ব্রাজিলের দ্বৈরথে নাটকীয়তা শেষে পালমেইরাস কোয়ার্টার ফাইনালে
Published: 29th, June 2025 GMT
ফুটবল মানেই নাটক, আর সেটি যদি হয় ব্রাজিলের দুই জায়ান্ট ক্লাবের মুখোমুখি লড়াই, তাহলে উত্তেজনা অনিবার্য। ক্লাব বিশ্বকাপে শনিবার রাতে ঠিক এমনই এক হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে বোতাফোগোকে অতিরিক্ত সময়ে ১-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে সাও পাওলোর ক্লাব পালমেইরাস।
দুই দলের মধ্যে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের বদলে ম্যাচটি ছিল ছন্দহীন ও প্রতিরোধমূলক। তাতে প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্যভাবে। এরপর দ্বিতীয়ার্ধের ৪৫ মিনিটেও গোলের দেখা পায় না কোনো দল। তাতে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেই গল্পের মোড় ঘুরে যায়। অতিরিক্ত সময়ের দশম মিনিটে বেঞ্চ থেকে উঠে আসা পাউলিনহো ডান প্রান্ত দিয়ে বল কাটিয়ে নিচু শটে বল জড়ান জালে। সেই মুহূর্তে বোতাফোগোর গোলরক্ষক জন ছিলেন কার্যত দর্শকের ভূমিকায়।
পালমেইরাস অধিনায়ক গুস্তাভো গোমেজ ১১৬ মিনিটের মাথায় দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। তাতে দশজনের দলে পরিণত হয় তারা। বোতাফোগো তখন মরিয়া হয়ে সমতায় ফিরতে চায়। কিন্তু ইগর জেসুস ও ভিতিনিওর প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হয়। শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পালমেইরাস।
আরো পড়ুন:
ক্লাব বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে কে কার প্রতিপক্ষ, দেখে নিন সময়সূচি
জুভেন্টাসকে উড়িয়ে শেষ ষোলোয় ম্যানসিটি
ম্যাচে মোট ১১টি হলুদ কার্ড ও একটি লাল কার্ড দেখান ফরাসি রেফারি ফ্রাঁসোয়া লেতেক্সিয়ে। যা ম্যাচটির উত্তেজনার প্রমাণ।
এই ম্যাচে পাউলিনহোর ফেরার গল্পটাও কম নয়। ইনজুরি থেকে ফিরে টানা দুটি ম্যাচে বদলি নেমে গোল করলেন তিনি। আগের ম্যাচে ইন্টার মায়ামির বিপক্ষে গোল করে দলকে সমতায় ফিরিয়েছিলেন। এবার দিলেন কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট।
চমকপ্রদ পরিসংখ্যানও রয়েছে পালমেইরাসের নামে। এখন পর্যন্ত ক্লাব বিশ্বকাপে তাদের চার ম্যাচে তিনটি ক্লিন শিট! আর বদলি খেলোয়াড়দের করা গোল সংখ্যা চারটি! এই দুই ক্ষেত্রেই তারা সবার ওপরে।
এবার তাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ ইংলিশ ক্লাব চেলসি। কোয়ার্টার ফাইনালের এই লড়াই অনুষ্ঠিত হবে শুক্রবার (৪ জুলাই) ফিলাডেলফিয়ায়। অন্যদিকে বোতাফোগোর জন্য বিদায়ের সুর বাজল। তারা ফিরে যাচ্ছে ব্রাজিলে, ঘরোয়া মৌসুমের প্রস্তুতি নিতে।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ক য় র ট র ফ ইন ল
এছাড়াও পড়ুন:
বিটিভিতে আবার শোনা যাবে, ‘আমরা নতুন, আমরা কুঁড়ি...’
প্রায় দুই দশকের দীর্ঘ বিরতির পর আবারও ফিরছে নতুন কুঁড়ি। গত মঙ্গলবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজস্ব পেজে এই তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)। এই খবর শুনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই স্মৃতিকাতর হয়েছেন—কারও মনে পড়েছে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার স্মৃতি, কারও মনে ভেসে উঠেছে শৈশবের প্রিয় অনুষ্ঠানটির দৃশ্য। ফেসবুকে অনেকে ছবিও শেয়ার করেছেন।
১৯৬৬ সালে পাকিস্তান টেলিভিশনে প্রথম প্রচারিত হয় ‘নতুন কুঁড়ি’। অনুষ্ঠানের নাম রাখা হয়েছিল কবি গোলাম মোস্তফার ‘কিশোর’ কবিতা থেকে। যার প্রথম ১৫ লাইন অনুষ্ঠানের সূচনাসংগীত হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
স্বাধীনতার পর ১৯৭৬ সালে মোস্তফা মনোয়ারের প্রযোজনায় আবার শুরু হয় ‘নতুন কুঁড়ি’। সে সময় বিটিভির অন্যতম আলোচিত এই অনুষ্ঠান হয়ে ওঠে শিশু-কিশোরদের স্বপ্নের মঞ্চ। নানা প্রান্ত থেকে উঠে আসা তরুণেরা গান, নাচ, অভিনয়, আবৃত্তি, গল্পবলা, কৌতুকসহ বিভিন্ন শাখায় নিজেদের প্রতিভা মেলে ধরার সুযোগ পান। ২০০৫ সাল পর্যন্ত চলে এ অনুষ্ঠান। পরে নানা কারণে অনুষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয় বিটিভি। ২০২০ সালে অনুষ্ঠানটি আবার শুরু করার খবর শোনা গিয়েছিল। কিন্তু পরে বলা হয়, কোভিড মহামারির কারণে সেটা আর সম্ভব হয়নি।
তিন দশকে নতুন অনেক তারকার জন্ম দিয়েছে নতুন কুঁড়ি। অনেকে চলচ্চিত্র, টেলিভিশন, নাট্যাঙ্গন ও সংগীতজগতে নিজস্ব অবস্থান গড়ে তুলেছেন। তাঁদের মধ্যে আছেন তারানা হালিম, রুমানা রশিদ ঈশিতা, তারিন জাহান, মেহের আফরোজ শাওন, নুসরাত ইমরোজ তিশাসহ আরও অনেকে। এ তালিকায় আছেন সামিনা চৌধুরীসহ অনেক জনপ্রিয় সংগীতশিল্পীও।