পুলিশের এসআই সুকান্ত দাসকে কারাগারে প্রেরণ
Published: 26th, June 2025 GMT
খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনার বাড়ি ভাঙচুরসহ চারটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত কুমার দাসকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকেলে সুকান্ত কুমার দাসকে সদর থানা আমলি আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসমিন নাহার তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
গ্রেপ্তার সুকান্ত কুমার দাস খুলনার ডুমুরিয়া থানার কালিকাপুর গ্রামের শত্রুঘ্ন দাসের ছেলে এবং চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার তিওরবিলা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ছিলেন। ছুটিতে তার নিজ বাড়িতে খুলনায় অবস্থানকালে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা মঙ্গলবার (২৫ জুন) তাকে ধরে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। চিকিৎসা শেষে পুলিশ তাকে ছেড়ে দিলে খুলনায় তাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে আন্দোলন করা হয়।
আরো পড়ুন:
সিলেটে দেড় মাসের শিশুকে গলাকেটে হত্যা, বাবা ছুরিকাহত
আউয়াল প্রসঙ্গে ডিবি
বিএনপিকে বাদ দিয়ে নির্বাচন, ভোটের পরিসংখ্যান নিয়েও করেন মিথ্যাচার
চুয়াডাঙ্গা আদালত পরিদর্শক নাসির উদ্দিন জানান, গত বছরের ১২ ডিসেম্বর খুলনা সদর থানায় দায়ের করা একটি মামলার এজাহারনামীয় আসামি সুকান্ত। আজ বিকেলে তিনি স্বেচ্ছায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় হাজির হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
ঢাকা/মামুন/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনা মহানগর পুলিশের সদর দপ্তর ঘেরাও, ফটকে তালা
খুলনায় এক উপপরিদর্শককে (এসআই) মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে পুলিশের ওই কর্মকর্তাকে ছেড়ে দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। আজ বুধবার দুপুর থেকে খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) সদর দপ্তর ঘেরাও করেন বিক্ষোভকারীরা। একপর্যায়ে তাঁরা মূল ফটকে তালা লাগিয়ে দেন এবং সড়কে টায়ারে আগুন ধরিয়ে দেন।
বিক্ষোভের আয়োজন করে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’। বেলা দুইটার দিকে মিছিল নিয়ে কেএমপি সদর দপ্তরের সামনে অবস্থান নেন তাঁরা। এ সময় আন্দোলনকারীরা রাস্তার দুই পাশ বন্ধ করে নানা স্লোগান দিতে থাকেন। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বিক্ষোভে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদেরও অংশ নিতে দেখা যায়।
বিক্ষোভকারীরা ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত’, ‘জ্বালো জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘সুকান্তের চামড়া, তুলে নেব আমরা’, ‘পুলিশ কমিশনারের চামড়া, তুলে নেব আমরা’, ‘পুলিশ কমিশনার জুলফিকার, আস্ত একটা স্বৈরাচার’, ‘অবৈধ পুলিশ লীগ, মানি না, মানব না’, ‘লড়তে হবে, লড়তে হবে—এই লড়াই জিততে হবে’ স্লোগান দিতে থাকেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেলে খুলনার খানজাহান আলী থানা এলাকা থেকে এসআই সুকান্ত কুমার দাসকে আটক করে মারধর করেন স্থানীয় জনতা ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা। পরে তাঁকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। তিনি বর্তমানে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থানায় কর্মরত। খুলনায় একটি মামলায় সাক্ষ্য দিতে এসে এ ঘটনার শিকার হন বলে জানা গেছে।
আন্দোলনকারীরা রাস্তার দুই পাশ বন্ধ করে নানা স্লোগান দিতে থাকেন। আজ বুধবার দুপুরে নগরের গ্যালাক্সো মোড়ে