বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদারের বিষয়ে আলোচনার জন্য তুরস্কের প্রতিরক্ষাশিল্প সংস্থার (এসএসবি) প্রধান অধ্যাপক হালুক গরগুন আগামী ৮ জুলাই ঢাকায় আসছেন।

এক দিনের সফরে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। পাশাপাশি তিনি সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান এবং বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খানের সঙ্গেও বৈঠক করবেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এসব বৈঠকে দু’দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানো, প্রশিক্ষণ, গবেষণা, সমরাস্ত্র কেনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমল থেকে ঢাকার সঙ্গে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক বাড়ছে তুরস্কের। প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রে বৈচিত্র আনা ও একক নির্ভরতা কমাতে বাংলাদেশ তুরস্কসহ পশ্চিমের বেশ কয়েকটি দেশ থেকে সমরাস্ত্র কিনছে। এরই অংশ হিসেবে ২০২১ সালে তুরস্কের সমরাস্ত্রের চতুর্থ বৃহত্তম ক্রেতা ছিল ঢাকা। তখন ১০০ কোটি ডলারের সমরাস্ত্রের ক্রয়াদেশ দেয় বাংলাদেশ।

ডিফেন্স টেকনোলজি অব বাংলাদেশের (ডিটিবি) প্রতিবেদন অনুযায়ী, তুরস্কের অন্যতম প্রধান অস্ত্র প্রস্তুতকারক ও প্রতিরক্ষা ঠিকাদার রোকেতসান জুনে বাংলাদেশকে ৩০০ কিলোমিটার (১৮৬ মাইল) পাল্লার টিআরজি-৩০০ কাপলান ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে।

তুরস্কের সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি জানায়, সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিরক্ষা হার্ডওয়্যার প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরিজ (বিওএফ) বিমান প্রতিরক্ষা ও ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির প্রকল্প নিয়েছে। সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ফোর্সেস গোল ২০৩০ অর্জন করা এ প্রকল্পের লক্ষ্য। এক্ষেত্রে তুরস্ক সহায়ক হতে পারে। এ ছাড়া বিগত সাত বছরে তুরস্কের তৈরি বারাক্তার টিবি-২ ড্রোনসহ অন্তত ১৫ ধরনের আধুনিক সমরাস্ত্র কিনেছে বাংলাদেশ।

সমরাস্ত্রবিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, আঙ্কারার কাছ থেকে এরইমধ্যে কোবরা আর্মার্ড পারসোনাল ক্যারিয়ার ও স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র কিনেছে ঢাকা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত রস ক সমর স ত র ত রস ক র

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করতে ওয়াশিংটন যাচ্ছেন জেলেনস্কি

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আগামী সোমবার (১৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের জন্য ওয়াশিংটন যাচ্ছেন। শনিবার (১৬ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক্স-এ একটি পোস্টে জেলেনস্কি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর দ্য গার্ডিয়ানের। 

পোস্টে জেলেনস্কি বলেন, “আমি সোমবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করার সব খুঁটিনাটি আলোচনা করার পরিকল্পনা করছি। আমন্ত্রণের জন্য আমি কৃতজ্ঞ।”

তিনি আরো বলেন, “আমরা ইউক্রেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের জন্য ট্রাম্পের প্রস্তাবকে সমর্থন করি। নেতাদের স্তরে মূল বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। সেজন্য ত্রিপক্ষীয় বৈঠকই সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত।” 

আরো পড়ুন:

মেলানিয়ার চিঠি পুতিনের কাছে পৌঁছে দিলেন ট্রাম্প

চীনকে শাস্তি দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই: ট্রাম্প

জেলেনস্কি জানান, এর আগে ট্রাম্পের সঙ্গে তার এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে দীর্ঘ ও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। প্রথমে দুই প্রেসিডেন্ট একান্তে বৈঠক করেন, পরে ইউরোপীয় নেতাদের অংশগ্রহণে যৌথ বৈঠক হয়।

সোমবার ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের সঙ্গে জেলেনস্কির বৈঠকের প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে আলাস্কায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বৈঠকের পর। শুক্রবার অনুষ্ঠিত ওই বহুল প্রত্যাশিত বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক চুক্তি না হলেও ট্রাম্প জানান, আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে। তার দাবি, সম্ভাব্য চুক্তির সাফল্য এখন জেলেনস্কির অংশগ্রহণের ওপর নির্ভর করছে।

জেলেনস্কি পুতিনের সঙ্গে সম্ভাব্য বৈঠকে ইউরোপীয় নেতাদের উপস্থিতি দাবি করেছেন। 

বিশ্লেষকদের মতে, ইউক্রেনের জোর দিয়ে ইউরোপীয় নেতাদের উপস্থিতির প্রসঙ্গ তোলার পেছনে একটি কৌশল আছে। দেশটির নীতিনির্ধারকেরা মনে করেন, ইউরোপীয় দেশগুলোকে অন্তর্ভুক্ত রাখলে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় ট্রাম্পের ওপর বাড়তি চাপ থাকবে এবং নিরাপত্তা নিশ্চয়তাও আরো শক্তিশালী হবে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ