অবশেষে পুলিশের সেই আলোচিত উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত দাসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দুপুরে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় নিজ কর্মস্থল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) সহকারী কমিশনার (মিডিয়া) খোন্দকার হোসেন আহমদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কেএমপির মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো এক বার্তায় জানানো হয়েছে, এসআই (নিরস্ত্র) সুকান্ত কুমার দাসকে খুলনা সদর থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সরকারি কর্মচারী গ্রেপ্তার-সংক্রান্ত বিধি-বিধান অনুসরণ করে তাকে কোর্টে চালান দেওয়ার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। 

এর আগে গত মঙ্গলবার বিকেলে বিক্ষুব্ধ জনতা এসআই সুকান্তকে আটক করে খানজাহান আলী থানায় সোপর্দ করে। কিন্তু, রাতেই থানা থেকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এর প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা বুধবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত কেএমপির সদর দপ্তর ঘেরাও করে কমিশনারসহ অন্য কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ রাখে। তারা কেএমপির কমিশনার মো.

জুলফিকার আলী হায়দারের অপসারণ দাবি করেন। এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়টি বিবেচনা করে রাত পৌনে ৯ টায় বিক্ষোভকারীরা কর্মসূচি স্থগিত করেন।

ঢাকা/নূরুজ্জামান/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক এমপ

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনা মহানগর পুলিশের সদর দপ্তর ঘেরাও, ফটকে তালা

খুলনায় এক উপপরিদর্শককে (এসআই) মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে পুলিশের ওই কর্মকর্তাকে ছেড়ে দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। আজ বুধবার দুপুর থেকে খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) সদর দপ্তর ঘেরাও করেন বিক্ষোভকারীরা। একপর্যায়ে তাঁরা মূল ফটকে তালা লাগিয়ে দেন এবং সড়কে টায়ারে আগুন ধরিয়ে দেন।

বিক্ষোভের আয়োজন করে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’। বেলা দুইটার দিকে মিছিল নিয়ে কেএমপি সদর দপ্তরের সামনে অবস্থান নেন তাঁরা। এ সময় আন্দোলনকারীরা রাস্তার দুই পাশ বন্ধ করে নানা স্লোগান দিতে থাকেন। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বিক্ষোভে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদেরও অংশ নিতে দেখা যায়।

বিক্ষোভকারীরা ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত’, ‘জ্বালো জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘সুকান্তের চামড়া, তুলে নেব আমরা’, ‘পুলিশ কমিশনারের চামড়া, তুলে নেব আমরা’, ‘পুলিশ কমিশনার জুলফিকার, আস্ত একটা স্বৈরাচার’, ‘অবৈধ পুলিশ লীগ, মানি না, মানব না’, ‘লড়তে হবে, লড়তে হবে—এই লড়াই জিততে হবে’ স্লোগান দিতে থাকেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেলে খুলনার খানজাহান আলী থানা এলাকা থেকে এসআই সুকান্ত কুমার দাসকে আটক করে মারধর করেন স্থানীয় জনতা ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা। পরে তাঁকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। তিনি বর্তমানে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থানায় কর্মরত। খুলনায় একটি মামলায় সাক্ষ্য দিতে এসে এ ঘটনার শিকার হন বলে জানা গেছে।

আন্দোলনকারীরা রাস্তার দুই পাশ বন্ধ করে নানা স্লোগান দিতে থাকেন। আজ বুধবার দুপুরে নগরের গ্যালাক্সো মোড়ে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পুলিশের এসআই সুকান্ত দাসকে কারাগারে প্রেরণ  
  • সেই এসআই গ্রেপ্তার, এবার পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগ দাবিতে কেএমপি ঘেরাও
  • সেই এসআই গ্রেপ্তার, কেএমপি সদর দপ্তরের সামনে আজও বিক্ষোভ
  • এসআই সুকান্ত দাশ গ্রেপ্তার
  • এস আই সুকান্ত দাশ গ্রেপ্তার
  • জামায়াতের নেতা-কর্মীদের লাঠিপেটার পুরোনো ভিডিও ভাইরাল, ওসি প্রত্যাহার
  • কেএমপি কমিশনারকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহারের দাবি খুলনা বিএনপির
  • এসআই সুকান্তকে ছেড়ে দেওয়ায় কেএমপি ঘেরাও, প্রধান ফটকে তালা
  • খুলনা মহানগর পুলিশের সদর দপ্তর ঘেরাও, ফটকে তালা