রাজ নয়, ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন ঢাকা’ সিনেমায় শাকিব খান
Published: 2nd, July 2025 GMT
ছোট পর্দার জনপ্রিয় নির্মাতা আবু হায়াত মাহমুদ এবার পা রাখছেন বড় পর্দায়। তার প্রথম চলচ্চিত্রের নাম ‘ওয়ানস আপন আ টাইন ইন ঢাকা’। ট্যাগলাইন-‘আমি কালা’। ঢাকার নব্বই দশকের আন্ডারওয়ার্ল্ডকে কেন্দ্র করে নির্মিত এই সিনেমার কাহিনি অনেকটাই সত্য ঘটনা অবলম্বনে।
পরিচালনার পাশাপাশি ছবির ভাবনা ও নির্মাণে আবু হায়াত মাহমুদের সঙ্গী হয়েছেন লেখক মেজবাউদ্দিন সুমন, যিনি এ ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন।
প্রথমে গুঞ্জন ছিল-ছবিটিতে থাকছেন শরিফুল রাজ ও মোশাররফ করিম। সে সময় পরিচালকের পক্ষ থেকেও বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করা হয়নি। তবে বছর ঘুরতে না ঘুরতেই বড় চমক নিয়ে হাজির নির্মাতা।
সিনেমাটির কেন্দ্রীয় চরিত্র ‘কালা জাহাঙ্গীর’-এর ভূমিকায় থাকছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের শীর্ষ তারকা শাকিব খান। প্রাথমিক কথাবার্তা, পারিশ্রমিকসহ অধিকাংশ দিকেই চূড়ান্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র। এখন কেবল আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষরের অপেক্ষা।
এ সিনেমাটি ২০২৫ সালের ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। সে মোতাবেকই শাকিব খানকে সিনেমাটিতে যুক্ত করা হয়েছে।
ছবিতে শাকিব খানের স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয়ের জন্য চূড়ান্ত করা হয়েছে কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার-কে। সূত্র বলছে, মধুমিতার সঙ্গেও প্রাথমিক আলাপ শেষ, তার সিডিউলও নিশ্চিত।
সিনেমাটিতে আরও অভিনয় করবেন দেশের খ্যাতিমান অভিনেতা তারিক আনাম খান, দিলারা জামান, ও শহীদুজ্জামান সেলিম।
ছবির গল্পে উঠে আসবে নব্বই দশকের ঢাকার অপরাধজগতের বাস্তব চিত্র, যেখানে ‘কালা জাহাঙ্গীর’ নামের এক ভয়ঙ্কর ও আলোচিত সন্ত্রাসীর নানা ঘটনা থাকবে মুখ্য উপজীব্য।
‘ওয়ানস আপন আ টাইন ইন ঢাকা’-এর মাধ্যমে আবু হায়াত মাহমুদের সিনেমায় অভিষেক যেমন আলোচনায় এসেছে, তেমনি শাকিব খানের এই চরিত্রটি নিয়েও ইতোমধ্যে দর্শকের কৌতূহল তৈরি হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শর ফ ল র জ
এছাড়াও পড়ুন:
রুনা লায়লার জন্মদিন: সংগীতজীবনের বর্ণময় ৬ দশকের উদ্যাপন
উপমহাদেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা। সোমবার (১৭ নভেম্বর) ৭৩ বছর পূর্ণ করলেন। একইসঙ্গে পূর্ণ করলেন তার গৌরবময় সংগীত-জীবনের ৬০ বছর। উপমহাদেশের তিন দেশ—বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে সমানতালে গান গেয়ে কোটি মানুষের হৃদয় জয় করেছেন রুনা লায়লা। ১৮টি ভাষায় তার গাওয়া গানের সংখ্যা ১০ হাজারেরও বেশি। ফলে তিনি যে উপমহাদেশের শীর্ষ সংগীতশিল্পীদের একজন—এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।
বাংলাদেশের বাংলা গানকে বিশ্বদরবারে পৌঁছে দেওয়ার পেছনে তার অবদান অনন্য। দেশ-বিদেশ থেকে প্রাপ্ত অগণিত স্বীকৃতির মাঝে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ তার অর্জনকে আরো মহিমান্বিত করেছে।
আরো পড়ুন:
কনসার্টে গায়ক একনের পরনের প্যান্ট নিয়ে টানাটানি
চতুর্থ সন্তানের মা হলেন কার্ডি বি
ভক্তদের কাছে রুনা লায়লার এবারের জন্মদিনটি বিশেষ। কোক স্টুডিও বাংলার তৃতীয় মৌসুমের শেষ গানটি প্রকাশ পেয়েছে তার গাওয়া জনপ্রিয় সুফি কাওয়ালি ‘দামা দম মাস্ত কালান্দার’ দিয়ে—যে গানটি বহু বছর আগে তাকে আন্তর্জাতিক পরিচিতি এনে দিয়েছিল।
তবে জন্মদিন নিয়ে শিল্পীর বিশেষ কোনো পরিকল্পনা নেই। তিনি জানান, পরিবারকে সময় দিয়েই কাটাবেন দিনটি। ঘরোয়া পরিবেশেই উদ্যাপিত হবে জন্মদিন।
১৯৫২ সালের ১৭ নভেম্বর সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন রুনা লায়লা। সংগীতজীবনের শুরু ষাটের দশকের শেষ দিকে পাকিস্তানের চলচ্চিত্র শিল্পে। শিল্পী আহমেদ রুশদির গায়কিতে অনুপ্রাণিত হয়ে সংগীতাঙ্গনে পথচলা শুরু করা এই কণ্ঠশিল্পী দ্রুতই উর্দুভাষী শ্রোতাদের মন জয় করে নেন। ‘উনকি নজরোঁ সে মোহাব্বত কা জো পয়গাম মিলা’—এর মতো গান তাকে এনে দেয় ব্যাপক জনপ্রিয়তা।
এরপর ভারতেও ছড়িয়ে পড়ে তার কণ্ঠের জাদু। ‘ও মেরা বাবু ছৈল ছাবিলা’ তাকে পরিচিত করে তোলে সাদাকালো যুগেই। পরে সংগীত পরিচালক বাপ্পি লাহিড়ীর সঙ্গে ‘ডিস্কো দিওয়ানে’ (১৯৮২) অ্যালবাম তাকে বিশ্বব্যাপী নতুন আরেক পরিচিতির শিখরে পৌঁছে দেয়।
যদিও তিন দেশে সাফল্য পেয়েছেন, রুনা লায়লার সংগীতজীবনের মূল ভিত্তি ছিল বাংলাদেশ। ‘দ্য রেইন’ (১৯৭৬), ‘জাদুর বাঁশি’ (১৯৭৭), ‘অ্যাক্সিডেন্ট’ (১৯৮৯), ‘অন্তরে অন্তরে’ (১৯৯৪)—সহ মোট সাতবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ গায়িকা নির্বাচিত হয়েছেন। ‘সাধের লাউ বানাইলা মোরে বৈরাগী’, ‘বন্ধু তিনদিন তোর বাড়িতে গেলাম’—এর মতো বাংলা লোকগান তার কণ্ঠে নতুন প্রাণ পেয়েছে।
দীর্ঘ ও সফল এই যাত্রায় মায়ের অবদান সবচেয়ে বেশি—এ কথা প্রায়ই উল্লেখ করেন রুনা লায়লা। তিনি বলেন, “মা আমাকে প্রচণ্ড সহযোগিতা করেছেন। ছোটবেলায় গান গাইতে গেলে মা সবসময় সঙ্গে যেতেন।”
ঢাকা/রাহাত/শান্ত