বাগেরহাটের মোল্লাহাটে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে টোল প্লাজার সামনে একটি মাইক্রোবাস থেকে চারটি বিদেশি পিস্তল, চারটি ম্যাগজিন এবং নয় রাউন্ড গুলিসহ ১১ জনকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। 

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সন্ধ্যায় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ওই মাইক্রোবাসে তল্লাশি চালানো হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, ঢাকা মেট্রো–চ ১৫-৬৭৭০ নম্বরের মাইক্রোবাসটি মোল্লাহাটের পথ দিয়ে খুলনার দিকে যাচ্ছিল। এতে তল্লাশি চালিয়ে চারটি ৭.

৬২ মিলিমিটার চাইনিজ পিস্তল, চারটি ম্যাগজিন ও নয় রাউন্ড গুলি পাওয়া গেছে। এ সময় ১১ জনকে আটক করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

মৌলভীবাজার সীমান্তে আবারো ২৫ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ

চবিতে গাঁজা সেবনকালে ৩ ছাত্রীসহ ৯ শিক্ষার্থী আটক

আটক ব্যক্তিরা সবাই ঝিনাইদহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। তারা হলেন—কাউসার আলী (৪৩), মো. মেহেদী হাসান (২৩), আতাউর রহমান (৩০), মো. খোকন বিশ্বাস (৪৫), খোকন মিয়া (৩৫), আবুল হোসেন (৪৩), মো. ইমদাদুল হক (৩১), জনি মিয়া (২৭), সেলিম শাহ (৩৪), মাসুম পারভেজ (২২) ও প্রসেনজিৎ চন্দ্র দাশ (৩৫)। সবাইকে বাগেরহাট জেলা গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।

বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল আরিফ জানিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাদের বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা ছিল। আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে অস্ত্রের উৎস ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।

ঢাকা/শহিদুল/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আটক ব গ রহ ট

এছাড়াও পড়ুন:

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করছে

প্রযুক্তির উৎকর্ষের মধ্যেও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষেরা বিভিন্নভাবে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীকে প্রায়ই বিকৃতভাবে বা ভুলভাবে উপস্থাপন করছে। গুগলে ‘ইনডিজেনাস পিপল’ লিখে খোঁজা হলে মাঝেমধ্যে এমন ছবি দেখানো হয়, যা তাদের ‘আদিম’, ‘বন্য’, ‘বর্বর’, ‘জংলি’ ও ‘হিংস্র’ আকারে উপস্থাপন করে।

সোমবার রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জা​দুঘর মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় বক্তারা এমন অভিযোগ করেন। ‘আদিবাসী নারীর অধিকার রক্ষা ও ভবিষ্যৎ গড়ার লড়াইয়ে আধুনিক প্রযুক্তির ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্ক।

আলোচনা সভায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক ফাল্গুনী ত্রিপুরা। তিনি বলেন, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষদের ঘিরে এমন উপস্থাপনের প্রভাব নারীদের ওপরও পড়বে।

মানবাধিকারকর্মী খুশী কবির বলেন, দেশে জাতিসংঘের অনেকগুলো দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা হলেও আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালন করা হয় না। তিনি বলেন, বুঝুক আর না বুঝুক বাংলাদেশ জাতিসংঘের বিভিন্ন কনভেনশনকে তড়িঘড়ি করে সমর্থন করে। কিন্তু এই কনভেনশনকে সমর্থন করেনি। সরকার বুঝেশুনেই সমর্থন করেনি। আগের সরকার বলেছে, বাংলাদেশে আদিবাসী নেই, এই সরকারও আদিবাসীদের স্বীকৃতি দিচ্ছে না।

একটাই ধর্ম ও জাতিসত্তা থাকবে, এমন মনোভাব কাম্য নয় উল্লেখ করে এই মানবাধিকারকর্মী বলেন, ‘কিসের ভয়ে আমরা দেশে ভিন্ন ধর্ম, চিন্তা ও জাতিসত্তার মানুষকে থাকতে দেব না? কে অধিকার দিয়েছে যে একটি মাত্র মতবাদ, চিন্তা, ভাষা জাতি ও ধর্ম থাকবে? রাষ্ট্রের জন্য এটা কাম্য হতে পারে না।’

চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানে সমতল ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নারীদের উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখ করে খুশী কবির বলেন, অভ্যুত্থানের পরে আর নারীদের কোনো অংশগ্রহণ নেই। নারী কমিশন গঠন করা হয়। কিন্তু কমিশনের কোনো কিছু গ্রহণ করা হয়নি। এর অর্থ সরকার নারীদের ভয় পায়। এই অবস্থা টিকে থাকার জন্য অভ্যুত্থান হয়নি। তাই অধিকার আদায়ে নারীদের শক্ত ভূমিকা রাখতে হবে। এখনই উত্তম সময়।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মানবাধিকারকর্মী খুশী কবির ছবি: প্রথম আলো হেডিং: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করছে

সম্পর্কিত নিবন্ধ