ইভিএম ক্রয়ে অনিয়ম: ইসির ৬ কর্মকর্তাকে দুদকে তলব
Published: 29th, June 2025 GMT
ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ক্রয়ে অনিয়মের অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের ৬ কর্মকর্তাকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধান টিমের প্রধান মো. রাকিবুল হায়াত সই করা এ সংক্রান্ত চিঠি থেকে বিষয়টি জানা গেছে।
দুদকের চিঠিতে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদাসহ অন্যান্যের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও সরকারী আর্থিক বিধি বিধান লঙ্ঘনপূর্বক সমীক্ষা ছাড়াই প্রকল্প গ্রহণপূর্বক টেন্ডার ব্যতিত বাজার মূল্যের চেয়ে ১০ গুণ বেশি দামে দেড় লাখ নিম্নমানের ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ক্রয় করে সরকারের প্রায় ৩ হাজার ১৭২ কোটি টাকা ক্ষতিসাধনের অভিযোগ রয়েছে।
আরো পড়ুন:
স্ত্রী-ছেলেসহ দুদকের মামলায় আসামি রাজশাহীর আ.
রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুদকের অভিযান
এজন্য ইসি সচিবালয়ের উপপ্রধান মো. সাইফুল হক চৌধুরী, সহকারী প্রধান মো. মাহফুজুল হক, ইসির আইডিয়া প্রকল্পের আইটি সিস্টেম কনসালটেন্ট এএইচএম আব্দুর রহিম খান, উপসচিব ফরহাদ হোসেন, সিস্টেম এনালিস্ট ফারজানা আখতার এবং ওই সময়ের সিনিয়র মেইন্টেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেনকে বক্তব্য নেওয়া প্রয়োজন।
চিঠিতে ওই ছয় কর্মকর্তাকে আগামী বুধবার (২ জুলাই) দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য প্রদান করতে বলা হয়েছে।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে তড়িঘড়ি করে ওই মেশিনগুলো কিনেছিল ইসি। যদিও সেই ভোটে সীমিত পরিসরে মেশিনগুলো ব্যবহার হয়। অর্ধেকের বেশি মেশিন নষ্ট হওয়ায় সম্প্রতি প্রকল্পটি বাতিল করেছে ইসি।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ওসিকে ‘উলঙ্গ করে’ এলাকা ছাড়া করার হুমকি, বিএনপি নেতার পদ স্থগিত
কক্সবাজারের মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনজুরুল হককে ‘উলঙ্গ করে’ এলাকা থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেওয়ার ঘটনায় সেই বিএনপি নেতার পদ স্থগিত করেছে কেন্দ্র।
বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। হুমকি দেওয়া ওই নেতার নাম আকতার হোসেন। তিনি মহেশখালী পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক ছিলেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মহেশখালী থানার ওসিকে অশোভন গালাগাল করে হুমকি এবং সংগঠনবিরোধী কার্যলাপের জন্য কক্সবাজার জেলা বিএনপির সদস্য ও মহেশখালী পৌর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আকতার হোসেনকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তার প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ স্থগিত করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
সারজিসের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার না হলে আন্দোলনের হুমকি
রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা হারালে ওয়ান ইলেভেন সৃষ্টি হতে পারে: খোকন
এর আগে, গত বুধবার এক স্মরণসভায় মনজুরুল হককে হুমকি দেন আকতার হোসেন। তিনি বলেন, ‘‘ওসির চেম্বার এক ধরনের দোকানে পরিণত হয়েছে। টাকা দিলে মামলা নেওয়া হয়, যে টাকা বেশি দেবে তার মামলা নেবে।’’
আকতার হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘‘ওসি মনজুরুল হক স্থানীয় আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ মহল ও প্রভাবশালী মহলের সঙ্গে মিলে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন।’’
এ সময় তিনি মাইকে প্রকাশ্যে বলেন, “ওসি সাহেব, ন্যাংটা করে মহেশখালী ছাড়তে বাধ্য করব।” বিএনপি নেতার এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর তার দলীয় সব পদ স্থগিত করেছে বিএনপি।
এ বিষয়ে জানতে আকতার হোসেনের মোবাইলে ব্যবহৃত নম্বরে কল দিলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বিএনপি নেতার বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি মনজুরুল হক বলেন, ‘‘ভিডিওটি এখনো দেখিনি।’’ এ সময় বিএনপি নেতার মামলা বাণিজ্য বা আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্কের অভিযোগকে ‘সত্য নয়’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
কক্সবাজার জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ইউসুফ বদরী বলেন, “সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় আকতার হোসেনের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পদ স্থগিত করা হয়েছে। রাজনীতিতে এখন অনেক পরিবর্তন এসেছে। বিএনপির কোনো নেতা অশ্লীল ও শালীনতাবর্জিত বক্তব্য দিয়ে পার পেয়ে যাবেন এমন সুযোগ আর নেই।”
ঢাকা/তারেকুর/রাজীব