রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ট্রাকের ধাক্কায় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আজ শনিবার সন্ধ্যার দিকে নিহত ইসরাত জাহানের মরদেহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।

ইসরাত ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটারবিজ্ঞান বিভাগের পঞ্চম সেমিস্টারের ছাত্রী ছিলেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরার কলারোয়ায়।

এ ঘটনায় সড়ক পরিবহন আইনে করা মামলায় ট্রাকের চালক মাসুমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। পথচারীরা ট্রাকচালককে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো.

শাহনেওয়াজ প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এসআই শাহনেওয়াজ বলেন, ইসরাত রামপুরায় একটি হোস্টেলে থেকে লেখাপড়া করতেন। গতকাল বিকেলে এক বন্ধুর সঙ্গে মোটরসাইকেলে ঘুরতে বের হন। পরে রামপুরায় ফেরার পথে যাত্রাবাড়ীর দনিয়া কলেজের সামনে পেছন থেকে ট্রাকটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি সড়কে ছিটকে পড়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পান। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ইসরাতের বন্ধু সামান্য আঘাত পেয়েছেন।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, নিহত শিক্ষার্থীর বাবা আবদুর রশিদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ইসরাতের বাবা আবদুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আশা ছিল, মেয়ে লেখাপড়া শেষে চাকরি করবে। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনায় সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইসর ত

এছাড়াও পড়ুন:

এস আই সুকান্ত দাশ গ্রেপ্তার

পুলিশের এসআই সুকান্ত দাশকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) এবং চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের একটি যৌথ দল চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। কেএমপি কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর ইস্টার্ন গেট এলাকা থেকে এসআই সুকান্ত দাসকে মারধর করে খানজাহান আলী থানা পুলিশের কাছে তুলে দেয় স্থানীয়রা। পরে রাতেই তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।

সুশান্ত দাশকে ছেড়ে দেওয়ার প্রতিবাদে বুধবার দুপুর থেকে কেএমপি সদর দপ্তর ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এক পর্যায়ে তারা দপ্তরের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। রাত সাড়ে ৯টায় ছাত্ররা চলে গেলে তালা ভেঙে কার্যালয় থেকে বের হন পুলিশ কর্মকর্তারা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা থেকে ফের কেএমপি সদর দপ্তর ঘেরাওয়ের ঘোষণা দিয়েছিল ছাত্ররা।

খুলনা সদর থানায় কর্মরত থাকা অবস্থায় এসআই সুকান্তের বিরুদ্ধে জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার ওপর নিপীড়ন ও গণগ্রেপ্তার চালানোর অভিযোগ ছিল। অভ্যুত্থানের পর তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়। অভ্যুত্থানের পর সুকান্তকে প্রথমে ঢাকায়, পরে চুয়াডাঙ্গায় বদলী করা হয়।

কেএমপি কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার বলেন, সদর থানায় দায়ের হওয়া একটি বাড়ি ভাঙচুর মামলায় সুকান্তকে গ্ৰেপ্তার করা হয়েছে। একজন সরকারি কর্মচারী গ্রেপ্তার সংক্রান্ত বিধি-বিধান অনুসরণ করতে সময় লেগেছে। তাকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খুলনা মহানগর সভাপতি আল শাহরিয়ার জানান, আমাদের প্রধান দাবি মানা হয়েছে। আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কেএমপি কমিশনারকে না সরালে খুলনা অচলের হুঁশিয়ারি
  • কেএমপি কমিশনারের অপসারণ দাবিতে আবার বিক্ষোভ
  • কেএমপি কমিশনারের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ
  • পুলিশের এসআই সুকান্ত দাসকে কারাগারে প্রেরণ  
  • সেই এসআই গ্রেপ্তার, এবার পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগ দাবিতে কেএমপি ঘেরাও
  • সেই এসআই গ্রেপ্তার, কেএমপি সদর দপ্তরের সামনে আজও বিক্ষোভ
  • আলোচিত এসআই সুকান্ত অবশেষে গ্রেপ্তার
  • এসআই সুকান্ত দাশ গ্রেপ্তার
  • এস আই সুকান্ত দাশ গ্রেপ্তার