ছোট পর্দার জনপ্রিয় নির্মাতা আবু হায়াত মাহমুদ এবার পা রাখছেন বড় পর্দায়। তার প্রথম চলচ্চিত্রের নাম ‘ওয়ানস আপন আ টাইন ইন ঢাকা’। ট্যাগলাইন-‘আমি কালা’। ঢাকার নব্বই দশকের আন্ডারওয়ার্ল্ডকে কেন্দ্র করে নির্মিত এই সিনেমার কাহিনি অনেকটাই সত্য ঘটনা অবলম্বনে।

পরিচালনার পাশাপাশি ছবির ভাবনা ও নির্মাণে আবু হায়াত মাহমুদের সঙ্গী হয়েছেন লেখক মেজবাউদ্দিন সুমন, যিনি এ ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন।

প্রথমে গুঞ্জন ছিল-ছবিটিতে থাকছেন শরিফুল রাজ ও মোশাররফ করিম। সে সময় পরিচালকের পক্ষ থেকেও বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করা হয়নি। তবে বছর ঘুরতে না ঘুরতেই বড় চমক নিয়ে হাজির নির্মাতা।

সিনেমাটির কেন্দ্রীয় চরিত্র ‘কালা জাহাঙ্গীর’-এর ভূমিকায় থাকছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের শীর্ষ তারকা শাকিব খান। প্রাথমিক কথাবার্তা, পারিশ্রমিকসহ অধিকাংশ দিকেই চূড়ান্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র। এখন কেবল আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষরের অপেক্ষা।

এ সিনেমাটি ২০২৫ সালের ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। সে মোতাবেকই শাকিব খানকে সিনেমাটিতে যুক্ত করা হয়েছে।

ছবিতে শাকিব খানের স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয়ের জন্য চূড়ান্ত করা হয়েছে কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার-কে। সূত্র বলছে, মধুমিতার সঙ্গেও প্রাথমিক আলাপ শেষ, তার সিডিউলও নিশ্চিত।

সিনেমাটিতে আরও অভিনয় করবেন দেশের খ্যাতিমান অভিনেতা তারিক আনাম খান, দিলারা জামান, ও শহীদুজ্জামান সেলিম।

ছবির গল্পে উঠে আসবে নব্বই দশকের ঢাকার অপরাধজগতের বাস্তব চিত্র, যেখানে ‘কালা জাহাঙ্গীর’ নামের এক ভয়ঙ্কর ও আলোচিত সন্ত্রাসীর নানা ঘটনা থাকবে মুখ্য উপজীব্য।

‘ওয়ানস আপন আ টাইন ইন ঢাকা’-এর মাধ্যমে আবু হায়াত মাহমুদের সিনেমায় অভিষেক যেমন আলোচনায় এসেছে, তেমনি শাকিব খানের এই চরিত্রটি নিয়েও ইতোমধ্যে দর্শকের কৌতূহল তৈরি হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শর ফ ল র জ

এছাড়াও পড়ুন:

আজ মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা, হলে আছে আরও ৭ সিনেমা

কুয়াকাটায় একদল ব্যাচেলর
করোনার সময় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল মানুষ। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে কুয়াকাটায় ঘুরতে যায় একদল ব্যাচেলর। সেখানে নারীদের একটি দলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তাদের কেন্দ্র করেই রোমান্টিক, কমেডি ও থ্রিলারের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাসিম সাহনিকের ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ।’

সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। প্রথম লটে এক সপ্তাহের মতো শুটিং করার কথা থাকলেও বাজেটের সমস্যায় দুই দিন পর শুটিং টিমকে রেখেই ঢাকায় চলে গেছেন পরিচালক—এমন একটা অভিযোগ সে সময় এনেছিলেন সিনেমার নায়িকা শিরিন শিলা। পরে তিনি আরও জানান, নায়ক-নায়িকাসহ শিল্পীদের থাকা, খাওয়া—সবকিছুতেই অব্যবস্থাপনা ছিল। এতে ইউনিটে অসন্তোষ তৈরি হয়। সে সময় কলাকুশলীরা ধরেই নিয়েছিলেন, এ সিনেমার শুটিং আর হবে না। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পরের বছর শেষ হয় শুটিং। ডাবিং ও পোস্টের কাজ শেষ করতে লেগে যায় আরও এক বছর।

সিনেমায় জুটি হয়েছেন শিরিন শিলা ও কায়েস আরজু। ছবি: কায়েসের সৌজন্যে

সম্পর্কিত নিবন্ধ