প্রেসিডেন্ট হওয়া সবচেয়ে বিপজ্জনক কাজ: ট্রাম্প
Published: 28th, June 2025 GMT
মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট প্রেসিডেন্টকে তার নীতিগত এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য ব্যাপক ক্ষমতা প্রদানের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প তার জীবনের ওপর হুমকির কথা স্মরণ করছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে একজন প্রতিবেদক এই হুমকি সম্পর্কে জানতে চাইলে ট্রাম্প জানান, তার মাঝে মাঝে সেই সময়ের কথা মনে পড়ে যখন ২০২৪ সালের ১৩ জুলাই পেনসিলভানিয়ার প্রচারণা সমাবেশে তার কানে গুলি লেগেছিল।
ট্রাম্প বলেন, “আমি মাঝে মাঝেই সেই কম্পন অনুভব করি। আপনি জানেন কি এটা বিপজ্জনক কাজ?”
ব্যবসায়ী থেকে রাজনীতিবিদে পরিণত হওয়া ট্রাম্প শুক্রবার প্রেসিডেন্ট পদকে সবচেয়ে বিপজ্জনক কিছু পেশার মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বলে বর্ণনা করেছেন।
তিনি বলেছেন, “উদাহরণস্বরূপ, রেসিং কার চালকদের মধ্যে ১০ জনে একজন অর্থাৎ ১ শতাংশ নিহত হয়। ষাঁড় আরোহীদের ১০ জনে এক জন অর্থাৎ ১ শতাংশ মারা যায়। এটা খুব বেশি নয়, কিন্তু আপনি প্রেসিডেন্টের বেলায় এই হার ৫ শতাংশ। এটা যদি কেউ আমাকে বলত, তাহলে হয়তো আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতাম না। ঠিক আছে? এটা খুবই বিপজ্জনক পেশা।”
প্রসঙ্গত, ৪৫ জন মার্কিন প্রেসিডেন্টের মধ্যে চারজনকে হত্যা করা হয়েছে। আরো বেশ কয়েকজন প্রেসিডেন্ট এবং পদপ্রার্থীকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়েছিল।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় বদলে যেতে পারে শিক্ষার্থীর জীবন
লেখাপড়া প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এক বছর লেখাপড়া শেষে একটা পরিপূর্ণ মূল্যায়ন পেতে চায়। পরীক্ষার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীর সঠিক মূল্যায়ন পাওয়া সম্ভব। তাই জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা একজন শিক্ষার্থীর জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। একজন শিক্ষার্থীর জীবন এ বৃত্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়েই বদলে যেতে পারে।
জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা শুধু একটি পরীক্ষাই নয়, বরং একজন শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ গঠনের একটি শক্তিশালী ভিত্তি। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত একজন শিক্ষার্থী ধীরে ধীরে এই পরীক্ষার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে থাকে। এতে করে তার মধ্যে লক্ষ্য নির্ধারণ, পড়ার প্রতি আগ্রহ এবং নিয়মিত অধ্যবসায়ের অভ্যাস গড়ে ওঠে।
একজন শিক্ষার্থী যখন বৃত্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে শুরু করে, তখন তার মানসিক বিকাশের পাশাপাশি আত্মবিশ্বাসও বৃদ্ধি পায়। এই আত্মবিশ্বাস একজন শিক্ষার্থীর জন্য অনেক দরকার। ভবিষ্যৎ লেখাপড়ার প্রতিযোগিতামূলক সড়কে একমাত্র পরীক্ষার মাধ্যমেই শিক্ষার্থী নিজেকে গড়ে তুলতে সক্ষম।
জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা আবার শুরু হতে যাচ্ছে। অবশ্য এ উদ্যোগ ঘিরে বিভক্ত মত রয়েছে শিক্ষাবিদদের মধ্যে। এই পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষকদের অভিমত ছাপা হচ্ছে শিক্ষায়আর এই বৃত্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা জাতীয় পর্যায়ে একটি স্বীকৃতি অর্জনের সুযোগ পায়। একজন শিক্ষার্থী যখন বৃত্তিপ্রাপ্ত হয়, তখন সে শুধু নিজেই গর্বিত হয় না, তার পরিবার, বিদ্যালয় এবং সমাজও তার ওপর গর্ববোধ করে। এতে তার মধ্যে আরও ভালো কিছু করার অনুপ্রেরণা সৃষ্টি হয়। পড়াশোনায় সে আরও মনোযোগী হয়ে ওঠে এবং ভবিষ্যতে ভালো ফলাফলের জন্য আত্মবিশ্বাস অর্জন করে। এই সাফল্য পরবর্তীকালে তার শিক্ষা ও কর্মজীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
আরও পড়ুনঅষ্টম শ্রেণিতে আবারও বৃত্তি পরীক্ষা ফিরছে, আছে প্রশ্নও২৮ জুলাই ২০২৫রাবেয়া সুলতানা, সিনিয়র শিক্ষক, বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল, ঢাকা