর মধ্যে ন্যাশনাল ব্যাংকের নেতৃত্বে রূপালী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক ও লংকাবাংলা ফাইন্যান্স সিন্ডিকেট করে ৬৯ কোটি টাকা অর্থায়ন করে। বাকি টাকার জোগান দেন উদ্যোক্তারা।
প্রকল্পটি যখন পরিকল্পনা করা হয়, তখন ডলারের দাম ছিল ৮০ টাকা। ২০২১ সালে ডলারের দাম বেড়ে হয় ৮৫ টাকা। এর মধ্যে করোনার প্রকোপ শুরু হলে নির্মাণ ব্যয় আরও বেড়ে যায়। ফলে অবকাঠামো সম্পন্ন করতে আরও ৫ কোটি টাকা প্রয়োজন হয় প্রতিষ্ঠানটির। ২০২১ সালে প্রতিষ্ঠানটি ৭৮ লাখ ডলারের যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলে, যা পরে ফোর্সড ঋণে পরিণত হয়। এর মধ্যে ২০২২ সালে ডলারের বিনিময় হার অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। ফলে ৬৯ কোটি টাকা ঋণ বেড়ে হয় ১১৫ কোটি টাকা। পাশাপাশি চলতি মূলধন না পাওয়ায় বাণিজ্যিক উৎপাদনও শুরু করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। এখন কারখানাটি কিনে নিয়ে উৎপাদনে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে আকিজ বশির গ্রুপ।
আকিজ বশির গ্রুপের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) মো. খোরশেদ আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা আগামী নভেম্বর থেকে নতুন এই কারখানায় উৎপাদন শুরু করব। কম ভোল্টেজের তার উৎপাদন দিয়ে শুরু করব। কী নামে এই তার বাজারে আসবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। স্থানীয় চাহিদা বিবেচনা করে বাজারে বড় আকারে আসার পরিকল্পনা আছে আমাদের।’
আকিজ বশির যেভাবে কিনছে
এক বছরের বেশি সময় ধরে এমিনেন্সের উদ্যোক্তারা প্রকল্পটি বিক্রির চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন। আকিজ বশির গ্রুপও এই ব্যবসায় আসতে পুরোনো প্রকল্প খুঁজছিল। এর মধ্যে তারা একাধিক তার ও কেব্লস উৎপাদন কারখানা কেনার জন্য আলোচনা করে। শেষমেশ এমিনেন্সের সঙ্গে আলোচনা চূড়ান্ত হয়। দুই পক্ষ সমঝোতায় পৌঁছালে ৬ আগস্ট এ নিয়ে চুক্তিও হয়। এই চুক্তির ফলে আকিজ বশির গ্রুপ এখন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণের পাশাপাশি এমিনেন্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুবিধা, তাদের সরবরাহকারীদের বিলসহ আরও কিছু দায়দেনা শোধ করবে।
অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সূত্রে জানা যায়, প্রকল্পটিতে ন্যাশনাল ব্যাংকের ঋণ ৮৪ কোটি ৭২ লাখ টাকা, রূপালী ব্যাংকের ১৬ কোটি ২৭ লাখ টাকা, লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ৪ কোটি ১৩ লাখ টাকা ও এক্সিম ব্যাংকের ঋণ ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা। ইতিমধ্যে ঋণের কিছু অর্থ পেয়ে গেছে অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।
এক্সিম ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদা খানম বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে ৫ লাখ টাকা পেয়েছি। ৬০ দিনের মধ্যে ঋণের বাকি টাকা পেয়ে যাব। এটা আমাদের জন্য ভালো হয়েছে।’