৩ আগস্ট শহীদ মিনারে জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করবে এনসিপি
Published: 29th, June 2025 GMT
সরকার ‘প্রতিশ্রুতি না রাখায়’ আগামী ৩ আগস্ট ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুলাই ঘোষণাপত্র এবং দলীয় ইশতেহার পাঠ করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ৫ আগস্ট ‘ছাত্রজনতার মুক্তি দিবস’ পালন করবে দলটি।
এছাড়া আগামী ১ থেকে ৩০ জুলাই দেশব্যাপী ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ শীর্ষক কর্মসূচি পালন করা হবে। জুলাইয়ের প্রথম দিন আন্দোলনের প্রথম শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে এ কর্মসূচি শুরু হবে।
রোববার সকালে রাজধানীর বাংলামোটরে দলটির অস্থায়ী কার্যালয়ে জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির আহ্বায়ক মো.
কর্মসূচি ঘোষণা করে নাহিদ বলেন, শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে দেশের ৬৪টি জেলায় ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি পালন করা হবে।
তিনি জানান, ১৬ জুলাই আবু সাঈদের মৃত্যুর মাধ্যমে আন্দোলনে শহীদ হওয়া শুরু হয়। তাই আমরা ১৬ জুলাই ‘বৈষম্যবিরোধী শহীদ দিবস’ হিসেবে সারাদেশে পালন করবো। এছাড়া ৩ আগস্ট শহীদ মিনারে ছাত্রজনতার পক্ষ থেকে জুলাই ঘোষণাপত্র এবং ইশতেহার পাঠ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। এই দিনকে ‘ছাত্রজনতার মুক্তি দিবস’ পালন করবে জাতীয় নাগরিক পার্টি।
এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র সরকারের দেওয়ার কথা ছিল। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবির সময় সরকার ৩০ কার্যদিবস সময় দিয়েছিল। সেই ৩০ কার্যদিবস পার হয়ে গেছে। কিন্তু কোনো উদ্যোগ আমরা দেখিনি। জুলাইয়ের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, সাংবিধানিক স্বীকৃতি, শহীদের স্বীকৃতি ইত্যাদি নিশ্চিত করার জন্য আমাদেরই জুলাই ঘোষণাপত্রটি প্রয়োজন। সরকার যেহেতু বলেছিল, সকলে আলোচনা করে ঐক্যমত্যের মাধ্যমে এটি দেবে, প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরও সরকার তা রক্ষা করতে পারেনি। সারা বাংলাদেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা এবং তাদের প্রত্যাশা শুনে, তাদের সঙ্গে নিয়ে আমরা ৩ আগস্ট শহীদ মিনারে ছাত্র জনতার জুলাই ঘোষণাপত্র এবং ইশতেহার পাঠ করবো।
নাহিদ বলেন, যেহেতু সরকার দায়িত্ব নিয়েছিল, ফলে ব্যর্থতার দায় সরকারকে নিতে হবে। সরকারকে স্পষ্ট করতে হবে কোথা থেকে বাধা পাচ্ছে। কাদের জন্য এটি হচ্ছে না। সরকার যেহেতু স্পষ্ট করেনি আমাদের মনে হয় সরকারের উপর নির্ভরশীল না থেকে আমাদের জায়গা থেকে দায়িত্ব পালন করা উচিত। পরবর্তী সময়ে সরকারের দায়িত্ব থাকবে এটাকে কীভাবে আইনি প্রক্রিয়ায় রূপান্তর করা যায়। আমাদের অবশ্য দাবি থাকবে এই ঘোষণাপত্র সংবিধানে যুক্ত করার।
তিনি বলেন, আমরা ৩১ ডিসেম্বর এই কর্মসূচি শুরু করেছিলাম। সরকারের জায়গা থেকে যখন বলা হলো, তখন আমরা কর্মসূচি থেকে সরে এসেছি। এখন এই ঘোষণাপত্র রচনার জন্য আমাদের সারাদেশে যাত্রা। আমরা জনগণের দুয়ারে জুলাইকে নিয়ে যাব। তাদের বক্তব্য এবং প্রত্যাশা অনুযায়ী ঘোষণাপত্র রচিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, এনসিপির কর্মসূচি ও বাস্তবায়ন সেলের সম্পাদক অনিক রায়, যুগ্ম সদস্য সচিব লুৎফর রহমানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ ত য় ন গর ক প র ট এনস প র প ঠ কর ৩ আগস ট সরক র র আম দ র এনস প
এছাড়াও পড়ুন:
বিটিভিতে আবার শোনা যাবে, ‘আমরা নতুন, আমরা কুঁড়ি...’
প্রায় দুই দশকের দীর্ঘ বিরতির পর আবারও ফিরছে নতুন কুঁড়ি। গত মঙ্গলবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজস্ব পেজে এই তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)। এই খবর শুনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই স্মৃতিকাতর হয়েছেন—কারও মনে পড়েছে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার স্মৃতি, কারও মনে ভেসে উঠেছে শৈশবের প্রিয় অনুষ্ঠানটির দৃশ্য। ফেসবুকে অনেকে ছবিও শেয়ার করেছেন।
১৯৬৬ সালে পাকিস্তান টেলিভিশনে প্রথম প্রচারিত হয় ‘নতুন কুঁড়ি’। অনুষ্ঠানের নাম রাখা হয়েছিল কবি গোলাম মোস্তফার ‘কিশোর’ কবিতা থেকে। যার প্রথম ১৫ লাইন অনুষ্ঠানের সূচনাসংগীত হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
স্বাধীনতার পর ১৯৭৬ সালে মোস্তফা মনোয়ারের প্রযোজনায় আবার শুরু হয় ‘নতুন কুঁড়ি’। সে সময় বিটিভির অন্যতম আলোচিত এই অনুষ্ঠান হয়ে ওঠে শিশু-কিশোরদের স্বপ্নের মঞ্চ। নানা প্রান্ত থেকে উঠে আসা তরুণেরা গান, নাচ, অভিনয়, আবৃত্তি, গল্পবলা, কৌতুকসহ বিভিন্ন শাখায় নিজেদের প্রতিভা মেলে ধরার সুযোগ পান। ২০০৫ সাল পর্যন্ত চলে এ অনুষ্ঠান। পরে নানা কারণে অনুষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয় বিটিভি। ২০২০ সালে অনুষ্ঠানটি আবার শুরু করার খবর শোনা গিয়েছিল। কিন্তু পরে বলা হয়, কোভিড মহামারির কারণে সেটা আর সম্ভব হয়নি।
তিন দশকে নতুন অনেক তারকার জন্ম দিয়েছে নতুন কুঁড়ি। অনেকে চলচ্চিত্র, টেলিভিশন, নাট্যাঙ্গন ও সংগীতজগতে নিজস্ব অবস্থান গড়ে তুলেছেন। তাঁদের মধ্যে আছেন তারানা হালিম, রুমানা রশিদ ঈশিতা, তারিন জাহান, মেহের আফরোজ শাওন, নুসরাত ইমরোজ তিশাসহ আরও অনেকে। এ তালিকায় আছেন সামিনা চৌধুরীসহ অনেক জনপ্রিয় সংগীতশিল্পীও।