Samakal:
2025-08-16@10:24:53 GMT

সঞ্চয়পত্রে কমল মুনাফার হার 

Published: 30th, June 2025 GMT

সঞ্চয়পত্রে কমল মুনাফার হার 

আগামী ছয় মাসের জন্য সব ধরনের সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার কমিয়েছে সরকার। সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এক জানুয়ারি সঞ্চয়পত্রের সুদহার ৫ বছর এবং ২ বছর মেয়াদি ট্রেজারি বন্ডের গড় সুদের হার (সর্বশেষ ৬ মাসের নিলামের ভিত্তিতে) নির্ধারণ কার্যকর করা হয়। বর্তমানে এ দুই ক্ষেত্রে সুদহার কমায় পরবর্তী ছয় মাসের জন্য সঞ্চয়পত্রেও মুনাফা হার কমানো হয়েছে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। এটি ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে। 

নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে সাড়ে সাত লাখ টাকা বা এর কম বিনিয়োগকারীদের মুনাফার হার নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ দশমিক ৮৩ শতাংশ; এতদিন যা ছিল ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ। এর বেশি অংকের বিনিয়োগকারীদের মুনাফা দাঁড়াবে ১১ দশমিক ৮৩ শতাংশ; আগে যা ছিল ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এক্ষেত্রে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতর্থ বছর শেষে মুনাফা যথাক্রমে আরও কম পাওয়া যাবে। 

তিন বছর মেয়াদি তিন মাস অন্তর মুনাফা সঞ্চয়পত্রে সাড়ে সাত লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে মুনাফার হার নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ দশমিক ৮২ শতাংশ; আগে যা ছিল ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ। আর সাড়ে সাত লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মুনাফা হবে ১১ দশমিক ৭৭ শতাংশ; এতদিন যা ছিল ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ। এক্ষেত্রেও প্রথম ও দ্বিতীয় বছর শেষে মুনাফা যথাক্রমে আরও কম পাওয়া যাবে।

পাঁচ বছর মেয়াদি পেনশনার সঞ্চয়পত্রে সাড়ে সাত লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ মুনাফার হার পাওয়া যাবে ১১ দশমিক ৯৮ শতাংশ; আগে যা ছিল ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ। আর সাড়ে সাত লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মুনাফা হবে ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ; আগে যা ছিল ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ বছর শেষে মুনাফা যথাক্রমে আরও কম পাওয়া যাবে।

পাঁচ বছর মেয়াদি পরিবার সঞ্চয়পত্রে সাড়ে সাত লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ মুনাফা হার পাওয়া যাবে ১১ দশমিক ৯৩ শতাংশ; আগে যা ছিল ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ। এর বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মুনাফা হবে হবে ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ; আগে যা ছিল ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ বছর শেষে মুনাফা যথাক্রমে আরও কম পাওয়া যাবে।

এ ছাড়া তিন বছর মেয়াদি ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক মেয়াদি হিসাবে সাড়ে সাত লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ মুনাফা পাওয়া যাবে ১১ দশমিক ৮২ শতাংশ; যা এতদিন ছিল ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ। এর বেশি বিনিয়োগে মুনাফা হবে ১১ দশমিক ৭৭ শতাংশ; আগে যা ছিল ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ছ ল ১২ দশম ক বছর ম য় দ ১১ দশম ক বছর শ ষ প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের ৪২ ধরনের আয় করমুক্ত, সেগুলো কী

সরকারি কর্মকর্তাদের আয়কর রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক। তাঁদের অনেক আয়ের ওপর কর দিতে হয়, আবার কিছু আয়ের ক্ষেত্রে কর দিতে হয় না।

বর্তমানে দেশে প্রায় ১৫ লাখ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। তাঁদের একটি অংশ এখনো করজালের বাইরে থাকলেও আয়কর আইন অনুযায়ী নির্দিষ্ট আয়ের ওপর কর দেওয়া আইনিভাবে বাধ্যতামূলক।

করযোগ্য আয়

সরকারি বেতন আদেশভুক্ত একজন কর্মচারীর মূল বেতন, উৎসব ভাতা ও বোনাস করযোগ্য আয় হিসেবে ধরা হবে। এসব আয়ের ওপর নির্ধারিত হারে আয়কর দিতে হবে।

করমুক্ত আয়

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ২০২৫-২৬ অর্থবছরের আয়কর নির্দেশিকায় ৪২ ধরনের ভাতা ও সুবিধাকে করমুক্ত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে চিকিৎসা ভাতা, নববর্ষ ভাতা, বাড়িভাড়া ভাতা, শ্রান্তি ও বিনোদন ভাতা, শিক্ষাসহায়ক ভাতা, কার্যভার ভাতা, পাহাড়ি ভাতা, ভ্রমণ ভাতা, যাতায়াত ভাতা, টিফিন ভাতা, পোশাক ভাতা, আপ্যায়ন ভাতা, ধোলাই ভাতা, বিশেষ ভাতা, প্রেষণ ভাতা, প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে প্রেষণ ভাতা, জুডিশিয়াল ভাতা, চৌকি ভাতা, ডোমেস্টিক এইড অ্যালাউয়েন্স, ঝুঁকি ভাতা, অ্যাকটিং অ্যালাউয়েন্স, মোটরসাইকেল ভাতা, আর্মরার অ্যালাউয়েন্স, নিঃশর্ত যাতায়াত ভাতা, টেলিকম অ্যালাউয়েন্স, ক্লিনার অ্যালাউয়েন্স, ড্রাইভার অ্যালাউয়েন্স, মাউন্টেড পুলিশ অ্যালাউয়েন্স, পিবিএক্স অ্যালাউয়েন্স, সশস্ত্র শাখা ভাতা, বিউগলার অ্যালাউয়েন্স, নার্সিং অ্যালাউয়েন্স, দৈনিক বা খোরাকি ভাতা, ট্রাফিক অ্যালাউয়েন্স, রেশন মানি, সীমান্ত ভাতা, ব্যাটম্যান ভাতা, ইন্সট্রাকশনাল অ্যালাউয়েন্স, নিযুক্তি ভাতা, আউটফিট ভাতা ও গার্ড পুলিশ ভাতা। এ ছাড়া অবসরকালে প্রদত্ত লাম্প গ্রান্টও করমুক্ত থাকবে।

রিটার্ন দেওয়ার প্রস্তুতির ছয় পরামর্শ

রিটার্ন জমা দেওয়ার আগে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কিছু প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি—

১. নথি আগে জোগাড় করুন

জাতীয় পরিচয়পত্র, চাকরির আইডি, গত বছরের রিটার্ন, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, বিনিয়োগ ও সঞ্চয়ের নথি গুছিয়ে রাখুন।

২. আয়ের উৎস স্পষ্ট করুন

মূল বেতন ছাড়াও ভাতা, চিকিৎসা খরচ, বাসাভাড়া, ভ্রমণ ভাতা ও অতিরিক্ত আয়ের তথ্য লিখুন।

৩. করমুক্ত ও করযোগ্য অংশ আলাদা করুন

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী করমুক্ত ও করযোগ্য আয়ের হিসাব মিলিয়ে নিন।

৪. করছাড়ের সুযোগ নিন

জীবনবিমা, সঞ্চয়পত্র, শেয়ারবাজার বিনিয়োগ, শিক্ষা ব্যয় ইত্যাদির করছাড় গ্রহণ করুন।

৫. ভুল এড়িয়ে চলুন

বানান, অ্যাকাউন্ট নম্বর বা স্লিপ নম্বরের ভুল এড়ান। সব কাগজের কপি সংরক্ষণ করুন।

৬. সময়ের আগে জমা দিন

শেষ মুহূর্তের ঝামেলা এড়াতে সময়সীমার অন্তত ১০-১৫ দিন আগে রিটার্ন জমা দিন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের ৪২ ধরনের আয় করমুক্ত, সেগুলো কী