মৌলিক সংস্কারের প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোকে একাত্ম হওয়ার আহ্বান এনসিপির
Published: 29th, June 2025 GMT
মৌলিক সংস্কারের প্রশ্নে একাত্ম হতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে আহ্বান রাখব, জনগণের মতামতকে বুঝে জনগণের প্রত্যাশার জায়গাকে বুঝে এবং বাংলাদেশে যাতে আর কখনো কোনোভাবেই কোনো স্বৈরাতান্ত্রিক শাসনকাঠামো প্রতিষ্ঠিত হতে না পারে, সে জন্য মৌলিক সংস্কারের পক্ষে তারা যেন একাত্ম হন।’
আজ রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা শেষে এ আহ্বান জানান আখতার হোসেন। সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য গঠনের লক্ষ্যে এদিন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় পর্যায়ের সপ্তম দিনের আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচ্যসূচির মধ্যে ছিল সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটি, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট, উচ্চকক্ষের নির্বাচনপ্রক্রিয়া এবং উচ্চকক্ষের দায়িত্ব ও ভূমিকা।
বিএনপি ও সমমনা কয়েকটি দলের কারণে মৌলিক সংস্কার আটকে আছে বলে অভিযোগ করেন আখতার হোসেন। তিনি বলেন, ‘মানুষের রক্তের মধ্য দিয়ে যে নতুন বাংলাদেশ অর্জিত হয়েছে, সেখানে নতুন করে কোনো একটি সরকার এসে নির্বাচন কমিশন, দুদক, পিএসসিসহ অন্যান্য সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানকে যাচ্ছেতাইভাবে ব্যবহার করতে পারবে, এসব প্রতিষ্ঠানে মর্জিমতো দলান্ধ ব্যক্তিদের নিয়োগ দেবে, ইচ্ছেমতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যাবহার করবে, বিরোধী মতকে দমন করবে, সরকারের জবাবদিহির জায়গাকে নিশ্চিত হতে দেবে না—এমন পরিস্থিতি যারা তৈরি করতে চাচ্ছে, তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের আপামর জনতার কোনো সংযোগ নেই, তাদের সঙ্গে আপামর জনতা কোনোভাবে একাত্ম হতে পারে না।’
সংস্কারের বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টি সবচেয়ে বেশি আন্তরিক বলে উল্লেখ করেন আখতার হোসেন। তিনি বলেন, ‘জনগণের বৃহত্তর অংশ এই রুমের বাইরে অপেক্ষা করছে। তারা দেখছে কোন দল মৌলিক সংস্কার চাচ্ছে অথবা চাচ্ছে না।’
ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় সংস্কার নিয়ে দর–কষাকষি হচ্ছে উল্লেখ করে আখতার হোসেন বলেন, ‘রোববারের আলোচনায়ও মৌলিক সংস্কারের বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে থাকতে হয়েছে। সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটির আলোচনায় বিএনপি ও গুটিকয় দলের বাধার কারণে ঐকমত্য গঠন করা সম্ভবপর হচ্ছে না।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আখত র হ স ন ঐকমত য আহ ব ন এক ত ম
এছাড়াও পড়ুন:
ড. ইউনূসের নেতৃত্বেই ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে: অ্যাটর্নি জেনারেল
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বেই আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে যত বাধাই আসুক জনগণ তা প্রতিহত করবে। এটাই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে নতুন সরকারের বৈধতা ও জনগণের সামাজিক চুক্তি।
বুধবার (১ অক্টোবর) সকালে ঝিনাইদহ ডায়াবেটিক সমিতি আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঝিনাইদহ ডায়াবেটিস হাসপাতাল চত্বরে এ সভার আয়োজন করা হয়।
আরো পড়ুন:
বিসিবি নির্বাচন করবেন না তামিম
দোকানের ঠিকানায় নির্বাচন পর্যবেক্ষণের ‘যোগ্য’ তালিকায় ‘ইসিয়া’
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন ঝিনাইদহ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি মো. মোয়াজ্জেম হোসেন। সঞ্চালনা করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুন্সি কামাল আজাদ পান্নু।
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, অনেকেই বর্তমান সরকারের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। আপনাদের বলতে চাই, ২০০৯ সাল থেকে লাখ লাখ মানুষ রাজনৈতিক হামলা মামলার শিকার হয়েছেন, হাজার হাজার মানুষ গুম হয়েছেন, বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন। ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারের বিদায়ে সাংবিধানিক সকল পথ যখন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, তখন দেশের ছাত্র-জনতা জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে হাসিনাকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে। ছাত্র-জনতার এই বিজয় দেশে গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথ উন্মুক্ত করেছে। এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিই বর্তমান সরকারের বৈধতা দিয়েছে। জনগণ এই সরকারকে সেই ক্ষমতা দিয়েছে।
তিনি বলেন, পৃথিবীর যত সভ্যতা আছে, সকল সভ্যতায় যেসব সরকার অতীতে গঠিত হয়েছে, তার মধ্যে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সবচেয়ে বৈধ সরকার। যারা দেশের মানুষকে জিম্মি করে রেখেছিল, তারা আগামী নির্বাচন বানচালে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।
মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ মজিদ, ঝিনাইদহ ডায়াবেটিক সমিতির সহ-সভাপতি জাহিদুজ্জামান মনা, মো. আক্তারুজ্জামান, মো. জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
ঢাকা/সোহাগ/রফিক