ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি কাজে বাধা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা পাওয়ার পর যুবদলের নেতা সোহেল জাহানকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁর সঙ্গে যুবদলের সব পর্যায়ের নেতা–কর্মীদের সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহদপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানানো হয়। ওই বিজ্ঞপ্তি যুবদলের ফেসবুক পেজে পোস্ট করা হয়েছে।

জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদ গতকাল রাত পৌনে ১১টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি সোহেল জাহানকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

সোহেল জাহান (৪৫) জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। জেলা শহরের গোকর্ণ ঘাটের বাসিন্দা হলেও সোহেল পরিবার নিয়ে শহরের কাজীপাড়ায় বসবাস করেন। তাঁকে নিয়ে গত সোমবার প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণে ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি জমি মাপজোখে বাধা ও মারধর, যুবদল নেতার কারাদণ্ড’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

আরও পড়ুনব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি জমি মাপজোখে বাধা ও মারধর, যুবদল নেতার কারাদণ্ড১৩ অক্টোবর ২০২৫

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের কাজী মাহমুদ শাহ সড়কসংলগ্ন কাজীপাড়ার উত্তর দিকের ১ নম্বর খাত খতিয়ানভুক্ত ১৫ শতাংশ জায়গা রয়েছে। সেখানে বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) একটি প্রকল্প থেকে একটি ভবন নির্মাণ করা হবে।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার বেলা দেড়টার দিকে সদর উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের সার্ভেয়ার রফিকুল ইসলাম, জারিকারক বোরহান উদ্দিন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জায়গাটি মাপজোখ করতে যান। যুবদল নেতা সোহেল জাহান ঘটনাস্থলে গিয়ে মাপজোখে বাধা দেন। সেখানে নিজের জায়গা রয়েছে বলে সার্ভেয়ার রফিকুল ইসলাম ও জারিকারক বোরহান উদ্দিনকে জানান সোহেল। বাধা উপেক্ষা করে মাপজোখ করতে গেলে সার্ভেয়ার ও জারিকারকের সঙ্গে সোহেল জাহানের কথা–কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে জারিকারক বোরহান উদ্দিনের সঙ্গে যুবদল নেতা সোহেলের হাতাহাতি হয়। এ ঘটনায় বোরহান উদ্দিন আহত হন।

ওই ঘটনার পর সোমবার সন্ধ্যায় ইউএনও সিফাত মো.

ইশতিয়াক ভূঁইয়া কাজীপাড়ার একটি বাসা থেকে সোহেল জাহানকে আটক করেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাঁকে এক দিনের কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা করেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব র হ মণব ড় য় য় য বদল ন ত জ র ক রক য বদল র

এছাড়াও পড়ুন:

মিরাজ, প্রতিশ্রুতির কী প্রয়োজন, আমরা তো সুনীলের কবিতায়ই শিখেছি

রশিদ খান। নাহ্‌, আফগান লেগ স্পিনার রশিদ খান নন। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং আর অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের কথা শুনে মনে পড়ে গেল শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী রশিদ খানের কয়েকটি কথা। প্রয়াত ওস্তাদ রশিদ খান কথাগুলো এই প্রতিবেদককেই একবার বলেছিলেন বৈঠকি ঢঙে দেওয়া সাক্ষাৎকারে।

শচীন টেন্ডুলকারের পাঁড় ভক্ত রশিদ খান শৈশবে ক্রিকেটার হওয়ারই স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু তাঁর মামা নিসার হুসেইন খান তাঁকে সে পথে হাঁটতে দেননি। একপ্রকার জোর করেই নিজেদের গড়া সংগীতরাজ্যে ঢুকিয়ে দেন রশিদ খানকে। শাস্ত্রীয় সংগীতের বড় সংগীতকার হয়েও রশিদ খান ক্রিকেটকে অন্তর থেকে মুছে ফেলতে পারেননি; বরং তিনি ক্রিকেট আর সংগীতকে দেখেছেন একই রূপে!

যে সাক্ষাৎকারের কথা বলা হলো, সেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘ক্রিকেটটা সংগীতের মতোই। একেকটা কাভার ড্রাইভ, পুল, হুক—এগুলো তো সংগীতের বিভিন্ন ধারার মতোই রেশমি পরশ নিয়ে এগিয়ে চলে।’ সংগীত আর ক্রিকেটকে এক বিন্দুতে মেলানোর আলোচনায় তিনি আরেকটি বেশ মজার উদাহরণ টেনেছিলেন, ‘দেখুন, এটা অনেকটা গানের মতোই। একটি গানের তিনটি ভাগ যদি আপনি করেন, কী আছে সেখানে? আভোগ, অন্তরা, স্থায়ী।’

আফগানিস্তানের বিপক্ষে গতকাল ধবলধোলাই হয় বাংলাদেশ

সম্পর্কিত নিবন্ধ