সেই এসআই গ্রেপ্তার, কেএমপি সদর দপ্তরের সামনে আজও বিক্ষোভ
Published: 26th, June 2025 GMT
খুলনায় পুলিশ হেফাজত থেকে ছেড়ে দেওয়া উপপরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত দাসকে অবশেষে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে পুলিশ কমিশনারের অপসারণের দাবিতে আজ বৃহস্পতিবারও খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) সদর দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভকারী ব্যক্তিরা আজও প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন। সড়কে টায়ারে আগুন দিয়েছেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার খুলনার খানজাহান আলী থানা এলাকা থেকে স্থানীয় লোকজন ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা সুকান্ত দাসকে আটকে মারধর করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। পরে পুলিশ তাঁকে ছেড়ে দেয়। এর প্রতিবাদে কেএমপি কমিশনারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়।
পুলিশ জানায়, এসআই সুকান্ত চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থানায় কর্মরত ছিলেন। আজ তাঁকে আলমডাঙ্গা থেকে গ্রেপ্তার করেছে খুলনা মহানগর পুলিশ ও চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের একটি যৌথ দল। তাঁকে খুলনায় নিয়ে আসা হচ্ছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেএমপি কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার। তিনি আজ বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, খুলনা সদর থানায় বিএনপি নেতা শফিকুল আলম মনার বাড়ি ভাঙচুরের মামলায় সুকান্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সরকারি কর্মচারী গ্রেপ্তারে নির্ধারিত বিধিবিধান অনুসরণ করতে হয়। এটা না হলে পরে নানা প্রশ্ন তৈরি হয়। তাই কিছুটা সময় লেগেছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, এসআই সুকান্তর বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ১২ ডিসেম্বর খুলনা সদর থানায় একটি মামলা হয়, যেখানে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগ আনা হয়। মামলাটি মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্ত করছে। এ ছাড়া বিএনপির খুলনা মহানগর সভাপতি শফিকুল আলম মনার বাড়ি ভাঙচুরসহ আরও দুটি মামলা রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
এদিকে আজ বিকেল থেকে কেএমপি সদর দপ্তরের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা–কর্মীরা। তাঁরা পুলিশ কমিশনারের অপসারণের এক দফা দাবিতে নানা স্লোগান দিচ্ছেন।
বিক্ষোভকারী ব্যক্তিরা বলছেন, সুকান্তকে প্রথমে আটক করার পরও আইনি কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। এর প্রতিবাদেই তাঁরা আন্দোলন করছেন।
গতকাল বুধবারও সুকান্ত দাসকে গ্রেপ্তার ও পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগের দাবিতে কেএমপি সদর দপ্তর ঘেরাও করে বিক্ষোভ হয়েছিল। বিক্ষোভের প্রথম দিন গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে আন্দোলনকারী ব্যক্তিরা কর্মসূচি সাময়িক স্থগিত করেন। পরে রাত সাড়ে নয়টায় কেএমপির সদর দপ্তরের তালা খুলে পুলিশের কর্মকর্তারা বেরিয়ে আসেন এবং সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক এমপ
এছাড়াও পড়ুন:
গোপালগঞ্জে আরো দুই মামলায় আসামি ৫৫২
আওয়ামী লীগের ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচির ঘটনায় গোপালগঞ্জ সদর ও কাশিয়ানী থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে আরো পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এ দুটি মামলায় ১৫২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় জেলায় মোট চারটি মামলা দায়ের হলো।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাতে গোপালগঞ্জ সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শফিক ও কাশিয়ানী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় এ দুটি মামলা দায়ের করেন।
গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ আলম জানিয়েছেন, গত ১৩ নভেম্বর আওয়ামী লীগের ঢাকা লকডাউন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জের কয়েকটি স্থানে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। ৬৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ২০০ জনসহ ২৬৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
অপরদিকে, কাশিয়ানী থানার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল হোসেন জানিয়েছেন, কাশিয়ানী থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় ৮৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ২০০ জনসহ মোট ২৮৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে আওয়ামী লীগের ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচির ঘটনায় গোপালগঞ্জ সদর ও কোটালীপাড়া থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে আরো পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এ দুটি মামলায় ৮২ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত নামা ২৮৫ জনসহ মোট ৩৬৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ দুই মামলায় পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগের ঢাকা লকডাউন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জ শহরের গণপূর্ত অফিসের গাড়িতে ও সদর উপজেলার উলপুরে গ্রামীণ ব্যাংক অফিসে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এছাড়া জেলার কয়েকটি স্থানে সড়কে গাছ ফেলে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়।
ঢাকা/বাদল/এস