পূবালী ব্যাংক পিএলসি জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকটির ১টি শূন্য পদে ১৫০ জনকে নিয়োগ দেবে। সম্প্রতি প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

শিক্ষাগত যোগ্যতা:

যেকোনো বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। এর মধ্যে প্রথম বিভাগ বা শ্রেণি বা সমমানের জিপিএ বা সিজিপিএ থাকতে হবে। বর্তমানে ব্যাংকে অফিসার এবং সমমানের পদে কর্মরত প্রার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন।

অভিজ্ঞতা

পোশাক রপ্তানিতে ন্যূনতম ১ বছরের (ব্যাকওয়ার্ড এবং ফরোয়ার্ড লিংকেজ) অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তবে সিডিসিএস, সিএসডিজি, সিইটিএস, এআইবিবি অগ্রাধিকার পাবে। প্রার্থীদের মাইক্রোসফট অফিস অ্যাপ্লিকেশনে দক্ষতা এবং ডেটা বিশ্লেষণের দক্ষতা থাকা দরকার।

বয়সসীমা

আবেদনকারীর বয়স ৩৫ বছরের বেশি নয়।

বেতন: নির্বাচিত প্রার্থীকে ব্যাংকের নিয়ম অনুসারে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেওয়া হবে। সিনিয়র অফিসার পদে নিয়মিত স্কেল প্রদান করা হবে। এক বছরের অস্থায়ী মেয়াদ সফলভাবে সম্পন্ন করার পর প্রার্থীকে চাকরিতে স্থায়ী করা হবে।

আবেদন পদ্ধতি

আগ্রহী প্রার্থীরা এই লিংকের মাধ্যমে অনলাইনের আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ তারিখ: ২০ জুলাই, ২০২৫।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কোটিপতি হলেও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাজ করেন তিনি

পর্যাপ্ত অর্থ সঞ্চয় করতে পারলেই আমাদের অনেকে কায়িক পরিশ্রম ছেড়ে দেন। আরাম-আয়েশে জীবন কাটান। কিন্তু সবাই তা করেন না। এমন একজন জাপানের কোইচি মাতসুবারা। ৫৬ বছর বয়সী এই জাপানি নাগরিকের বার্ষিক আয় প্রায় ৩ কোটি ইয়েন (প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা) হওয়া সত্ত্বেও তিনি এখনো নিয়মিত পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করেন।

মাতসুবারা সপ্তাহে তিন দিন, প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে কাজ করেন। তিনি সরকারি পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করেন। এ কাজের অংশ হিসেবে তাঁকে ছোটখাটো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করতে হয়।

এ কাজ থেকে মাতসুবারা মাসে ১ লাখ ইয়েন (প্রায় ৮২ হাজার ৬৪ টাকা) আয় করেন, যা টোকিওর গড় বেতনের তুলনায় অনেক কম। তারপরও তিনি এ কাজ করেন। কারণ, তিনি এটাকে শারীরিক সক্রিয়তা ও মানসিক প্রশান্তির উপায় হিসেবে দেখেন।

মাতসুবারা ছোটবেলা থেকেই সঞ্চয়ী ছিলেন। মাধ্যমিকের পর তিনি একটি কারখানায় মাসে ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন (প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা) বেতনে কাজ শুরু করেন। খরচ বাঁচিয়ে কয়েক বছরে প্রায় ৩০ লাখ ইয়েন (২৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা) সঞ্চয় করে তিনি প্রথম স্টুডিও ফ্ল্যাট কিনেছিলেন।

পরে বাড়ি কেনার ঋণ আগেভাগে পরিশোধ করে ধীরে ধীরে আরও ফ্ল্যাট কেনেন এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেন মাতসুবারা। এখন টোকিও ও এর শহরতলিতে তাঁর সাতটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার সবই ভাড়া দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেছেন।

ধনবান হলেও মাতসুবারা সাদাসিধে জীবন যাপন করেন। এখনো তিনি সস্তা ফ্ল্যাটে থাকেন, নিজের খাবার নিজে বানান, নতুন জামাকাপড় কেনেন না, সাধারণ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন এবং প্রধানত সাইকেলে চলাচল করেন। তাঁর জীবনদর্শন—‘প্রতিদিন কিছু না কিছু করার আশা করি, সুস্থ থাকতে চাই এবং নিজেকে নিয়ে চিন্তা করতে চাই।’

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে মাতসুবারাকে ‘অদৃশ্য কোটিপতি’ বলে উল্লেখ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর গল্প ছড়িয়ে পড়েছে। জাপানে ধনীদের এমন সাধারণ জীবনধারা অস্বাভাবিক নয়। দেশটিতে সাদাসিধে জীবনযাপন অনেকের মধ্যে দেখা যায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ