অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষা নিতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য মেন্টরস স্টাডি অ্যাব্রোড আয়োজন করতে যাচ্ছে ‘স্টাডি ইন অস্ট্রেলিয়া এক্সপো’। আগামীকাল মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর গুলশান–২–এর লেকশোর হোটেলে এই এক্সপো শুরু হবে।

এক্সপোয় অংশ নিচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়। এতে উপস্থিত থাকবেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা। আগ্রহী শিক্ষার্থীদের ভর্তির যোগ্যতা, আবেদনের প্রক্রিয়া ও স্কলারশিপ–সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সরবরাহ করবেন তাঁরা।

শিক্ষার্থীরা চাইলে নিজেদের একাডেমিক ও প্রফেশনাল প্রোফাইল যাচাই করে নিতে পারবেন, যা ভর্তির প্রক্রিয়ায় সহায়ক হবে। পাশাপাশি মেন্টরস স্টাডি অ্যাব্রোডের অভিজ্ঞ কাউন্সেলররা প্রার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বাছাই, আবেদনপত্র পূরণসহ প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেবেন।

এক্সপোয় শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই নয়, অস্ট্রেলিয়ায় শিক্ষার্থী হিসেবে অবস্থান, ভিসাপ্রক্রিয়া ও জীবনযাত্রা সম্পর্কেও জানার সুযোগ থাকছে। আগামীকাল সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হয়ে এক্সপো চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।

এই আয়োজন শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার পরিকল্পনাকে আরও সহজ ও ফলপ্রসূ করবে বলে মনে করছেন আয়োজকেরা।

আগ্রহী শিক্ষার্থীরা নিচের লিংকে গিয়ে নিবন্ধন করতে পারবেন:

https://tinyurl.

com/yeykwymn

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রুনা লায়লার জন্মদিন: সংগীতজীবনের বর্ণময় ৬ দশকের উদ্‌যাপন

উপমহাদেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা। সোমবার (১৭ নভেম্বর) ৭৩ বছর পূর্ণ করলেন। একইসঙ্গে পূর্ণ করলেন তার গৌরবময় সংগীত-জীবনের ৬০ বছর। উপমহাদেশের তিন দেশ—বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে সমানতালে গান গেয়ে কোটি মানুষের হৃদয় জয় করেছেন রুনা লায়লা। ১৮টি ভাষায় তার গাওয়া গানের সংখ্যা ১০ হাজারেরও বেশি। ফলে তিনি যে উপমহাদেশের শীর্ষ সংগীতশিল্পীদের একজন—এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।

বাংলাদেশের বাংলা গানকে বিশ্বদরবারে পৌঁছে দেওয়ার পেছনে তার অবদান অনন্য। দেশ-বিদেশ থেকে প্রাপ্ত অগণিত স্বীকৃতির মাঝে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ তার অর্জনকে আরো মহিমান্বিত করেছে।

আরো পড়ুন:

কনসার্টে গায়ক একনের পরনের প্যান্ট নিয়ে টানাটানি

চতুর্থ সন্তানের মা হলেন কার্ডি বি

ভক্তদের কাছে রুনা লায়লার এবারের জন্মদিনটি বিশেষ। কোক স্টুডিও বাংলার তৃতীয় মৌসুমের শেষ গানটি প্রকাশ পেয়েছে তার গাওয়া জনপ্রিয় সুফি কাওয়ালি ‘দামা দম মাস্ত কালান্দার’ দিয়ে—যে গানটি বহু বছর আগে তাকে আন্তর্জাতিক পরিচিতি এনে দিয়েছিল।

তবে জন্মদিন নিয়ে শিল্পীর বিশেষ কোনো পরিকল্পনা নেই। তিনি জানান, পরিবারকে সময় দিয়েই কাটাবেন দিনটি। ঘরোয়া পরিবেশেই উদ্‌যাপিত হবে জন্মদিন।

১৯৫২ সালের ১৭ নভেম্বর সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন রুনা লায়লা। সংগীতজীবনের শুরু ষাটের দশকের শেষ দিকে পাকিস্তানের চলচ্চিত্র শিল্পে। শিল্পী আহমেদ রুশদির গায়কিতে অনুপ্রাণিত হয়ে সংগীতাঙ্গনে পথচলা শুরু করা এই কণ্ঠশিল্পী দ্রুতই উর্দুভাষী শ্রোতাদের মন জয় করে নেন। ‘উনকি নজরোঁ সে মোহাব্বত কা জো পয়গাম মিলা’—এর মতো গান তাকে এনে দেয় ব্যাপক জনপ্রিয়তা।

এরপর ভারতেও ছড়িয়ে পড়ে তার কণ্ঠের জাদু। ‘ও মেরা বাবু ছৈল ছাবিলা’ তাকে পরিচিত করে তোলে সাদাকালো যুগেই। পরে সংগীত পরিচালক বাপ্পি লাহিড়ীর সঙ্গে ‘ডিস্কো দিওয়ানে’ (১৯৮২) অ্যালবাম তাকে বিশ্বব্যাপী নতুন আরেক পরিচিতির শিখরে পৌঁছে দেয়। 

যদিও তিন দেশে সাফল্য পেয়েছেন, রুনা লায়লার সংগীতজীবনের মূল ভিত্তি ছিল বাংলাদেশ। ‘দ্য রেইন’ (১৯৭৬), ‘জাদুর বাঁশি’ (১৯৭৭), ‘অ্যাক্সিডেন্ট’ (১৯৮৯), ‘অন্তরে অন্তরে’ (১৯৯৪)—সহ মোট সাতবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ গায়িকা নির্বাচিত হয়েছেন। ‘সাধের লাউ বানাইলা মোরে বৈরাগী’, ‘বন্ধু তিনদিন তোর বাড়িতে গেলাম’—এর মতো বাংলা লোকগান তার কণ্ঠে নতুন প্রাণ পেয়েছে। 

দীর্ঘ ও সফল এই যাত্রায় মায়ের অবদান সবচেয়ে বেশি—এ কথা প্রায়ই উল্লেখ করেন রুনা লায়লা। তিনি বলেন, “মা আমাকে প্রচণ্ড সহযোগিতা করেছেন। ছোটবেলায় গান গাইতে গেলে মা সবসময় সঙ্গে যেতেন।”

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ