শেরপুর জেলা শহরের ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া নবজাতক শ্রীবরদী উপজেলার কুরুয়া কাজীপাড়া এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় অভিযুক্ত চাঁদনী বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

শনিবার (২৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নবজাতকটি উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার চাঁদনী বেগম (৩০) কুরুয়া কাজীপাড়া এলাকার চাঁন মিয়ার মেয়ে।

নবজাতকটির পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, শেরপুর জেলা শহরের চাপাতলী মহল্লার ফিরোজ মিয়ার স্ত্রী আবেদা বেগমের তিন দিনের নবজাতককে শহরের বটতলা এলাকার বেসরকারি ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে শনিবার (২৮ জুন) সকাল ৯টার দিকে চাঁদনী বেগম চুরি করে নিয়ে যায়। বিষয়টি জানাজানি হলে দুপুরে চাপাতলী এলাকা থেকে শতাধিক নারী-পুরুষ হাসপাতালের সামনে এসে বিক্ষোভ করে।

আরো পড়ুন:

নবজাতককে কী খাওয়াবেন, কখন গোসল করাবেন

ঘটনার পরপরই পুলিশ নবজাতকটিক উদ্ধারে অভিযান শুরু করে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় শ্রীবরদী উপজেলার কুরুয়া কাজীপাড়ার চাঁন মিয়ার বাড়ি থেকে নবজাতককে উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় অভিযুক্ত চাঁদনী বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে নবজাতকটিকে বাবা-মার কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।

শেরপুর সদর থানার উপপুলিশ পরিদর্শক নুরে আলম জানান, নবজাতকটি উদ্ধার ও এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।  
 

ঢাকা/তারিকুল/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর নবজ তকট

এছাড়াও পড়ুন:

মানুষের মন্দির

মানুষের মন্দির

এটি ছিল এক বিষণ্ন রাত

ফ্যাকাশে আলোর সঙ্গে,

হৈমন্তী চাঁদের আলোয়

আলোকসজ্জিত আকাশ।

আমরা আনন্দে একত্র হয়েছিলাম

শরতের রোদে রাঙা দুপুরে

আমাদের ঘামের ফসল হাতে

. . . . . . . . . . .

আমরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছি

আমাদের বপনের ঋতুতে

আমাদের যত্নের ঋতুতে,

আমরা ছিলাম অধ্যবসায়ী

আমরা ছিলাম নিবেদিত

আমাদের প্রচেষ্টা প্রতি,

এখন সময় এসেছে ফসল তোলার।

এই সব দিনে

আমরা ভোগ করি পরিশ্রমের ফসল

আমাদের আগে ছিল যারা,

বুঝি না আত্মত্যাগের মানে

যা জন্ম নিয়েছে

নিজের গড়া গৌরবের ছায়া হতে।

আমারও লোভার্ত হাত পৌঁছেছিল সেই আলমারিতে

একটি নিরবচ্ছিন্ন চেতনা নিয়ে,

প্রাচুর্যের মানে বুঝতে অপারগ,

এক নিঃশব্দ অস্বীকৃতির ভারে।

. . . . . . . . . . . .

এই সময়ে

কিছু মানুষ আছে,

আমার প্রতিবেশীরা,

আমার সহপথিক মানবেরা

অক্লান্ত পরিশ্রম করে, তবু ভোগে যন্ত্রণায়।

এদিকে আমার কঠিন চেতনা

আসে আর যায়

সহানুভূতির প্রাঙ্গণ দিয়ে,

ফেলে রেখে যায়

আমার জন্মগত ও ঈশ্বরপ্রদত্ত করুণা,

আমার অসংবেদনশীলতার দ্বারে।

.. . . . . . . . . . .

দশমাংশ কী,

এ কি শুধু এইটুকুই...

আমাদের সীমিত পকেট আর পার্স খালি করা

চাঁদার ঝুড়িতে ফেলার জন্য?

. . . . . . . .

আমি আমার দশম ভেড়া কোথায় দেব,

আমার দশম ছাগল,

আর কোন মন্দিরে...?

এ কি মানুষের তৈরি মন্দির,

ইট, চুনসুরকি আর কাঠ দিয়ে গড়া,

যেখানে আমরা জমায়েত হই

আমাদের স্বেচ্ছায় জমানো অস্থিরতা উজাড় করতে,

নাকি এটা তার চেয়ে বড় কিছু,

একটি মন্দির যা বিরাট কোনো চেতনার জগতে বিরাজমান,

যা আমাদের সকলকে আপন করে জড়িয়ে ধরে?

যখন

যখন সবকিছু ধসে পড়বে,

তখন তুমি কোথায় দাঁড়িয়ে থাকবে?

যখন আকাশ নিজেকে গুটিয়ে নেবে,

তখন তুমি কীভাবে নিশ্বাস নেবে?

যখন তারারা তাদের আলো নিভিয়ে দেবে,

তখন কি আমাদের স্বপ্ন দেখার ক্ষমতাটাও

অদৃশ্য হয়ে যাবে?

যখন হাসি ব্যথার জন্ম দেবে,

তখন কি আমরা

অর্থবোধক অনুভূতি থেকে

সম্পূর্ণ শূন্য হয়ে যাব?

যখন আমরা আর আহারের জন্য ক্ষুধার্ত থাকব না,

তখন কি আমরা সময়ের মৃত্যুযাত্রায়

নীরবে আত্মসমর্পণ করব?

যখন দিগন্তের শেষ

আমাদের সামনে দাঁড়াবে,

তখন কি আমরা ছুটে বেড়াব

সবকিছু মনে করতে, ফিরে পেতে

যা আমরা অবহেলা করেছি,

ধ্বংস করেছি, ভুলে গেছি?

যখন সব ‘কেন’র উত্তর মিলবে,

তখন কি আমরা অবশেষে বুঝতে পারব?

যেমন মি. স্মিথ বলেছিল নিওকে,

আমরা একধরনের ভাইরাস,

একটা বিপজ্জনক জাত

যাদের সবচেয়ে বড় ক্ষমতা হলো

ধ্বংস করার দক্ষতা।

এই আত্মনির্মিত দুঃস্বপ্ন

কবে শেষ হবে?

কবে?

সম্পর্কিত নিবন্ধ