চীন সফরে গেলেন ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী
Published: 26th, June 2025 GMT
ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির দুই দিন পর, ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজিজ নাসিরজাদেহ দুই দিনের সফরে চীন গেছেন।
বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় বিবিসি বাংলা।
বিবিসি পার্সিয়ান সার্ভিস জানিয়েছে, সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দিতে এবং চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা ও আলোচনা করতে চীন সফর করছেন তিনি।
এমন এক সময়ে তার এই সফর হচ্ছে, যখন ইরানের সামরিক ও প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সমালোচনা বাড়ছে। ইসরায়েলি আক্রমণের প্রথম ঘণ্টায় দেশটি কীভাবে সহজেই তার আকাশের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বগুড়ায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিক্রয়কর্মীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় আনোয়ার হোসেন (৩১) নামের রেনেটা লিমিটেডের এক বিক্রয়কর্মীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার গভীর রাতে উপজেলার বেতগাড়ী এলাকায় ঢাকা–রংপুর মহাসড়কের পূর্ব পাশে ফটকি সেতুর কাছে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আনোয়ার হোসেন নওগাঁর মান্দা উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের খোয়াজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি শাজাহানপুর উপজেলার সাজাপুর আকন্দপাড়ায় পরিবারসহ ভাড়া থাকতেন। রেনেটা লিমিটেডে তিনি সহকারী পরিবেশন কর্মকর্তা (সহকারী ডিস্ট্রিবিউশন কর্মকর্তা) পদে চাকরি করতেন। তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে, এটি হত্যাকাণ্ড। হত্যাকাণ্ডের কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। থানায় এখনো হত্যা মামলা হয়নি। হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন ও জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ মাঠে নেমেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রাতে ঢাকা–রংপুর মহাসড়কের পাশে রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখে এক পথচারী জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ ফোন দেন। শাজাহানপুর থানা–পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে শেরপুর হাইওয়ে থানা–পুলিশকে জানায়। পরে হাইওয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাৎক্ষণিক অনুসন্ধান করে নিশ্চিত হয়, এটি দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু নয়।
হাইওয়ে পুলিশের শেরপুর থানার ওসি আজিজুল ইসলাম বলেন, হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মহাসড়কে চলাচলকারী যানবাহনের গতি ও সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে নিশ্চিত হয়, নিহত আনোয়ার হোসেনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন আছে। হত্যাকাণ্ড নিশ্চিত হওয়ার পর শাজাহানপুর থানা–পুলিশ লাশটি তাদের হেফাজতে নেয়।