পূবালী ব্যাংক পিএলসি জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকটির ১টি শূন্য পদে ১৫০ জনকে নিয়োগ দেবে। সম্প্রতি প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

শিক্ষাগত যোগ্যতা:

যেকোনো বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। এর মধ্যে প্রথম বিভাগ বা শ্রেণি বা সমমানের জিপিএ বা সিজিপিএ থাকতে হবে। বর্তমানে ব্যাংকে অফিসার এবং সমমানের পদে কর্মরত প্রার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন।

অভিজ্ঞতা

পোশাক রপ্তানিতে ন্যূনতম ১ বছরের (ব্যাকওয়ার্ড এবং ফরোয়ার্ড লিংকেজ) অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তবে সিডিসিএস, সিএসডিজি, সিইটিএস, এআইবিবি অগ্রাধিকার পাবে। প্রার্থীদের মাইক্রোসফট অফিস অ্যাপ্লিকেশনে দক্ষতা এবং ডেটা বিশ্লেষণের দক্ষতা থাকা দরকার।

বয়সসীমা

আবেদনকারীর বয়স ৩৫ বছরের বেশি নয়।

বেতন: নির্বাচিত প্রার্থীকে ব্যাংকের নিয়ম অনুসারে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেওয়া হবে। সিনিয়র অফিসার পদে নিয়মিত স্কেল প্রদান করা হবে। এক বছরের অস্থায়ী মেয়াদ সফলভাবে সম্পন্ন করার পর প্রার্থীকে চাকরিতে স্থায়ী করা হবে।

আবেদন পদ্ধতি

আগ্রহী প্রার্থীরা এই লিংকের মাধ্যমে অনলাইনের আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ তারিখ: ২০ জুলাই, ২০২৫।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কর্ণফুলী পেপার মিলকে কীভাবে কাজে লাগানো যায়, সেই চিন্তা করছি

অন্তর্বর্তী সরকারের শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খাঁন বলেছেন, “আমরা বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনীতির কথা চিন্তা করে কর্ণফুলী পেপার মিলকে (কেপিএম) কীভাবে নতুন করে কাজে লাগানো যায়, সেই চিন্তা করছি। এই মিলের পরিচালনা পদ্ধতি ব্যক্তি মালিকানাধীন হবে, নাকি সরকারি মালিকানায় থাকবে এর সম্ভাবনা নিয়ে চিন্তা করছি।”

তিনি বলেন, “২০২২ সালে এই মিলের ওপর যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে তার যৌক্তিকতা নিয়ে আজকে আমাদের পর্যবেক্ষণ। দেশের শিল্পগুলোকে কাজে লাগিয়ে সরকারের স্বল্প সময়ে অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করা এখন আমাদের প্রধান লক্ষ্য।”

আরো পড়ুন: কর্ণফুলী পেপার মিল বন্ধ, চালু নিয়ে অনিশ্চয়তা

আরো পড়ুন:

সামাজিক ব্যবসা পুরো বিশ্বকে বদলে দিতে পারে: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সিইসির সাক্ষাৎ

শুক্রবার (২৭ জুন) দুপুর আড়াইটায় রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনায় অবস্থিত বিসিআইসির কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী পেপার মিল (কেপিএম) পরিদর্শনে শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। এর আগে, উপদেষ্টা কেপিএম গেস্ট হাউজে মিলের বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

আদিলুর রহমান খাঁন বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে এই মিলের যে যন্ত্রপাতি আছে তা দিয়ে বেশি ভালো ফলাফল আশা করা সম্ভব নয়। যেহেতু, এর সঙ্গে আর্থিক সম্পৃক্ততা আছে, তাই এর প্র্যাকটিক্যাল দিক নিয়ে কীভাবে এগিয়ে যাওয়া যায় সেটাও ভাবছি। দেশে প্রচুর পরিমাণ কাগজ প্রয়োজন, বিদেশ থেকে
কাগজ আমদানি না করে দেশে উৎপাদন বাড়াতে হবে। কেপিএম-এর অনেক জায়গা আছে। বিদেশি কেমিক্যালের ওপর নির্ভর না করে দেশে কাঁচামাল উৎপাদন বাড়িয়ে কেপিএম-এর উৎপাদন ক্ষমতাকে বাড়াতে হবে।”

আরো পড়ুন: কর্ণফুলী পেপার মিল: ঘুরে দাঁড়াতে প্রয়োজন ৩৫ হাজার কোটি টাকা

এসময় শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব ওবায়দুর রহমান, বিসিআইসির চেয়ারম্যান মো. ফজলুর রহমান, কেপিএম লিমিটেডের এমডি শহীদ উল্লাহ, রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ, রাঙামাটির পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন, কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন, কেপিএম সিবিএ সভাপতি আব্দুল রাজ্জাক উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় সভার শুরুতে কেপিএম লিমিটেডের এমডি শহীদ উল্লাহ একটি প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। প্রস্তাবনায় তিনি বলেন, “স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনা হিসাবে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি মেরামত ও প্রতিস্থাপন করার জন্য ১২০ কোটি টাকা প্রয়োজন। এছাড়া দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা হিসেবে একটি নতুন পেপার মিল স্থাপন করা প্রয়োজন।”

ঢাকা/শংকর/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ