শেরপুরে হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া নবজাতক উদ্ধার, নারী গ্রেপ্তার
Published: 28th, June 2025 GMT
শেরপুর জেলা শহরের ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া নবজাতক শ্রীবরদী উপজেলার কুরুয়া কাজীপাড়া এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় অভিযুক্ত চাঁদনী বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার (২৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নবজাতকটি উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার চাঁদনী বেগম (৩০) কুরুয়া কাজীপাড়া এলাকার চাঁন মিয়ার মেয়ে।
নবজাতকটির পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, শেরপুর জেলা শহরের চাপাতলী মহল্লার ফিরোজ মিয়ার স্ত্রী আবেদা বেগমের তিন দিনের নবজাতককে শহরের বটতলা এলাকার বেসরকারি ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে শনিবার (২৮ জুন) সকাল ৯টার দিকে চাঁদনী বেগম চুরি করে নিয়ে যায়। বিষয়টি জানাজানি হলে দুপুরে চাপাতলী এলাকা থেকে শতাধিক নারী-পুরুষ হাসপাতালের সামনে এসে বিক্ষোভ করে।
আরো পড়ুন:
নবজাতককে কী খাওয়াবেন, কখন গোসল করাবেন
ঘটনার পরপরই পুলিশ নবজাতকটিক উদ্ধারে অভিযান শুরু করে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় শ্রীবরদী উপজেলার কুরুয়া কাজীপাড়ার চাঁন মিয়ার বাড়ি থেকে নবজাতককে উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় অভিযুক্ত চাঁদনী বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে নবজাতকটিকে বাবা-মার কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।
শেরপুর সদর থানার উপপুলিশ পরিদর্শক নুরে আলম জানান, নবজাতকটি উদ্ধার ও এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
ঢাকা/তারিকুল/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
লালদিয়া টার্মিনাল নির্মাণে এপিএম টার্মিনালসের সঙ্গে সরকারের চুক্তি
লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণে ডেনমার্কের এপিএম টার্মিনালসের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি করেছে বাংলাদেশ সরকার। চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে এই চুক্তি করা হয়েছে।
আজ সোমবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দুই পক্ষ এ চুক্তিতে সই করে। এতে ডেনমার্ক, বাংলাদেশ সরকার ও বন্দর সংশ্লিষ্ট উচ্চপর্যায়ের নীতিনির্ধারকেরা অংশ নেন।
চুক্তিতে সই করেন এপিএম টার্মিনালসের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টেইন ভ্যান ডোঙ্গেন ও চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল সৈয়দ মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান।
ডেনমার্কের পক্ষে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইবিএস এপিএম টার্মিনালসের হেড অব ইনভেস্টমেন্ট ভাস্কর সেনগুপ্ত, ডেনমার্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্টেট সেক্রেটারি লিনা গান্ডলোসে হ্যানসেন ও বাংলাদেশে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিকস মোলার। বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, পিপিপি কর্তৃপক্ষের সিইও আশিক চৌধুরী, নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার এম সাখাওয়াত হোসেন (অব.) ও নৌপরিবহন সচিব নুরুন্নাহার চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনবলেন, ‘এই চুক্তি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে জাতির জন্য বড় অবদান। যাঁদের মধ্যে এ নিয়ে সন্দেহ ছিল, আশা করি, আজ তা দূর হবে।’ তাঁর আরও আশা, এই ধারাবাহিকতায় মোংলা সমুদ্রবন্দর পরিচালনায়ও বিদেশি বিনিয়োগ আসবে।
পিপিপি কর্তৃপক্ষের সিইও আশিক চৌধুরী বলেন, ‘লালদিয়া দেখিয়ে দিয়েছে—পিপিপি শুধু তত্ত্বে নয়, বাস্তবেও কার্যকর। ভবিষ্যতেও আমরা বাস্তবায়ন-কেন্দ্রিক অবকাঠামো উন্নয়নেই মনোযোগ দেব।’ তিনি আরও জানান, আগামী কয়েক বছরে চারটি নতুন সমুদ্রবন্দর বাস্তবায়নের কাজ চলছে। এর মধ্যে আছে একটি গভীর সমুদ্রবন্দর, একটি আন্তর্জাতিক টার্মিনাল ও একটি নির্ধারিত মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল।
ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লার্স লোক্কে রাসমুসেন বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই ডেনমার্কের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত পাঁচ দশকে দুই দেশের উন্নয়ন সহযোগিতার সফলতা দেখা গেছে। তিনি আরও বলেন, ‘আজ আমাদের সম্পর্ক সহায়তা থেকে ব্যবসায় রূপ নিয়েছে। মাথাপিছু হিসাবে ডেনমার্ক বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ রপ্তানি গন্তব্য। বাংলাদেশের বন্দর অবকাঠামো উন্নয়ন ও বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের লক্ষ্য পূরণে লালদিয়া প্রকল্প নতুন মাইলফলক।’
পরিবহন কোম্পানি মেয়ার্স্কের চেয়ারম্যান রবার্ট মেয়ার্স্ক উগলা বলেন, লালদিয়া হবে অত্যাধুনিক গ্রিনফিল্ড টার্মিনাল; সেখানে নিরাপত্তা, অটোমেশন ও স্থায়িত্বের সর্বোচ্চ মান থাকবে। এতে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়বে। সেই সঙ্গে লজিস্টিকস খাতের অগ্রযাত্রায় এটি বিশেষ মুহূর্ত হয়ে থাকবে।