রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন এলাকা থেকে খুনের মামলার জেল পলাতক আসামি মঞ্জুর কাদেরকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে রেলওয়ে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন নরসিংদী জেলা কারাগার থেকে পালিয়ে যান মঞ্জুর কাদের।

ঢাকা রেলওয়ে জেলা পুলিশ সুপার মো.

আনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, নরসিংদী জেলা কারাগার থেকে পালানোর পর মঞ্জুর কাদের ছদ্মবেশে দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন। আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ঢাকা রেলওয়ে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। তিনি ভৈরব রেলওয়ে থানার একটি হত্যা মামলার আসামি।

গত বছরের ৬ জুন নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঝুমুর কান্তি বাউল (৪২) নামের এক যাত্রী ‘ঢাকা মেইল’ ট্রেনে রাজধানীতে আসার সময় দাঁড়ানো নিয়ে আরেক যাত্রী মঞ্জুর কাদেরের সঙ্গে কথা–কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ঝুমুর কান্তিকে মারধর করেন মঞ্জুর কাদের। এতে ঝুমুর কান্তি অচেতন হয়ে পড়েন এবং মারা যান।

ওই ঘটনায় ভৈরব রেলওয়ে থানায় হওয়া মামলায় মঞ্জুর কাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তিনি নরসিংদী জেলা কারাগারে ছিলেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর র লওয়

এছাড়াও পড়ুন:

তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ পেছাল ১১৯ বার

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১১ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য থাকলেও তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তা জমা দিতে পারেনি। এ জন্য ঢাকা মহানগর হাকিম মিনহাজুর রহমান প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এই তারিখ ঠিক করেন। এ নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ ১১৯ বার পেছাল।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় এই সাংবাদিক দম্পতি নৃশংসভাবে খুন হন। সাগর মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক এবং রুনি এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ছিলেন। খুনের ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় হত্যা মামলা করেন। বর্তমানে মামলাটি উচ্চ আদালতের নির্দেশে পিবিআই তদন্ত করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ