অনার ৪০০ সিরিজের ফোনে প্রতিটি ছবি হবে মাস্টারপিস
Published: 30th, June 2025 GMT
বর্তমানে স্মৃতি কেবল আর সংরক্ষণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, স্মৃতিকে আরও জীবন্ত করে তুলতে ব্যবহৃত হচ্ছে নানা প্রযুক্তি। আর এ ভাবনা থেকেই স্মার্টফোন ক্যামেরার গতানুগতিক ধারণাকে বদলে দিতে অনার নিয়ে এসেছে তাদের নতুন ৪০০ সিরিজের স্মার্টফোন। এ সিরিজের শক্তিশালী ডিভাইস অনার ৪০০ ও অনার ৪০০ প্রো’র ক্যামেরা ব্যবহারকারীদের প্রতিদিনের মুহূর্তকে রূপান্তর করবে একেকটি সিনেমাটিক মাস্টেরপিসে।
যারা ছবির মাধ্যমে গল্প বলতে ভালোবাসেন, এমন সৃজনশীল মানুষদের সৃষ্টিশীলতালে প্রাধান্য দিয়েই এ সিরিজ আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছে অনার কর্তৃপক্ষ। এই নতুনত্বের মূলে রয়েছে ২০০ মেগাপিক্সেলের আলট্রা ক্লিয়ার এআই মেইন ক্যামেরা, যেটি ১/১.
অনার ৪০০ প্রোতে রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেলের ৩ গুণ টেলিফোটো ক্যামেরা ও সনি আইএমএক্স ৮৬৫ সেন্সর। এর মাধ্যমে আপনি ৫০ গুণ পর্যন্ত জুম করতে পারবেন এবং এআই সুপার জুম ক্লাউড প্রসেসিং ব্যবহার করে ছবির ফ্রেমকে আরও স্পষ্ট ও নিখুঁত করতে পারবেন। ফ্ল্যাগশিপ ম্যাজিক ৭ প্রো থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এ ফিচারটি ব্যবহার করা হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, গুগলের ভিও ২ অ্যালগরিদম ব্যবহার করে এআই ইমেজ টু ভিডিও ফিচারের মাধ্যমে যেকোনো স্থিরচিত্রকেও পাঁচ সেকেন্ডের ভিডিও ক্লিপে রূপান্তর করা যাবে, যা মোবাইল ফটোগ্রাফিতে বিশ্বে প্রথম।
এ ধরনের অসাধারণ ফিচার ব্যবহার করে আপনার শৈশবের ছবিগুলোকেও জীবন্ত করে তুলতে পারবেন স্টিমুলেটেড ক্যামেরা প্যান ড্রোন মুভমেন্ট, আবেগপূর্ণ বাস্তবতার সমন্বয়ে। আর সবচেয়ে ভাল দিক হল, আপনার খুব ভাল ভিডিও করার দক্ষতা থাকতে হবে না, এআই নিজেই ভিডিওর মধ্যকার গল্প এমপি ৪ ফরম্যাটে রুপান্তর করবে।
এছাড়া আপনি যদি আরও পারসোনালাইজেশন পছন্দ করেন, সেক্ষেত্রে আপনার জন্য রয়েছে অনারের এডিটিং স্যুইট, এআই ইরেজার ও এআই আউট পেইন্টিংয়ের মত কিছু চমৎকার ফিচার। এই টুলগুলো আপনার ছবি থেকে ডিসট্রাকশন দূর করতে, দৃশ্য সম্প্রসারিত করতে এবং কম্পোজিশন আরও সুন্দর করতে সাহায্য করবে। এআই ফেইস টিউন গ্রুপ ছবির জন্য আরেকটি আশীর্বাদ, কারণ এটি ইন্টেলিজেন্ট রেফারেন্স ম্যাচিংয়ের মাধ্যমে চোখ বন্ধ করে থাকা মুখগুলোও ঠিক করে দেবে। এমন অনেক সময়েই হয় যে, গ্রুপ ছবিতে কেউ না কেউ চোখ বন্ধ করে ফেলে, তাই বলা যায়, এই টুলটি হতে চলেছে ফটোগ্রাফির জন্য গেম চেঞ্জার।
মোশন ফটো কোলাজ, এইচডি মুভিং ফটো ও এআই পোর্ট্রেইট স্ন্যাপের মত দারুণ সব ফিচার আপনার ফটোগ্রাফিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিবে। মোশন ফটো কোলাজে একত্রে ২ থেকে ৯টি দিয়ে বানানো যাবে চলমান গল্প। আর এইচডি মুভিং ফটো সংরক্ষণ করবে আপনার স্বর্ণালি মুহূর্তগুলোর তিন সেকেন্ড এবং এআই পোর্ট্রেইট স্ন্যাপ বোকেহ অ্যালগরিদম ব্যবহার করে দ্রুতগতির মুহূর্তলোকেও ফ্রেমে বন্দি করবে একেবারে প্রান্ত থেকে প্রান্ত পর্যন্ত স্পষ্টতার সাথে।
অনার ৪০০ সিরিজ শুধু ছবি তোলা ও এডিটিং শুধু দুর্দান্ত নয় পাশাপাশি এতে রয়েছে স্ন্যাপড্রাগন ৭ জেন থ্রি মোবাইল প্ল্যাটফর্ম, যা মাল্টিটাস্কিং ও গেমিংয়ের ক্ষেত্রে নতুন গতি আনবে। আর সিপিইউ টারবো এক্স গেম ইঞ্জিন এই অভিজ্ঞতাকে আরও করবে উপভোগ্য। ৬ হাজার মেগাহার্টজ সিলিকন-কার্বন ব্যাটারিটি ৮০ ওয়াট সুপার চার্জার মাত্র ১৫ মিনিটে ৪০ শতাংশ এবং ৫৪ মিনিটে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত ফোন চার্জ করে ফেলে। উল্লেখ্য , ডিভাইসটি ম্যাজিক অ্যান্ড্যতেড ৯.০ সফটওয়্যারের মাধ্যমে চলে।
অনার ৪০০ সিরিজের ডিভাইসের মাধ্যমে আপনি সহজেই সূর্যাস্তের দৃশ্য আপনার ফোনে ধরে রাখতে পারবেন আবার পুরোনো পারিবারিক ছবিকে জীবন্ত গল্পে রূপ দিতে পারবেন। অনার ৪০০ পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৫৯ হাজার ৯৯৯ টাকা এবং অনার প্রো মিলবে ৭৯ হাজার ৯৯৯ টাকায়, তাই দেরি না করে এখনই সংগ্রহ করুন আপনার স্বাচ্ছন্দ্যে গল্প বলার সঙ্গীকে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর ৪০০ স র জ প রব ন আপন র
এছাড়াও পড়ুন:
রুনা লায়লার জন্মদিন: সংগীতজীবনের বর্ণময় ৬ দশকের উদ্যাপন
উপমহাদেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা। সোমবার (১৭ নভেম্বর) ৭৩ বছর পূর্ণ করলেন। একইসঙ্গে পূর্ণ করলেন তার গৌরবময় সংগীত-জীবনের ৬০ বছর। উপমহাদেশের তিন দেশ—বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে সমানতালে গান গেয়ে কোটি মানুষের হৃদয় জয় করেছেন রুনা লায়লা। ১৮টি ভাষায় তার গাওয়া গানের সংখ্যা ১০ হাজারেরও বেশি। ফলে তিনি যে উপমহাদেশের শীর্ষ সংগীতশিল্পীদের একজন—এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।
বাংলাদেশের বাংলা গানকে বিশ্বদরবারে পৌঁছে দেওয়ার পেছনে তার অবদান অনন্য। দেশ-বিদেশ থেকে প্রাপ্ত অগণিত স্বীকৃতির মাঝে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ তার অর্জনকে আরো মহিমান্বিত করেছে।
আরো পড়ুন:
কনসার্টে গায়ক একনের পরনের প্যান্ট নিয়ে টানাটানি
চতুর্থ সন্তানের মা হলেন কার্ডি বি
ভক্তদের কাছে রুনা লায়লার এবারের জন্মদিনটি বিশেষ। কোক স্টুডিও বাংলার তৃতীয় মৌসুমের শেষ গানটি প্রকাশ পেয়েছে তার গাওয়া জনপ্রিয় সুফি কাওয়ালি ‘দামা দম মাস্ত কালান্দার’ দিয়ে—যে গানটি বহু বছর আগে তাকে আন্তর্জাতিক পরিচিতি এনে দিয়েছিল।
তবে জন্মদিন নিয়ে শিল্পীর বিশেষ কোনো পরিকল্পনা নেই। তিনি জানান, পরিবারকে সময় দিয়েই কাটাবেন দিনটি। ঘরোয়া পরিবেশেই উদ্যাপিত হবে জন্মদিন।
১৯৫২ সালের ১৭ নভেম্বর সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন রুনা লায়লা। সংগীতজীবনের শুরু ষাটের দশকের শেষ দিকে পাকিস্তানের চলচ্চিত্র শিল্পে। শিল্পী আহমেদ রুশদির গায়কিতে অনুপ্রাণিত হয়ে সংগীতাঙ্গনে পথচলা শুরু করা এই কণ্ঠশিল্পী দ্রুতই উর্দুভাষী শ্রোতাদের মন জয় করে নেন। ‘উনকি নজরোঁ সে মোহাব্বত কা জো পয়গাম মিলা’—এর মতো গান তাকে এনে দেয় ব্যাপক জনপ্রিয়তা।
এরপর ভারতেও ছড়িয়ে পড়ে তার কণ্ঠের জাদু। ‘ও মেরা বাবু ছৈল ছাবিলা’ তাকে পরিচিত করে তোলে সাদাকালো যুগেই। পরে সংগীত পরিচালক বাপ্পি লাহিড়ীর সঙ্গে ‘ডিস্কো দিওয়ানে’ (১৯৮২) অ্যালবাম তাকে বিশ্বব্যাপী নতুন আরেক পরিচিতির শিখরে পৌঁছে দেয়।
যদিও তিন দেশে সাফল্য পেয়েছেন, রুনা লায়লার সংগীতজীবনের মূল ভিত্তি ছিল বাংলাদেশ। ‘দ্য রেইন’ (১৯৭৬), ‘জাদুর বাঁশি’ (১৯৭৭), ‘অ্যাক্সিডেন্ট’ (১৯৮৯), ‘অন্তরে অন্তরে’ (১৯৯৪)—সহ মোট সাতবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ গায়িকা নির্বাচিত হয়েছেন। ‘সাধের লাউ বানাইলা মোরে বৈরাগী’, ‘বন্ধু তিনদিন তোর বাড়িতে গেলাম’—এর মতো বাংলা লোকগান তার কণ্ঠে নতুন প্রাণ পেয়েছে।
দীর্ঘ ও সফল এই যাত্রায় মায়ের অবদান সবচেয়ে বেশি—এ কথা প্রায়ই উল্লেখ করেন রুনা লায়লা। তিনি বলেন, “মা আমাকে প্রচণ্ড সহযোগিতা করেছেন। ছোটবেলায় গান গাইতে গেলে মা সবসময় সঙ্গে যেতেন।”
ঢাকা/রাহাত/শান্ত