মাগুরায় সাবেক এসপি, ইউএনও ও ওসির বিরুদ্ধে মামলা
Published: 2nd, July 2025 GMT
মিথ্যা মামলায় আটক করে মাগুরা জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল রুমনের ওপর পুলিশি নির্যাতন এবং বিনা বিচারে ১৬৮ দিন কারাবন্দি রাখার ঘটনায় মাগুরার সাবেক পুলিশ সুপার, ওসি ও ইউএনওসহ নয়জনের নামে মামলা দায়ের হয়েছে। গত ৩০ জুন আদালতে মামলাটি দায়ের করেন ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল রুমন।
মাগুরা সদর আমলি আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো.
মামলার বাদী ছাত্রদল নেতা ফয়সাল রুমনের অভিযোগ, ২০১৮ সালের ৫ আগস্ট ও ১৩ আগস্ট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ মুজিবুর রহমানকে কটাক্ষ করে ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ছবি পোস্ট করার অভিযোগে ১৮ আগস্ট মাগুরা সদর উপজেলার তৎকালীন নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। পুলিশ তাকে আটকের পর নানাভাবে শারীরিকভাবে নির্যাতন চালায়। এতে তার স্পাইনাল কর্ড ও মেরুদন্ডের হাড় ভেঙে যায়।
এ ঘটনার পরদিন ফয়সাল রুমনের নামে সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলার আসামি হিসেবে তাকে ১৬৮ দিন বিনাবিচারে কারাবন্দি রাখা হয়। তাছাড়াও মিথ্যা মামলার কারণে তার ৫০ কোটি টাকার মানহানির ঘটনা ঘটেছে। বাদী মামলাটিকে মিথ্যা ও সাজানো দাবি করে বিচার চেয়েছেন।
মামলাটির বাদীপক্ষের আইনজীবী কাজী মিনহাজ উদ্দিন বলেন, একটি মিথ্যা মামলা সাজিয়ে নির্যাতন করায় বাদী সারাজীবনের মতো পঙ্গু হয়ে গেছেন। বাদী সরকারি দায়িত্বে নিয়োজিত ছয় কর্মকর্তাকে আসামি করেছেন। বিধায় বাদী ৩০ জুন মামলাটি দায়ের করলেও আদালতের বিচারক সবদিক বিবেচনা শেষে ১ জুলাই মঙ্গলবার মামলাটি আমলে নিয়ে এটি তদন্তের জন্যে সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ছ ত রদল ন ত কর মকর ত তৎক ল ন
এছাড়াও পড়ুন:
ধামইরহাটের ইউএনওর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ
নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে তার কার্যালয় ঘেরাও করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করা হয়েছে।
বুধবার (১ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন উপজেলার মঙ্গলকোটা গ্রামের বাসিন্দারা।
ওই অন্তঃসত্ত্বা নারীর স্বামীর আব্দুল কুদ্দুস বলেছেন, আজ সকাল ১১টায় ইউএনও মঙ্গলকোটা গ্রামে একটি খাস জায়গা দখলমুক্ত করে সেটিকে ধামইরহাট পৌরসভার বর্জ্য রাখার স্থান নির্ধারণ করেন। স্থানীয়রা ওই জায়গাকে বর্জ্য রাখার স্থান করতে বাধা দিলে ইউএনওর সঙ্গে হট্টগোল হয়। আমি মোবাইল ফোনে ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে গেলে ইউএনওর নির্দেশে আমাকে আটক করার চেষ্টা করেন আনসার সদস্য। এ সময় আমার স্ত্রী এসে আমাকে ছাড়ানোর চেষ্টা করলে ইউএনও নিজে আমার স্ত্রীর বুকে আঘাত করে মাটিতে ফেলে দেন এবং লাল নিশান টাঙানো বাঁশের লাঠি দিয়ে আমার স্ত্রীকে এলোপাতাড়িভাবে মারপিট শুরু করেন। প্রতিবেশী সাবিনা ইয়াসমিন বাধা দিতে গেলে ইউএনও তাকেও মারপিট করেন। এতে গুরুতর আহত হয়ে আমার স্ত্রী ও সাবিনা ইয়াসমিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসাধীন আছেন।
এ বিষয়ে ধামইরহাট উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হানজালা বলেছেন, পৌরসভার বর্জ্য রাখার স্থান নির্ধারণ নিয়ে স্থানীয়দের সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ঝামেলা হয়। এর জের ধরে গ্রামবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ঘেরাও করেন। পুলিশ প্রশাসনের মাধ্যমে জানতে পেরে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি।
এ বিষয়ে ইউএনও শাহারিয়ার রহমান বলেছেন, নারীর গায়ে হাত দেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। গ্রামবাসী সরকারি কাজে বাধা দিয়েছে। এ থেকে বাঁচার জন্যই তারা নাটক করছে।
ঢাকা/সাজু/রফিক