সঞ্চয়পত্রের নতুন মুনাফার হার আজ থেকে কার্যকর
Published: 1st, July 2025 GMT
জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের আওতায় পরিচালিত পাঁচটি সঞ্চয় কর্মসূচির মুনাফার হার কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি)। স্কিমের ধরন অনুযায়ী নতুন মুনাফার হার সর্বোচ্চ ১১ দশমিক ৮২ শতাংশ থেকে ১১ দশমিক ৯৮ শতাংশ পর্যন্ত করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১ জুলাই) থেকে এই মুনাফার হার কার্যকর হবে।
এর আগে গত ১ জানুয়ারি সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার নির্ধারণ করা হয়। সে সময় স্কিমের ধরন অনুযায়ী মুনাফার হার সর্বোচ্চ নির্ধারণ করা হয় ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ পর্যন্ত।
রাষ্ট্রপতির আদেশে সোমবার (৩০ জুন) সঞ্চয়পত্রের নতুন হার নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে সই করেছেন সহকারী সচিব মো.
মুনাফার হার কমানো পাঁচ স্কিমের মধ্যে রয়েছে- পরিবার সঞ্চয়পত্র, পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র, পেনশনার সঞ্চয়পত্র এবং পোস্ট অফিস ফিক্সড ডিপোজিট বা ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক মেয়াদী হিসাব।
আগের মতো সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগকারীদের দুটি ধাপ রাখা হয়েছে। প্রথম ধাপ ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার নিচের বিনিয়োগকারী। দ্বিতীয় ধাপটি হলো ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার ওপরের বিনিয়োগকারী।
জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের আওতায় ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড, ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড, ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড এবং ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক সাধারণ হিসাব এই চারটি স্কিমের মুনাফার হার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
পাঁচ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র
নতুন হার অনুযায়ী, প্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা ৫ বছর বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ২১ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১০ দশমিক ৭২ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ২৬ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১১ দশমিক ৮৩ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।
৩০ জুন পর্যন্ত প্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা পাঁচ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ১৩ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ৬৪ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ১৯ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৭৮ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ হারে মুনাফা পান।
অপরদিকে দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা পাঁচ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ১৯ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ২৩ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।
৩০ জুন পর্যন্ত দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা ৫ বছর বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ১১ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ৬২ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ১৭ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ হারে মুনাফা পান।
৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র
প্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা ৩ মাস অন্তর মুনাফা সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ৬৫ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১১ দশমিক ২২ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ৮২ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন। ৩০ জুন পর্যন্ত প্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১১ দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ হারে মুনাফা পান।
অপরদিকে দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা ৩ মাস অন্তর মুনাফা সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ৬০ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১১ দশমিক ১৬ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ৭৭ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন। ৩০ জুন পর্যন্ত দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১১ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১১ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ হারে মুনাফা পান।
পেনশনার সঞ্চয়পত্র
প্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা পেনশনার সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ৩২ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১১ দশমিক ৯৮ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।
৩০ জুন পর্যন্ত প্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ২৩ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ৭৫ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ৩১ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৯১ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ হারে মুনাফা পান।
অপরদিকে দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা পেনশনার সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ১৯ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১১ দশমিক ৯৮ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।
৩০ জুন পর্যন্ত দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ১১ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ৬২ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ১৭ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ হারে মুনাফা পান।
পরিবার সঞ্চয়পত্র
প্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা পরিবার সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ২৯ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১০ দশমিক ৮০ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১১ দশমিক ৯৩ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।
৩০ জুন পর্যন্ত প্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ২০ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ৭২ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৮৭ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে মুনাফা পান।
অপরদিকে দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা পেনশনার সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ১৯ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ২৩ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।
৩০ জুন পর্যন্ত দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ১১ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ৬২ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ১৭ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ হারে মুনাফা পান।
ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক মেয়াদী হিসাব
প্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক মেয়াদী হিসাবে মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ৬৫ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১১ দশমিক ২২ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ৮২ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন। ৩০ জুন পর্যন্ত প্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১১ দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ হারে মুনাফা পান।
অপরদিকে দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্রে মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ৬০ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১১ দশমিক ১৬ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ৭৭ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন। ৩০ জুন পর্যন্ত দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১১ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১১ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ হারে মুনাফা পান।
ঢাকা/হাসনাত//
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চ বছর ম য় দ দ ব ত য় বছর প রথম বছর ত ত য় বছর ১১ দশম ক ১২ দশম ক ১০ দশম ক ৯ দশম ক অপরদ ক
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারের ব্যাংক ঋণ লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে
সদ্য বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে নিট ৭৮ হাজার ৪৮৩ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে সরকার। সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় যা ২০ হাজার ৫১৭ কোটি টাকা কম। অবশ্য অর্থবছরের শুরুর তুলনায় শেষ দিকে ঋণ নেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। মূলত সঞ্চয়পত্রে সরকারের ঋণ কমা এবং রাজস্ব আদায়ে গতি না থাকায় এমন হয়েছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৯ জুন পর্যন্ত ব্যাংক ব্যবস্থায় সরকারের ঋণ স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৫২ হাজার ৯৭৩ কোটি টাকা। গত বছরের জুন পর্যন্ত ঋণ ছিল ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। সামগ্রিকভাবে সরকারের ঋণ লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে থাকলেও বাণিজ্যিক ব্যাংকে অনেক বেড়েছে। গত ২৯ জুন পর্যন্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকে ঋণ স্থিতি ১ লাখ ২৯ হাজার ৬৬৪ কোটি টাকা বেড়ে ৪ লাখ ৪৮ হাজার ১০৫ কোটি টাকায় ঠেকেছে। একই সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে আগের দায় পরিশোধ হয়েছে ৫১ হাজার ১৮১ কোটি টাকা। এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সরকারের ঋণ স্থিতি কমে ১ লাখ ৪ হাজার ৪৬৮ কোটি টাকায় নেমেছে। এর মানে এ পর্যন্ত ব্যাংক ব্যবস্থায় সরকারের নিট ঋণ বেড়েছে ৭৮ হাজার ৪৮৩ কোটি টাকা।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল বাজেটে ব্যাংক ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে ৯৯ হাজার কোটি টাকায় নামানো হয়। অবশ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর ঘোষণা দেন ঋণ ৯০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে রাখা হবে। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছর ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ১ লাখ ৪ হাজার কোটি ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে সরকার। ব্যাংকের বাইরে সঞ্চয়পত্র থেকে সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে। সদ্য শেষ হওয়া অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে সঞ্চয়পত্র থেকে ১৪ হাজার কোটি টাকা ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়। তবে গত এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে উল্টো ঋণ কমেছে ৭ হাজার ৪৩১ কোটি টাকা। প্রতি বছরের বাজেটে সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণের একটি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও গত তিন অর্থবছর ধরে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকার ঋণ উল্টো কমছে।
ব্যাংক ও সঞ্চয়পত্রের বাইরেও সরকার বিভিন্ন উৎস থেকে ঋণ নিয়ে থাকে। ব্যাংক ব্যবস্থার বাইরে থেকে সরকার আরও ৪৬ হাজার ৬০৭ কোটি টাকা নিয়েছে সরকার। সব মিলিয়ে অভ্যন্তরীণ উৎসে সরকারের নিট ঋণ বেড়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার ৯১ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, মূল্যস্ফীতি কমাতে বাজারে মুদ্রা সরবরাহ কমানোসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ২০২৪-২৫ অর্থবছর মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশ এবং চলতি অর্থবছর সাড়ে ৬ শতাংশে নামানোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। মূলত এ কারণেই বাণিজ্যিক ব্যাংক ও অন্য বিভিন্ন উৎস থেকে ঋণ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে পরিশোধ করা হচ্ছে। অবশ্য এ সময়ে কয়েকটি দুর্বল ব্যাংকে বিপুল অঙ্কের ধার দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।