কু‌ষ্টিয়ার মিরপু‌রে পূর্বশত্রুতার জের ধরে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) কর্মী জ‌মির উদ্দিন‌কে প্রকাশ্যে পি‌টি‌য়ে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতাসহ তিনজন‌কে আটক করা হ‌য়ে‌ছে। 

মঙ্গলবার (১ জুলাই) ভোরে মিরপু‌র উপ‌জেলার আমবা‌ড়িয়া ইউনিয়‌নের আমবা‌ড়িয়া গ্রা‌মে অভিযান চা‌লি‌য়ে সা‌বেক ইউপি চেয়ারম‌্যা‌নের বা‌ড়ি থে‌কে তাদেরকে আটক করে পু‌লিশ। 

আটক ব্যক্তিরা হলেন— মিরপুর উপ‌জেলার আমলা ইউনিয়‌নের মিটন গ্রা‌মের সোনারুল খা‌নের ছে‌লে অনিক খান (২৪), একই গ্রা‌মের মৃত ফারুক হো‌সে‌নের ছে‌লে নাঈম (২৩) এবং নিমাই চাঁদের ছে‌লে নাঈম (২৩)। তাদের ম‌ধ্যে অনিক আমলা ইউনিয়ন ছাত্রদ‌লের সভাপ‌তি।  

গতকাল সোমবার দুপু‌রে আমলা ইউনিয়নের মিটন এলাকার ঈদগাহর সামনে অনিক কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে জমির উদ্দিনের ওপর হামলা চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় জমিরকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখা‌নে তার মৃত‌্যু হয়। 

নিহ‌তের স্ত্রী জোৎস্না খাতু‌নের অভিযোগ, প্রায় দেড় বছর আগে কোনো এক ঘটনায় চা‌য়ের দো‌কা‌নে অনিককে থাপ্পড় মে‌রে‌ছিলেন জমির। এর প্রতি‌শোধ নি‌তেই তা‌কে হত‌্যা ক‌রা হ‌য়ে‌ছে। 

মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোমিনুল ইসলাম  জানিয়েছেন,‌ জমির উদ্দিনকে হত্যার ঘটনায় আমবা‌ড়িয়া গ্রাম থে‌কে তিনজন‌কে আটক করা হ‌য়ে‌ছে। এ ঘটনায় মামলা দা‌য়ে‌রের প্রস্তু‌তি চল‌ছে। 

ঢাকা/কাঞ্চন/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ঘটন য় ইউন য়

এছাড়াও পড়ুন:

নিজ দলের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, বিএনপি নেতাকে শোকজ

টঙ্গীর স্যাটার্ন গার্মেন্টস লিমিটেডের ঝুট ব্যবসা নিয়ে বিএনপি ও যুবদল নেতাকর্মীর সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা করেন ৫০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী হুমায়ুন কবির। এ মামলা করায় বাদীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপি।

টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মিজানুর রহমান বেপারি স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গত সোমবার রাতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে। এতে আওয়ামী লীগের দোসরদের সঙ্গে নিয়ে ঝুট ব্যবসা করা ও নিজ দলীয় নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা করার কারণে তাঁর বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে।

এজাহার থেকে জানা গেছে, হুমায়ুন কবির ঝুট আনতে গেলে বেশ কয়েকজন পোশাক কারখানায় ঢুকে তাঁকে মারধর করে। এ সময় তারা ১০-১২টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক তৈরি করে। মামলায় শনাক্ত ২৮ জনের মধ্যে অধিকাংশ আসামি বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী। আসামিরা গাজীপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব হালিম মোল্লার অনুসারী।

এর আগে ২৩ মে একই প্রতিষ্ঠানের ঝুট নিয়ে এই দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে দুই পুলিশ সদস্যসহ আটজন আহত হন। ওই ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা হলে দু’জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই কারখানার ঝুট ব্যবসা নিয়ে এখন পর্যন্ত তিনটি মামলা হয়েছে।

দলের পক্ষ থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশের বিষয়ে অভিযুক্ত কাজী হুমায়ুন কবির বলেন, ‘স্যাটার্ন গার্মেন্টসের সঙ্গে চুক্তিপত্র করে ঝুট ব্যবসা করি। ঝুট আনতে গেলে তারা আমার লোকজনের ওপর হামলা করে। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা করি। ওই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে আমাকে শোকজ করা হয়েছে।’ 

সম্পর্কিত নিবন্ধ