কেএমপি কমিশনারের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ
Published: 28th, June 2025 GMT
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দারের পদত্যাগের দাবিতে সড়কে বিক্ষোভ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
শনিবার (২৮ জুন) দুপুর ৩টার দিকে তারা কেএমপির সদর দপ্তরের সামনের সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। ফলে বন্ধ হয়ে যায় খানজাহান আলী রোডে সব ধরনের যান চলাচল।
আরো পড়ুন: আলোচিত এসআই সুকান্ত অবশেষে গ্রেপ্তার
আরো পড়ুন:
পাবনা-ঢাকা বাস চলাচল বন্ধ
এসআই সুকান্তকে ছেড়ে দেওয়ায় কেএমপি ঘেরাও, প্রধান ফটকে তালা
আন্দোলনকারীরা জানান, গত মঙ্গলবার (২৪ জুন) খুলনার খানজাহান আলী থানা এলাকা থেকে স্থানীয় লোকজন ও বিএনপির নেতাকর্মীরা এসআই সুকান্ত দাসকে আটকে মারধর করেন। পরে তারা তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। পুলিশ এসআই সুকান্ত দাসকে ছেড়ে দেয়।
ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে গত ১২ ডিসেম্বর এসআই সুকান্ত দাসের বিরুদ্ধে খুলনা সদর থানায় মামলা হয়। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বিএনপির নগর সভাপতি শফিকুল আলম মনার বাড়ি ভাঙচুরসহ অন্য অভিযোগে দুটি মামলা আছে। এসআই সুকান্ত দাস বর্তমানে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থানায় কর্মরত ছিলেন।
এসআই সুকান্তকে ছেড়ে দেওয়ার প্রতিবাদে কেএমপি কমিশনারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করে ছাত্র-জনতা। পরবর্তীতে পুলিশ সুকান্ত দাসকে গ্রেপ্তার করলেও কমিশনারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখেন আন্দোলনকারীরা।
আরো পড়ুন: এসআই সুকান্তকে ছেড়ে দেওয়ায় কেএমপি ঘেরাও, প্রধান ফটকে তালা
আন্দোলনকারীদের পক্ষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি জানান, খুলনায় দিন দিন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি চরম অবনতি হচ্ছে। প্রায়ই হত্যাকাণ্ড ঘটছে। চোরাচালান, চাঁদাবাজি, মাদকের সিন্ডিকেট কোনো কিছুই নিয়ন্ত্রণে আসছে না। সব অপরাধের দায় নিয়ে পুলিশ কমিশনারকে পদত্যাগ করতে হবে। তিনি যতক্ষণ পর্যন্ত পদত্যাগ না করছেন আন্দোলন চলবে বলেও জানান তিনি।
আরো পড়ুন: খুলনায় এসআইকে মারধরের পর পুলিশে সোপর্দ
গত বৃহস্পতিবার পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগের জন্য ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য গ এসআই স ক ন ত দ স র র পদত য গ ক এমপ
এছাড়াও পড়ুন:
গোপালগঞ্জে আরো দুই মামলায় আসামি ৫৫২
আওয়ামী লীগের ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচির ঘটনায় গোপালগঞ্জ সদর ও কাশিয়ানী থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে আরো পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এ দুটি মামলায় ১৫২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় জেলায় মোট চারটি মামলা দায়ের হলো।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাতে গোপালগঞ্জ সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শফিক ও কাশিয়ানী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় এ দুটি মামলা দায়ের করেন।
গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ আলম জানিয়েছেন, গত ১৩ নভেম্বর আওয়ামী লীগের ঢাকা লকডাউন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জের কয়েকটি স্থানে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। ৬৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ২০০ জনসহ ২৬৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
অপরদিকে, কাশিয়ানী থানার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল হোসেন জানিয়েছেন, কাশিয়ানী থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় ৮৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ২০০ জনসহ মোট ২৮৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে আওয়ামী লীগের ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচির ঘটনায় গোপালগঞ্জ সদর ও কোটালীপাড়া থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে আরো পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এ দুটি মামলায় ৮২ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত নামা ২৮৫ জনসহ মোট ৩৬৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ দুই মামলায় পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগের ঢাকা লকডাউন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জ শহরের গণপূর্ত অফিসের গাড়িতে ও সদর উপজেলার উলপুরে গ্রামীণ ব্যাংক অফিসে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এছাড়া জেলার কয়েকটি স্থানে সড়কে গাছ ফেলে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়।
ঢাকা/বাদল/এস