ইনসাফের সন্ধ্যায় রাজের প্রশংসায় চঞ্চল, এলো আরও বড় কিছুর ঘোষণা
Published: 26th, June 2025 GMT
ঈদ শেষে যখন ঢাকার প্রেক্ষাগৃহগুলো ধীরে ধীরে দর্শক কমছে ঠিক তখন বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্সের একটি রাত যেন হয়ে উঠল এক নির্মল চলচ্চিত্র উৎসব। কারণ গতকাল এখানে অনুষ্ঠিত হলো ঈদে মুক্তি পাওয়া সিনেমা ইনসাফ এর বিশেষ প্রদর্শনী। আর এখান থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে খবর এলো ‘ইনসাফ ২’ এর।
নির্মাতা সঞ্জয় সমদ্দার পরিচালিত ইনসাফ নিয়ে শুরু থেকেই আলোচনার কমতি ছিল না। বিশেষ প্রদর্শনী শেষে যখন আলো জ্বলে উঠল, তখন দর্শকের চোখে-মুখে একটাই কথা-এই সিনেমা শুধু বিনোদন নয়, এটা বাংলা সিনেমার এক সাহসী উচ্চারণ।
সিনেমাটির বিশেষ একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন নন্দিত অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। প্রদর্শনী শেষে নিজের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বললেন, “আসলে আজকে এসে আমি চমকে গেছি। ইনসাফ যারা দেখবে, তারাও চমকে যাবে-এটা বলাই যায়। ছবিটা অসাধারণ লেগেছে। সঞ্জয় খুব ভালো নির্মাণ করেছেন।”
কিন্তু আসল মজার অংশ তখনই এলো, যখন তিনি বলেন, ‘আমার এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না রাজ আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। পর্দায় ওকে দেখে ভয় লেগেছিল। যদি হঠাৎ এখন একটা কোপ দিয়ে বসে! হা হা হা।’
এই বক্তব্য শুনে হেসে উঠলেন সবাই। কিন্তু এই হাসির মধ্যেও ছিল সত্যিকারের এক প্রশংসা-রাজের অভিনয় যে বাস্তবতাকে ছুঁয়ে গেছে, সেটাই বলছিলেন চঞ্চল।
ছবিতে শরীফুল রাজের বিপরীতে প্রথমবারের মতো বড় পর্দায় বাণিজ্যিক মসলাদার চরিত্রে দেখা গেল তাসনিয়া ফারিণকে। গানে, সংলাপে, অ্যাকশনে সবখানেই ফারিণের পারফরম্যান্স দর্শককে চমকে দিয়েছে। তাকে নিয়ে প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু অকপটে বললেন, “এই ছবির মাধ্যমে আমরা পেয়েছি একজন নতুন অ্যাকশন হিরোইন। ফারিণ নিজেকে প্রমাণ করেছেন।”
‘ইনসাফ’ নিয়ে যখন প্রশংসার ঢেউ বইছিল, তখনই বিশেষ প্রদর্শনী শেষে বড় ঘোষণা দিলেন ছবির প্রযোজক, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক সমিতির সাবেক সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু। তিনি বললেন, ‘আজকের ‘ইনসাফ’ ছবিকে বিট করবে ‘ইনসাফ ২’। আরও বড় আয়োজন, আধুনিক প্রযুক্তি আর শক্তিশালী গল্প নিয়ে ফিরবে এই ফ্র্যাঞ্চাইজির দ্বিতীয় কিস্তি।’
তিনি আরও জানান, ‘ইনসাফ ২’ মুক্তি পাবে আগামী বছরের ঈদুল আজহায়। চিত্রনাট্য লেখার কাজ শুরু হয়ে গেছে। রাজ-ফারিণ জুটির সঙ্গে এবার যুক্ত হতে পারেন চঞ্চল চৌধুরী ও মোশাররফ করিম-এই তথ্যই যেন দর্শকদের জন্য আলাদা এক চমক।
প্রযোজক ইঙ্গিত দিয়েছেন, যেভাবে চঞ্চল চৌধুরীর আগমনের মাধ্যমে ‘ইনসাফ’ শেষ হয়, তাতে মনে হচ্ছে পরবর্তী কিস্তি হতে পারে ‘চঞ্চল শো’’
গতকালের এই প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্রাঙ্গনের একঝাঁক বরেণ্য মানুষ-দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, শাহীন সুমন, শাহীন কবির টুটুল, গাজী মাহবুব, ফজলুর রহমান বাবু, প্রযোজক খসরু এবং জাহিদ হাসান অভি প্রমুখ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ঈদ র স ন ম ইনস ফ
এছাড়াও পড়ুন:
৮ আগস্ট ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ নিয়ে সারজিস-হাসনাত-আখতারের আপত্তি
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের দিন ৮ আগস্টকে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ ঘোষণা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শীর্ষস্থানীয় তিন নেতা সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ ও আখতার হোসেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকেলে ফেসবুকে এক পোস্টে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ লেখেন, ‘নতুন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে ৫ আগস্ট। ৮ আগস্ট না। ৫ আগস্টের সাধারণ ছাত্র–জনতার এই অর্জনকে সরকারের কুক্ষিগত করার চেষ্টা মেনে নেওয়া হবে না।’
কাছাকাছি সময়ে এ নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি লিখেছেন, ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস সেদিন হবে, যেদিন জুলাই ঘোষণাপত্র আসবে, যেদিন মৌলিক সংস্কারের ভিত্তিতে জুলাই সনদ হবে।’
আরো পড়ুন:
দুদকের চা খাওয়ার বিল এক লাখ টাকা: অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক
অবৈধ বালু ব্যবসায় বাধা, এনসিপি নেতা ও তার স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ
এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম সন্ধ্যায় তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘৮ আগস্ট দ্বিতীয় স্বাধীনতা শুরু হয়নি। দ্বিতীয় স্বাধীনতা নষ্টের, ছাড় দেওয়ার এবং বিপ্লব বেহাতের কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে। ৫ আগস্ট ‘জুলাই গণ–অভ্যুত্থান দিবস’ এবং ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা দিবস।’
ছাত্র–জনতার আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এর তিন দিন পর ৮ আগস্ট অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। গতকাল ৫ আগস্টকে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ এবং ৮ আগস্টকে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ ঘোষণা করে পরিপত্র জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
একই সঙ্গে গত বছর আওয়ামী লীগ সরকারবিরোধী আন্দোলন নতুন মাত্রা পেয়েছিল যেদিন, সেই ১৬ জুলাইকে ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস’ ঘোষণা করা হয়। ওই দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রথম নিহত হন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ, যিনি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ।
গতকাল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পরিপত্রে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাকে প্রতি বছর যথাযথভাবে এই তিন দিবস প্রতিপালন করতে বলা হয়।
ঢাকা/এসবি