ঈদ শেষে যখন ঢাকার প্রেক্ষাগৃহগুলো ধীরে ধীরে দর্শক কমছে ঠিক তখন বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্সের একটি রাত যেন হয়ে উঠল এক নির্মল চলচ্চিত্র উৎসব। কারণ গতকাল এখানে অনুষ্ঠিত হলো ঈদে মুক্তি পাওয়া সিনেমা ইনসাফ এর বিশেষ প্রদর্শনী। আর এখান থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে  খবর এলো ‘ইনসাফ ২’।

নির্মাতা সঞ্জয় সমদ্দার পরিচালিত এই চলচ্চিত্র নিয়ে শুরু থেকেই আলোচনার কমতি ছিল না। বিশেষ প্রদর্শনী শেষে যখন আলো জ্বলে উঠল, তখন দর্শকের চোখে-মুখে একটাই কথা-এই সিনেমা শুধু বিনোদন নয়, এটা বাংলা সিনেমার এক সাহসী উচ্চারণ। ইনসাফ  সিনেমার বিশেষ একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন নন্দিত অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। প্রদর্শনী শেষে নিজের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বললেন, “আসলে আজকে এসে আমি চমকে গেছি। ইনসাফ যারা দেখবে, তারাও চমকে যাবে-এটা বলাই যায়। ছবিটা অসাধারণ লেগেছে। সঞ্জয় খুব ভালো নির্মাণ করেছেন।”

কিন্তু আসল মজার অংশ তখনই এলো, যখন তিনি বলেন, ‘আমার এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না রাজ আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। পর্দায় ওকে দেখে ভয় লেগেছিল। যদি হঠাৎ এখন একটা কোপ দিয়ে বসে! হা হা হা।’

এই বক্তব্য শুনে  হেসে উঠলেন সবাই। কিন্তু এই হাসির মধ্যেও ছিল সত্যিকারের এক প্রশংসা-রাজের অভিনয় যে বাস্তবতাকে ছুঁয়ে গেছে, সেটাই বলছিলেন চঞ্চল।

ছবিতে শরীফুল রাজের বিপরীতে প্রথমবারের মতো বড় পর্দায় বাণিজ্যিক মসলাদার চরিত্রে দেখা গেল তাসনিয়া ফারিণকে। গানে, সংলাপে, অ্যাকশনে সবখানেই ফারিণের পারফরম্যান্স দর্শককে চমকে দিয়েছে। তাকে নিয়ে প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু অকপটে বললেন, “এই ছবির মাধ্যমে আমরা পেয়েছি একজন নতুন অ্যাকশন হিরোইন। ফারিণ নিজেকে প্রমাণ করেছেন।”

‘ইনসাফ’ নিয়ে যখন প্রশংসার ঢেউ বইছিল, তখনই বিশেষ প্রদর্শনী শেষে বড় ঘোষণা দিলেন ছবির প্রযোজক, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক সমিতির সাবেক সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু। তিনি বললেন, ‘আজকের ‘ইনসাফ’ ছবিকে বিট করবে ‘ইনসাফ ২’। আরও বড় আয়োজন, আধুনিক প্রযুক্তি আর শক্তিশালী গল্প নিয়ে ফিরবে এই ফ্র্যাঞ্চাইজির দ্বিতীয় কিস্তি।’

তিনি আরও জানান, ‘ইনসাফ ২’ মুক্তি পাবে আগামী বছরের ঈদুল আজহায়। চিত্রনাট্য লেখার কাজ শুরু হয়ে গেছে। রাজ-ফারিণ জুটির সঙ্গে এবার যুক্ত হতে পারেন চঞ্চল চৌধুরী ও মোশাররফ করিম-এই তথ্যই যেন দর্শকদের জন্য আলাদা এক চমক।

প্রযোজক ইঙ্গিত দিয়েছেন, যেভাবে চঞ্চল চৌধুরীর আগমনের মাধ্যমে ‘ইনসাফ’ শেষ হয়, তাতে মনে হচ্ছে পরবর্তী কিস্তি হতে পারে ‘চঞ্চল শো’’

গতকালের এই প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্রাঙ্গনের একঝাঁক বরেণ্য মানুষ-দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, শাহীন সুমন, শাহীন কবির টুটুল, গাজী মাহবুব, ফজলুর রহমান বাবু,  প্রযোজক খসরু এবং জাহিদ হাসান অভি প্রমুখ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ঈদ র স ন ম চলচ চ ত র ইনস ফ

এছাড়াও পড়ুন:

ফ্লোটিলা বহরে ভেসে চলা একমাত্র জাহাজ ম্যারিনেট কোথায়

ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখে যাত্রা করা ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর একটি মাত্র নৌযান এখনো আটক করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী। এই নৌযানটি হলো দ্য ম্যারিনেট।

পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এই নৌযানে ছয়জন আরোহী রয়েছেন ।

ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, ম্যারিনেট আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভেসে চলেছে। এর গতি ঘণ্টায় প্রায় ২.১৬ নট (ঘণ্টায় প্রায় ৪ কিলোমিটার) , গাজার আঞ্চলিক জলসীমা থেকে ম্যারিনেটের দূরত্ব  প্রায় ১০০ কিলোমিটার।

বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে জাহাজটির ক্যাপ্টেন বলেন, ম্যারিনেটের ইঞ্জিনে সমস্যা হচ্ছিল। এটি  এখন সারানো  হয়েছে।

ফ্লোটিলা আয়োজকেরা বলছেন, ম্যারিনেট নৌযান এখনো স্টারলিঙ্কের মাধ্যমে সংযুক্ত। এটি যোগাযোগের আওতার মধ্যেই রয়েছে। লাইভস্ট্রিমও সক্রিয় আছে।  

ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জানিয়েছে, অন্য জাহাজগুলো আটক করলেও ম্যারিনেট এখনো ভেসে চলছে।

ম্যারিনেট ফিরে যাবে না বলেও ওই পোস্টে জানানো হয়েছে।  পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ম্যারিনেট শুধু একটি জাহাজ নয়। ম্যারিনেট হলো ভয়, অবরোধ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়তা।’

ফ্লোটিলা আয়োজকরা আরও লিখেছেন, ‘গাজা একা নয়।’ ‘ফিলিস্তিনকে কেউ ভুলে যায়নি। আমরা কোথাও যাচ্ছি না।’

ফ্লোটিলা বহরের প্রায় সব নৌযানে থাকা অধিকারকর্মীদের আটক করেছে ইসরায়েল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে অনেক দেশ। বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভও হয়েছে।

আরও পড়ুনগাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ, ধরে নেওয়া হলো অধিকারকর্মীদের৬ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ