বেসরকারি খাতের আরও ১১টি ব্যাংকের সম্পদের গুণগত মান যাচাইয়ের (একিউআর) সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ, মূলধন ঘাটতি, বন্ধকি সম্পদসহ বিভিন্ন সূচকের প্রকৃত অবস্থা পর্যালোচনা এ উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য। এর আগে এডিবির সহায়তায় ৬টি ব্যাংকের একিউআর হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কোনো ব্যাংকের সম্পদের গুণগত মান যাচাই মানেই একীভূতকরণের আওতায় আনা হবে, তা নয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান সমকালকে বলেন, নতুন করে কয়েকটি ব্যাংকের সম্পদের গুণগত মান যাচাই করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সম্পদের গুণগত মান যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার তালিকায় রয়েছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, আল-আরাফাহ ইসলামী, ন্যাশনাল, বাংলাদেশ কমার্স, ইউসিবি, আইএফআইসি, এবি, প্রিমিয়ার, এনআরবি কমার্শিয়াল, এনআরবি ও মেঘনা ব্যাংক। এর আগে একিউআর সম্পন্ন হওয়া ব্যাংকগুলোর মধ্যে আন্তর্জাতিক অডিট ফার্ম আর্নেস্ট অ্যান্ড ইয়াং সম্পদ মূল্যায়ন করেছে এক্সিম, সোস্যাল ইসলামী ও আইসিবি
ইসলামিক ব্যাংকের। আরেক আন্তর্জাতিক ফার্ম কেপিএমজি মূল্যায়ন করেছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, গ্লোবাল ইসলামী ও ইউনিয়ন ব্যাংকের। তাদের মধ্যে আইসিবি ইসলামিক বাদে বাকি ৫টি মিলে একটি ব্যাংক করার উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। 
জানা গেছে, সম্পদের মান পর্যালোচনা করার পর প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেবে। কোনো ব্যাংকের পরিস্থিতি যদি একীভূতকরণ, অবসায়ন বা অধিগ্রহণ করার মতো হয়, তাহলে ব্যাংক নিষ্পত্তি অধ্যাদেশের আলোকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো ব্যাংকের নিজ থেকেই মূলধন ঘাটতি মেটানোসহ সার্বিক সূচকে উন্নতি করার পরিস্থিতি থাকলে বাংলাদেশ ব্যাংক বিবেচনায় নেবে। দুর্বল ব্যাংক নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে যাতে কোনো আইনি বাধা তৈরি না হয়, সে জন্য গত মে মাসে ‘ব্যাংক রেজল্যুশন অধ্যাদেশ-২০২৫’ জারি করে সরকার।
জানা গেছে, একীভূতকরণের উদ্যোগের আওতায় থাকা পাঁচটি ইসলামী ব্যাংককে আলাদাভাবে শিগগিরই একটি নোটিশ দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। নোটিশে তাদের কেন একীভূত করা হবে না জানতে চাওয়া হবে। কোনো ব্যাংক যদি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নেওয়া বিশেষ ধার ফেরত, মূলধন ঘাটতি মেটানো, বিধিবদ্ধ জমা সংরক্ষণসহ সন্তোষজনক জবাব দিতে পারে, তাহলে সেই ব্যাংক একীভূত করা হবে না।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এক ভ ত ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইনস্যুরেন্সের বার্ষিক সভা

এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইনস্যুরেন্সের চতুর্থ বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) সম্প্রতি ঢাকায় কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোম্পানির চেয়ারম্যান কিবরিয়া গোলাম মোহামাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় বক্তব্য দেন মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহ্ জামাল হাওলাদার। সভায় কোম্পানির শেয়ারহোল্ডাররা সরাসরি ও ভার্চ্যুয়ালি অংশ নেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইনস্যুরেন্স এ তথ্য জানিয়েছে।

মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহ্ জামাল হাওলাদার সভায় কোম্পানির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।

সভায় কোম্পানির ব্যবসা ও সার্বিক সাফল্যের জন্য শেয়ারহোল্ডাররা সন্তোষ প্রকাশ করেন। তাঁরা কোম্পানির বিপণন ও ব্যবস্থাপনা দলকে ধন্যবাদ জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সভায় কোম্পানির ২০২৪ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন ও অনুমোদন করা হয়। কোম্পানির বর্তমান পরিচালকদের এক-তৃতীয়াংশ অবসর গ্রহণ করেন এবং পুনর্নির্বাচিত হন। এ ছাড়া সভায় ২০২৫ সালের জন্য কোম্পানির নিরীক্ষক নিয়োগ করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ব্যাংক একীভূত করার উদ্যোগ আদৌ ফল দেবে কি
  • এনআরবি ব্যাংকের ২টি নতুন পণ্য চালু
  • এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইনস্যুরেন্সের বার্ষিক সভা