সেই এইচএসসি পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনাধীন
Published: 27th, June 2025 GMT
চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার (২৬ জুন)।
অসুস্থ মাকে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেরি হওয়ায় প্রথম দিনের এইচএসসি পরীক্ষায় রাজধানীর সরকারি মিরপুর বাঙলা কলেজ কেন্দ্রের এক শিক্ষার্থীর পরীক্ষা না দিতে পারার ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এই তথ্য জানিয়েছে।
এ বিষয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা সিআর আবরার বলেন, “মানবিক বিবেচনায় ওই শিক্ষার্থীর বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে। বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি পাবলিক পরীক্ষা গ্রহণ সংক্রান্ত আইন ও বিধির আলোকে সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। তার এ দুঃসময়ে আমরাও সমব্যথী। এ পরীক্ষার্থীকে উদ্বিগ্ন না হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।”
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে এইচএসসি ও সমমানের প্রথম দিনের পরীক্ষা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজধানীর সরকারি মিরপুর বাঙলা কলেজ কেন্দ্রের এক শিক্ষার্থীর পরীক্ষা না দিতে পারার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। পরীক্ষা দিতে না পারায় ওই কেন্দ্রের সামনে তাকে কাঁদতে দেখা যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এইচএসসি পরীক্ষার্থী ওই মেয়েটির বাবা বেঁচে নেই। মা মেজর স্ট্রোক করেন। যেহেতু পরিবারে দায়িত্বশীল কেউ নেই, তাই মেয়েটিকেই সব সামলে মাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। সেখান থেকে ছুটতে হয়েছে পরীক্ষার কেন্দ্র মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজে। কিন্তু পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হতে দেরি হওয়ায় তাকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
ঢাকা/হাসান/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র পর ক ষ পর ক ষ র
এছাড়াও পড়ুন:
জাল অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে পরীক্ষার হলে এইচএসসি পরীক্ষার্থী!
সিলেটে জাল অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে এইচএসসি পরীক্ষার হলে প্রবেশ করেছিলেন এক ছাত্রী। তবে তিনি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে সিলেট সরকারি কলেজ কেন্দ্রে এমন ঘটনা ঘটে। জাল অ্যাডমিট কার্ডসহ মোছা. তাহমিনা আক্তার নামের ওই ছাত্রীকে আটক করেন পরীক্ষকরা। পরে পরিবারের জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তিনি মদন মোহন কলেজের শিক্ষার্থী বলে দাবি করেছেন।
সিলেট সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ এ জেড এম মাঈনুল হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকালে পরীক্ষা শুরুর আগে প্রবেশপত্র যাচাইয়ের সময় কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের চোখে পড়ে- দুটি অ্যাডমিট কার্ডে একই রোল নম্বর ও তথ্য রয়েছে। দুজনই নিজেদের মদন মোহন কলেজের শিক্ষার্থী বলে পরিচয় দেন।
যাচাই-বাছাই শেষে প্রকৃত পরীক্ষার্থী ফয়জিয়া আক্তারকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়, আর ভুয়া অ্যাডমিট কার্ডসহ ধরা পড়া তাহমিনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
এসময় তাহমিনা জানান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফি দিতে না পারায় তার ভাই এক দালালের মাধ্যমে টাকা জমা দেন এবং সেখান থেকেই অ্যাডমিট কার্ড সংগ্রহ করেন। পরে কেন্দ্রে এসে বুঝতে পারেন, সেটি ছিল জাল।
তাহমিনার দাবি সেকিছুই জানে না, সবকিছু তার ভাই করেছে। তার ভাই বর্তমানে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
অধ্যক্ষ এ জেড এম মাঈনুল হোসেন বলেন, ‘‘ছাত্রীটি যদি প্রতারণার শিকার হয়ে থাকে, তাহলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে মানবিক বিবেচনায় তাকে পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।”
ঢাকা/নূর/এস