চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় মোটরসাইকেল চালিয়ে অবৈধ রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় ট্রেনের ধাক্কায় জীবন আলী (২৫) নামের এক তরুণ নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার মোমিনপুর ইউনিয়নের আামিরপুরে চিলাহাটি থেকে খুলনাগামী আন্তনগর রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে তিনি নিহত হন।

নিহত জীবন আলী আমিরপুর গ্রামের আরমান মণ্ডলের ছেলে। দুর্ঘটনার সময় ট্রেনের ইঞ্জিনে জড়িয়ে জীবন আলীর লাশ ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ১০০ মিটার দূরে এবং মোটরসাইকেলটি এক কিলোমিটার দূরে টেংরামারী গ্রাম পর্যন্ত টেনে নিয়ে যায়। সেখানে ট্রেন থামিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়।

এদিকে আমিরপুরে রেল ক্রসিংয়ে স্থায়ীভাবে রেলগেট স্থাপন ও গেটম্যান নিয়োগের দাবিতে রাজশাহী থেকে খুলনাগামী আন্তনগর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেন থামিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা রেলপথ অবরোধ করেন এলাকাবাসী। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রামবাসীর দাবি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে জানানোর আশ্বাস দিলে এলাকাবাসী অবরোধ তুলে নেন। এরপর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে পুলিশ জানায়, আজ বিকেলে আমিরপুর গ্রামের জীবন আলী মোটরসাইকেল নিয়ে রেলক্রসিংয়ে আসেন। চুয়াডাঙ্গা থেকে একটি ট্রেন আলমডাঙ্গা অভিমুখে চলে যাওয়ার পরপরই তিনি ডানে-বাঁয়ে না তাকিয়েই মোটরসাইকেল চালিয়ে রেলক্রসিং পার হতে যান। তখন চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা আন্তনগর রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এ সময় জীবন আলী ঘটনাস্থলেই নিহত হন। তাঁর ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি টেনে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে টেংরামারী গ্রাম পর্যন্ত নিয়ে যায় ট্রেনটি।

রেলওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জগদীশ চন্দ্র বসু প্রথম আলোকে বলেন, নিহত জীবন আলীর চাচাতো ভাই শাহীনুর রহমানের লিখিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়া রাতেই লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নিখোঁজের ২ মাস পরে জঙ্গলে মিলল কিশোরের কঙ্কাল

নিখোঁজ দুই মাসে পরে জঙ্গল থেকে মিলন হোসেন (১৫) নামে এক কিশোরের কংঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সুমন মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

সোমবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের আমিন মডেল টাউন হাউজিংয়ের ভেতরের জঙ্গল থেকে ওই কিশোরের কঙ্কাল উদ্ধার করে সাভার মডেল থানা পুলিশ। 

নিহত মিলন হোসেন নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা থানার পারুলিয়া নোয়াপাড়া গ্রামের মৃত সাইফুল ইসলামের ছেলে। সে সাভারের আশুলিয়ার পাড়াগাঁও এলাকায় ইউনুস আলীর মালিকানাধীন বাড়িতে ভাড়া থেকে অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতো। 

পুলিশ জানায়, সোমবার বিকেলে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের মডেল টাউনের পাশে নিহত মিলন হোসেনের শরীরের গেঞ্জি ও প্যান্ট পড়ে থাকতে দেখেন নিহতের মা জোসনা বেগম। একটু সমানে গিয়ে তিনি একটি কঙ্কাল পড়ে থাকতে দেখেন। পরে সাভার মডেল থানা পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। 

সাভার মডেল থানার বিরুলিয়া ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল ওহাব বলেন, “মিলনের মা কঙ্কাল পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়দের জানায়। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কঙ্কাল উদ্ধার করে। মূলত নিখোঁজ মিলনের গেঞ্জি প্যান্ট দেখে তার মা জোসনা বেগম তার ছেলের মরদেহ বলে দাবি করেন। আমরা কঙ্কাল উদ্ধার করে ডিএনএ টেস্টের জন্য পাঠিয়েছি।” 

তিনি জানান, এ ঘটনায় নিহতের মা জোসনা বেগম আশুলিয়া থানায় একটি নিখোঁজের ঘটনায় মামলা করেছিলেন।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নান বলেন, “মিলন নিখোঁজের ঘটনায় তার মা আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছিরেন। মিলন হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আশুলিয়া থেকে সুমন মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনেরগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

প্রসঙ্গত, গত ২৯ সেপ্টেম্বর (সোমবার) সাভারের আশুলিয়ার পাড়াগাঁও এলাকার শামীমের রিকশার গ্যারেজ থেকে অটোরিকশা নিয়ে বের হয় মিলন হোসেন। তার পর থেকেই নিখোঁজ ছিল সে। পরের দিন মিলনের মা জোসনা বেগম আশুলিয়া থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করেন। এরপরে গত ১৮ নভেম্বর (মঙ্গলবার) জিডিটি মামলা হিসেবে আশুলিয়া থানায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

ঢাকা/সাব্বির/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ