চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ ক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় তরুণের মৃত্যু, দুই ঘণ্টা রেলপথ অবরোধ
Published: 8th, July 2025 GMT
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় মোটরসাইকেল চালিয়ে অবৈধ রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় ট্রেনের ধাক্কায় জীবন আলী (২৫) নামের এক তরুণ নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার মোমিনপুর ইউনিয়নের আামিরপুরে চিলাহাটি থেকে খুলনাগামী আন্তনগর রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে তিনি নিহত হন।
নিহত জীবন আলী আমিরপুর গ্রামের আরমান মণ্ডলের ছেলে। দুর্ঘটনার সময় ট্রেনের ইঞ্জিনে জড়িয়ে জীবন আলীর লাশ ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ১০০ মিটার দূরে এবং মোটরসাইকেলটি এক কিলোমিটার দূরে টেংরামারী গ্রাম পর্যন্ত টেনে নিয়ে যায়। সেখানে ট্রেন থামিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়।
এদিকে আমিরপুরে রেল ক্রসিংয়ে স্থায়ীভাবে রেলগেট স্থাপন ও গেটম্যান নিয়োগের দাবিতে রাজশাহী থেকে খুলনাগামী আন্তনগর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেন থামিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা রেলপথ অবরোধ করেন এলাকাবাসী। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রামবাসীর দাবি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে জানানোর আশ্বাস দিলে এলাকাবাসী অবরোধ তুলে নেন। এরপর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে পুলিশ জানায়, আজ বিকেলে আমিরপুর গ্রামের জীবন আলী মোটরসাইকেল নিয়ে রেলক্রসিংয়ে আসেন। চুয়াডাঙ্গা থেকে একটি ট্রেন আলমডাঙ্গা অভিমুখে চলে যাওয়ার পরপরই তিনি ডানে-বাঁয়ে না তাকিয়েই মোটরসাইকেল চালিয়ে রেলক্রসিং পার হতে যান। তখন চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা আন্তনগর রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এ সময় জীবন আলী ঘটনাস্থলেই নিহত হন। তাঁর ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি টেনে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে টেংরামারী গ্রাম পর্যন্ত নিয়ে যায় ট্রেনটি।
রেলওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জগদীশ চন্দ্র বসু প্রথম আলোকে বলেন, নিহত জীবন আলীর চাচাতো ভাই শাহীনুর রহমানের লিখিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়া রাতেই লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে ‘মোবাইল ডেটা’ নিয়ে ঝগড়ার জেরে নারীকে কুপিয়ে হত্যা, স্বামীর আত্মসমর্পণ
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর স্বামী থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার এনায়েতনগর এলাকা এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম বিজলী আক্তার (৩০)। কুমিল্লার কান্দাইল গ্রামের বাহার মিয়ার মেয়ে। তিনি হোসিয়ারি কারখানার শ্রমিক ছিলেন। তাঁর স্বামী ইমরান হোসেন (৩৫) একই ধরনের কারখানায় কাজ করেন।
নিহতের ছোট বোন বৃষ্টি আক্তার বলেন, প্রায় ৯ মাস আগে বিজলী আক্তার ইমরান হোসেনকে বিয়ে করেন। এটি ছিল বিজলীর দ্বিতীয় বিয়ে। বিয়ের পর থেকেই তাঁদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। শনিবার রাতে ইমরানের মুঠোফোন দিয়ে ভাগনের সঙ্গে কথা বলেন বিজলী। মোবাইল ডেটা নিয়ে তাঁদের দুজনের মধ্যে ঝগড়ার একপর্যায়ে বিজলীকে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে ইমরান হোসেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই দম্পতি এনায়েতনগরের একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। শনিবার রাতে পারিবারিক কলহের একপর্যায়ে ঘরে থাকা বঁটি দিয়ে স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম করেন ইমরান। পরে তাঁকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার দেড় ঘণ্টা পর ইমরান হোসেন বন্দর মডেল থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন। পরে তিনি থানায় আত্মসমর্পণ করেন। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।