বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম সম্পর্কে এসব তথ্য জানতেন?
Published: 28th, June 2025 GMT
২০১৬ সালে জাপানের ফুকুয়ামায় এক জোড়া আম (এক কেজি) বিক্রি হয় পাঁচ লাখ ইয়েনে। তখনকার বিনিময় হার হিসাবে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা! ২০১৯ সালে এক জোড়া আমের দাম ওঠে ৪ লাখ টাকার বেশি। ২০২৩ সালে এক কেজি আম বিক্রি হয় সাড়ে চার লক্ষাধিক টাকায়। এই আম এখন ফলের জগতের ‘তারকা’, বলা হয়ে থাকে বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম। ইন্টারনেটের কল্যাণে মোটামুটি সবার কাছেই এটি পরিচিত। পোশাকি নাম ‘মিয়াজাকি’। আসল নাম ‘তাইয়ো নো তামাগো’, ইংরেজিতে ‘এগ অব দ্য সান’ অর্থাৎ সূর্যডিম। গায়ের রং সকালের সূর্যের মতো টকটকে লাল। আকৃতি ডিমের মতো। এ জন্যই এমন খেতাব। সবই না হয় বোঝা গেল, কিন্তু এর উচ্চমূল্যের কারণ কী? কী এমন আছে এই আমে?
কেন এত দামআদতে যতটা না আমে আছে, তার চেয়ে বেশি আছে নামে। সেই যে কোনোভাবে কোনো কিছুর একবার ‘নাম’ হয়ে গেলে, সেই নামের ভারেই বাড়বাড়ন্ত দাম থাকে তার! হ্যাঁ, এ কথা ঠিক যে ফল-দুনিয়ার ‘সেনসেশন’ হওয়ার ফলে নামের ভার আছে বটে; তবে উচ্চ মূল্য হওয়ার যোগ্যতাও কিন্তু এর কম কিছু নয়। মূলত বাজারদর নির্ধারণে কোনো জিনিস উচ্চমূল্য হওয়ার জন্য যেসব বিষয় বিবেচিত হয়, মিয়াজাকির ক্ষেত্রে তা বেশ ভালোভাবেই আছে।
কথায় আছে ‘আগে দর্শনদারি, পরে গুণবিচারী’। তাই প্রথমেই বলা যেতে পারে এর বাহ্যিক সৌন্দর্যের কথা। আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, এই আম দেখতে উদীয়মান সূর্যের মতো উজ্জ্বল লাল। ডিমের মতো গোল। ফলে মিয়াজাকি দেখাও যেন ‘চোখের সুখ’। এরপর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে এর অতুলনীয় স্বাদের কথা। এই আমে ১৫ শতাংশ বা তার বেশি পরিমাণে সুগার থাকে। ফলে খেতে বেশ মিষ্টি ও রসালো। সেই সঙ্গে আঁশবিহীন বলে জিবে বা দাঁতের ফাঁকে আঁশ আটকায় না। আমের ভেতরের অংশ, অর্থাৎ পাল্প অত্যন্ত নরম ও মোলায়েম। মুখে দিলেই গলে যায়। চিবোতে কষ্ট হয় না। মিয়াজাকির গন্ধ? মিষ্টি ফুলের মতো। তবে মোটেই তীব্র নয়, হালকা। পাল্পে থাকে হালকা মধুর সুঘ্রাণ। আর প্রাকৃতিকভাবে পাকানো হয় বলে এর ঘ্রাণ হয় বিশুদ্ধ ও সতেজ।
মিয়াজাকি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘ভাষা আন্দোলনের তাত্ত্বিক বিষয় আমাকে আকর্ষণ করেছিল’
ছবি: প্রথম আলো